1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় জার্মান জিহাদি

লিডিয়া হেলার/এসি২৬ অক্টোবর ২০১৩

বর্তমানে সিরিয়ায় জার্মানি থেকে আসা প্রায় ২০০ ইসলামপন্থি আছে, যারা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করার পর একটা বড় রকমের বিপদ হয়ে উঠতে পারে৷ ওদিকে তারা বাস্তব যুদ্ধের বিভীষিকাকে চিনেছে৷

FILE - In this Friday, Jan. 11, 2013 file citizen journalism image provided by Edlib News Network, ENN, which has been authenticated based on its contents and other AP reporting, shows rebels from al-Qaida affiliated Jabhat al-Nusra waving their brigade flag as they step on the top of a Syrian air force helicopter, at Taftanaz air base that was captured by the rebels, in Idlib province, northern Syria. The Arabic words on the flag reads: "There is no God only God and Mohamad his prophet, Jabhat al-Nusra." Last month, militants inside Iraq killed 48 Syrian government troops who had sought refuge from the war in their country _ an ambush that regional officials now say is evidence of a growing cross-border alliance between two powerful Sunni jihadi groups _ Al-Qaida in Iraq and the Nusra Front in Syria. The U.S. designates both as terrorist organizations, and the purported alliance is further complicating the equation for the West as it weighs how much to support the rebel movement.(AP Photo/Edlib News Network ENN, File)
ছবি: picture-alliance/AP

জার্মান জিহাদিদের দৃষ্টিকোণ থেকে সিরিয়ায় যাওয়ার নানা যুক্তি আছে৷ সেখানে তারা জিহাদি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষ, অর্থাৎ ‘‘অবিশ্বাসীদের'' বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে৷ সেখানে তারা শিয়া-সুন্নি সংঘাতে সামিল হতে পারে, যার উপর নাকি মধ্যপ্রাচ্যে কোন সম্প্রদায়ের আধিপত্য কায়েম হবে, তার নিষ্পত্তি নির্ভর করবে৷ এছাড়া সিরিয়ার ধ্বংসস্তূপে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও কিছু কম লোভনীয় নয়৷

সিরিয়ায় ‘‘জার্মান ক্যাম্প''

এই সব লক্ষ্য সামনে রেখে অনেক সুন্নি চরমপন্থি আজ সিরিয়ার মাটিতে অস্ত্র হাতে করেছে – এমনকি তাদের সংখ্যা দশ হাজার হতে পারে৷ তাদের কাছে আল-কায়েদার আদর্শের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী জিহাদের মিল আছে৷ সিরিয়ায় আরো যে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ইসলামপন্থি রয়েছে, তারা মূলত আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই ব্যস্ত, বিশ্বব্যাপী জিহাদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কে নেই৷জার্মানির ‘‘ডের স্পিগেল'' পত্রিকা ফেডারাল গুপ্তচর বিভাগের সূত্রে জানাচ্ছে যে, সিরিয়ায় জার্মানি থেকে আসা শ'দুয়েক তথাকথিত জিহাদিরা অবস্থান করছে৷ তাদের অধিকাংশই এসেছে পশ্চিমের নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য থেকে – এছাড়া হেসে, বার্লিন, বাভেরিয়া ও হামবুর্গ রাজ্য থেকেও কিছু কিছু জিহাদি আছে৷ এদের অর্ধেকের বেশির জার্মান নাগরিকত্ব আছে৷ দৃশ্যত জার্মানি থেকে আগত জিহাদিরা সিরিয়ায় ‘‘জার্মান ক্যাম্প'' নামে পরিচিত একটি শিবিরে বাস করে৷

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ধ্বংসস্তূপছবি: Reuters

জিহাদি, কিন্তু যোদ্ধা নয়

সিরিয়ার যুদ্ধে জার্মানি থেকে আসা জিহাদিরা কি ভূমিকা পালন করছে, তা বলা শক্ত৷ তাদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতাও হয় সীমিত, নয়ত অনুপস্থিত৷ সে তুলনায় বেশ কিছু আন্তর্জাতিক জিহাদি বসনিয়া, আফগানিস্তান কিংবা ইরাকে যুদ্ধ করে এসেছে৷ তাদের আছে অভিজ্ঞতা৷ অপরদিকে জার্মানি থেকে আসা জিহাদিদের আছে আদর্শবাদ৷ কিন্তু প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা ছাড়া তারা ‘যোদ্ধা' হয়ে উঠতে পারে না৷

কিন্তু যোদ্ধা না হলেও, ইসলামপন্থিদের কাছে এই জার্মান জিহাদিদের অন্যান্য উপযোগিতা থাকতে পারে৷ তাদের মধ্যে হয়ত এমন কেউ আছে, যে অর্থসংগ্রহ কিংবা সংগঠনের কাজটা ভালো বোঝে এবং পারে৷ কেউ হয়ত মিডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারে – যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে নতুন রংরুট সংগ্রহ করতে পারে৷ কাজেই জার্মান জিহাদিদের কাজের অভাব হয় না৷

জার্মান জিহাদিরা আর্বি ভাষা না জানার ফলে অন্যান্য দেশ থেকে আসা জিহাদিদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলতে পারে না৷ সেটাও তাদের সিরিয়ায় নিঃসঙ্গ বোধ করার একটা কারণ৷ এছাড়া তাদের এই বিদেশে যেভাবে থাকতে হয়, যা খেতে দেওয়া হয়, সমৃদ্ধ দেশ জার্মানি থেকে এসে তারা তা-তে অভ্যস্ত নয়৷ অপরিচিত সব রোগ, সেই সঙ্গে জীবনের ভীতি – কেননা ইসলামপন্থিদের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির উপরে প্রায়শই আক্রমণ চালিয়ে থাকে আসাদ বাহিনী৷

না পাসপোর্ট, না টাকা

জার্মান জিহাদিরা এই সব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে যখন দেশে ফেরে, তখন তাদের মনের অবস্থা কি থাকে, তা বলা শক্ত৷ তারা এদেশে কি এবং কতটা বিপদ সৃষ্টি করতে পারে, সেটা যাচাই করার জন্য আগে জানা দরকার, তারা সিরিয়ায় কি শিখেছে, এবং কতটা জিহাদি চেতনা ও প্রেরণা নিয়ে ফিরে এসেছে৷ অন্তত তাদের পূর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মরিয়া সন্ত্রাসবাদি বলে গণ্য করার আপাতত কোনো কারণ নেই, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷

জার্মান গুপ্তচর বিভাগ বলে, জার্মান জিহাদিদের অনেকেই বিদেশে যে হতাশাজনক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে, তার ফলে তারা দেশে – অর্থাৎ জার্মানিতে ফিরতে উদগ্রীব৷ কিন্তু সেটাও সহজ কথা নয়, কেননা তারা হয়ত ভিসা না নিয়ে ঢুকেছে, এমনকি পাসপোর্ট নেই, আর্থিক সম্বল তো নেই-ই৷ কাজেই শেষমেষ জার্মান দূতাবাসের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় থাকে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ