সিরিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে ‘নিহত ৬২'
৩০ এপ্রিল ২০১১সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি
জুম্মাবারে সিরিয়ার একাধিক শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায় সেনারা৷ এতে প্রাণহানি কমপক্ষে ৬২৷ লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে এই তথ্য৷ সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে শুক্রবারের প্রার্থনার পরপরই বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে নিরাপত্তা বাহিনী৷ এছাড়া, রাজধানীর রাস্তাঘাট কার্যত দখল করে নেয় সেনারা৷ বিক্ষোভে কেঁপে ওঠে সিরিয়ার হোমস, লাটাকিয়া এবং বানিয়াসসহ অন্যান্য শহরও৷
নিহতের সংখ্যা
মানবাধিকার সংস্থার বরাতে একাধিক সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, সিরিয়ার দক্ষিণে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে সেনাদের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৩৩ জন৷ এছাড়া উত্তরের হোমস শহরে নিহতের সংখ্যা ২৭৷ বন্দর নগরী লটাকিয়ায় প্রাণ হারান আরো দুই বেসামরিক নাগরিক৷ সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অবশ্য শুক্রবারের সহিংসতায় চার সেনা মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করেছে৷ ডারা শহরে সন্ত্রাসীদের হামলায় সেনারা প্রাণ হারায় বলে দাবি সরকারের৷
আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সেদেশের সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন৷ এছাড়া সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর উপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ সিরিয়ার সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো সিরিয়ার উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সমঝোতায় পৌঁছেছে৷
হাতিয়ার ফেসবুক!
ফেসবুকে একটি পাতার নাম ‘সিরিয়ান রেভ্যুলেশন ২০১১'৷ এই পাতাতেই শুক্রবার-এর সরকার বিরোধী আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ সেই আন্দোলনে সাড়া দেয় সিরিয়ার অধিকাংশ শহরের বাসিন্দারা৷ তাই সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদের হাতিয়ার যে ফেসবুক, তাতে কোন সন্দেহ নেই৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার