1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় সংকট অব্যাহত

১৪ অক্টোবর ২০১৩

একদিকে আত্মঘাতী হামলা ও ত্রাণকর্মীদের অপহরণের ঘটনা, অন্যদিকে সিরিয়া বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন নিয়ে অনিশ্চয়তা৷ এরই মধ্যে চলছে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রস্তুতি৷

epa03831855 A handout photograph provided by the national official news agency in Syria, Syrian Arab News Agency (SANA) on 20 August 2013 claims to show members of Syrian civil defense removing bodies of an alleged mass grave, in the northern countryside of Lattakia province, Syria. According to Syria's state news agency SANA, the mass grave contained some 50 bodies. EPA/SANA / HANDOUT HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES
ছবি: picture-alliance/dpa

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে রবিবার দুটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা ঘটেছে৷ সরকারি টেলিভিশন ও রেডিও ভবনের কাছে এই বিস্ফোরণে অবশ্য হতাহতের কোনো খবর নেই৷ এদিকে ইদলিব প্রদেশে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতিরা আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও সিরীয় আরব রেড ক্রিসেন্ট-এর সাতজন কর্মীকে অপহরণ করেছে৷ আইসিআরসি অবিলম্বে তাদের মুক্তির ডাক দিয়েছে৷

সিরিয়া সংকট নিরসনে রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে জেনিভায় এক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে৷ কিন্তু বিরোধী সিরীয় জাতীয় পরিষদ এই সম্মেলন বর্জন করবে বলে জানিয়েছে৷ গত ২১শে আগস্ট দামেস্কের উপকণ্ঠে সারিন গ্যাস হামলার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতিবাদ হিসেবে তারা এই অবস্থান নিয়েছে৷

একতরফা মার্কিন হামলার বিকল্প হিসেবে সিরিয়ার সরকারি ভাণ্ডারে রাসায়নিক অস্ত্র চিহ্নিত করে সেগুলি ধ্বংসের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সদ্য নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন বা ওপিসিডাব্লিউ৷ জাতিসংঘের সঙ্গে তাদের যৌথ মিশনে প্রায় ৬০ জন বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন৷ মিশনের প্রধান হিসেবে এবার সিগরিড কাগ-কে নিযুক্ত করা হচ্ছে৷ বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের সম্মতি পেলে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন৷

সিরিয়ার সরকারি ভাণ্ডারে রাসায়নিক অস্ত্র চিহ্নিত করে সেগুলি ধ্বংসের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সদ্য নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন বা ওপিসিডাব্লিউ৷ছবি: picture-alliance/dpa

সিরিয়া সংকটের চরিত্র যে আরব বসন্তের আর পাঁচটা ঘটনার মতো নয়, তা গোটা বিশ্বের কাছে এতদিনে স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম চালাচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আল-নুসরা ফ্রন্ট-এর মতো আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ শক্তি৷ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি অনেক বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠছে৷ সংকটের অবসান ঘটলে অভিযুক্তদের বিচারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে৷ সিরিয়ার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ৩০ পৃষ্ঠার একটি ‘ব্লু-প্রিন্ট' তৈরি করেছেন ডেভিড ক্রেন-এর নেতৃত্বে কয়েকজন বিচারক৷ সিয়েরা লিওন-এর যুদ্ধাপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন ক্রেন৷ সেই আদালত লাইবেরিয়ার যুদ্ধবাজ নেতা চার্লস টেলরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলো৷

সিরিয়ার সংকট শেষ হবার পর পরিস্থিতি কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ এমনকি সিরিয়ার যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি দ্য হেগ-এর আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের এক্তিয়ারে পড়বে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে৷ তবে ডেভিড ক্রেন মনে করেন, আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে যু্দ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা সহজ হয়৷ তাই সিরিয়ার বিরোধী পক্ষ, কিছু এনজিও সহ বিভিন্ন সূত্রের সাহায্যে তিনি ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে সিরিয়ায় এই ধরনের অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত করে চলেছেন৷ তাঁর মতে, প্রথমদিকে প্রেসিডেন্ট আসাদ ও তাঁর সহযোগীরাই প্রায় ৯০ শতাংশ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ বর্তমানে সরকার ও বিরোধীদের অপরাধের মাত্রা প্রায় সমান পর্যায়ে পৌঁছেছে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ