1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় নিহত ৪১ জন, ইস্তানবুলে বিরোধীদের বৈঠক

১৬ জুলাই ২০১১

শুক্রবার ছিল সিরিয়ার একাধিক শহরে প্রতিবাদ৷ দশ লক্ষ মানুষ পথে নামেন৷ বিরোধীপক্ষের বিবৃতি অনুযায়ী গুলিতে প্রাণ হারান মোট ৪১ জন আন্দোলনকারী৷ তবুও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পন্থা খুঁজছে বিরোধীরা৷

Mitglieder der syrischen Opposition nehmen am Samstag (16.07.2011) in Pendik bei Istanbul an einer Konferenz teil. Auf der Konferenz wurde eine Strategie für den Sturz des Regimes von Präsident Baschar al-Assad beschlossen. Foto: Anne Beatrice Clasmann dpa (Zu dpa 0145)
সিরিয়ার সংকট নিয়ে বিরোধীদের বৈঠকছবি: picture alliance/dpa

জাতীয় সিরীয় ত্রাণ সম্মেলন নাম দিয়ে ইস্তানবুলে বৈঠকটি ডাকা হয়েছিল৷ যুগপৎ দামেস্ক ও ইস্তানবুলে সম্মেলন হবার কথা ছিল৷ কিন্তু শুক্রবারের ঘটনাবলীর পর তা সম্ভব হয়নি৷ সেদিন দামেস্কের কাবুন এলাকায় ১৪ জন মানুষ নিহত হয়৷ তার ঠিক অদূরেই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল৷ কাজেই দামেস্কের আন্দোলনকারীরা টেলিফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইস্তানবুল সম্মেলনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন৷

ইস্তানবুল সম্মেলনের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল বিরোধীদের আরো ঐক্যবদ্ধ অবস্থান সৃষ্টি করা৷ হয়তো লিবিয়ায় বিরোধীরা একটি যৌথ পরিষদ সৃষ্টির পর আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের কাছ থেকে যে সাড়া, সমর্থন এবং সাহায্য পেয়েছে, সেটাই এখানে দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করেছে৷ অপরদিকে দাবি একই রয়ে গেছে৷ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যাগের ডাক দেওয়া হয়েছে৷

সিরীয় সেনা সদস্যদের একাংশছবি: AP

মানবাধিকার আইনজ্ঞ এবং আনজীবী হাইথাম আল মালে'র কথাই ধরা যাক৷ ইনি বিগত মার্চ অবধি রাজনৈতিক বন্দি ছিলেন৷ পরে আসাদের প্রদত্ত রাজক্ষমার সুযোগ নিয়ে মুক্তি পেয়েছেন৷ ইনি ‘‘ফ্যাসিস্ট সরকারের'' কথা বলেছেন৷ বলেছেন, বিরোধীরা সরকারের দ্বারা অপহৃত রাষ্ট্রকে আবার উদ্ধার করতে চায়৷ আল মালে'র পরিসংখ্যান অনুযায়ী সিরিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হওয়া যাবৎ ২,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৫ হাজার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন৷

শুক্রবারের প্রতিবাদে দশ লক্ষ মানুষের পথে নামার পরিসংখ্যান দেয় সিরীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র৷ নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, বলে জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের খবরে প্রকাশ৷ দামেস্ক ও তার শহরতলিতে ২৭ জন নিহত হয়, বলে সংগঠনটি জানিয়েছে৷ মধ্য সিরিয়ার হমস, উত্তর সিরিয়ার ইদিব এবং দক্ষিণের দারা'তে আরো ১৪ জন প্রাণ হারায়৷ - সরকারি সানা সংবাদ সংস্থা অবশ্য মোট ১২ জন নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিহত হবার কথা জানিয়েছে৷ এরা নাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের গুলিতে নিহত হয়েছে৷ - বলা বাহুল্য, যেহেতু অধিকাংশ বিদেশি মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির সিরিয়ায় প্রবেশ নিষেধ, সেহেতু হতাহতের খবরাখবর সরেজমিনে যাচাই করার কোনো উপায় নেই৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ