1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় নিহত সাধারণ মানুষ

১১ অক্টোবর ২০১৩

আগস্টে সিরিয়ার আলাউইট সম্প্রদায়ের ১৯০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং দুইশ জনকে জিম্মি করেছিল বিদ্রোহীরা৷ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তারা যুদ্ধাপরাধ করেছে৷

A boy holds a school uniform of pupils near the site of the secondary school that activists said was hit by an air strike from forces loyal to President Bashar Al-Assad in Raqqa, eastern Syria September 29, 2013. At least 12 people, most of them students, were killed in an air strike that hit a secondary school in the rebel-held Syrian city of Raqqa on Sunday, activists said. REUTERS/Nour Fourat (SYRIA - Tags: POLITICS CIVIL UNREST CONFLICT)
ছবি: Reuters

৪ঠা আগস্ট লাতাকিয়া প্রদেশের ১০টি গ্রামে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা৷ ঐ গ্রামগুলোর বেশিরভাগ মানুষ আলাউইট সম্প্রদায়ের, যে সম্প্রদায়ের মানুষ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদও৷ সে সময় বেঁচে যাওয়া ৩৪ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার এবং ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ১০৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশ করে সংস্থাটি৷

দুইশ মানুষকে হত্যা

নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, ১৯০ জন বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে ৬৭কে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা৷ ১৮ই আগস্ট সরকারি বাহিনী ঐ এলাকার দখল নেয়ার আগে ২০টি দল সেখানে হামলা চালায়৷

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকটি বিদ্রোহী দল – যেমন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক, আহরার আল শাম, আল নুসরা ফ্রন্ট এবং জয়শ আল-মুহাজিরিন ওয়াল আনসার তৎপর রয়েছে৷ তাদের মধ্যে কয়েকটি গোষ্ঠী এখনও বেশ কিছু মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷

৪ঠা আগস্ট লাতাকিয়া প্রদেশের ১০টি গ্রামে হামলা চালায় বিদ্রোহীরাছবি: Reuters

সংস্থাটি বলছে, এসব ঘটনাই প্রমাণ করে সেখানে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে৷ তাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সব দলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে তারা৷

অভিযোগ অস্বীকার

সুন্নি ইসলামি দল আহরার আল-শাম-এর সদস্য আবু মোহাম্মদ আল হুসেইনি বলেছেন, তাদের যোদ্ধারা ইচ্ছে করে কাউকে হত্যা করেন নি৷ নিজেদের রক্ষা করতে গিয়েই তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে৷

কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে?

মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছে, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধ্বংসে মোবাইল ডেস্ট্রাকশন ইউনিট ব্যবহারের জন্য রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন –ওপিসিডাব্লিউ-কে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার পর এই সংগঠনের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা হুমকির পর ২০১৪ সালের মাঝামাঝির মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে মার্কিন-রুশ পরিকল্পনার সাথে একমত হন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ৷

১,০০০ টন সারিনের মজুদ ধ্বংসে কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে সিরিয়া এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অফ কেমিকেল ওয়েপন্স বা ওপিসিডব্লিউ কে ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷

সামরিক অভিযান সঠিক পন্থা নয়

সিরিয়াতে যৌথ সেনাবাহিনী থাকার কোন প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ন্যাটো মহাপরিচালক আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন৷ তার মতে, সামরিক অভিযান সিরিয়া সমস্যার সমাধান নয়৷ এথেন্সে গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভানজেলোস ভেনিজেলোস-এর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন৷ ন্যাটো প্রধান বলেন, সংকট সমাধানের জন্য সরকার এবং বিদ্রোহীদের আলোচনায় বসা উচিত৷

এপিবি/এসবি (এপি/এএফপি/রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ