সিরিয়া পরিস্থিতি
৯ মার্চ ২০১২![Former U.N. chief Kofi Annan talks during a press conference with Arab League chief Nabil Elaraby, not pictured, at the Arab league headquarters in Cairo, Egypt, Thursday, March 8, 2012. Former U.N. chief Kofi Annan says his top priority as special envoy to Syria is to end the violence, deliver humanitarian relief and finally start a "political process" to resolve the one-year conflict there. (Foto:Amr Nabil/AP/dapd)](https://static.dw.com/image/15799527_800.webp)
শুক্রবারের পরিস্থিতি
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের স্থানীয় সমন্বয়কারী একটি সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজকেও সিরিয়ায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে৷ এর মধ্যে হোমস শহরে নয় জন এবং বাকিরা ইদলিব, হামা, দামেস্ক ও অ্যালেপ্পোতে নিহত হয়েছেন৷ এছাড়াও সারা দেশে ব্যাপক মিছিল ও বিক্ষোভ হয়েছে বাশার আল আসাদ এর বিরুদ্ধে৷ সেখানকার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা জানিয়েছ, দারা, লাতাকিন, হোমস, হামা, দেইর আল জোর এবং অ্যালেপ্পো'তে ব্যাপক বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে৷
সারা দেশে যখন বিক্ষোভ চলছে, তখনি আজকে আবার নতুন করে সিরিয়ার উত্তরে ইদলিব প্রদেশে নতুন করে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা৷ ট্যাংক এর মতো ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকারি বাহিনী তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি এলাকায় অবস্থান করছে৷ বিদ্রোহী গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মির বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালাতেই সামরিক বাহিনী সেখানে অবস্থান করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷
কোফি আনানের সিরিয়া সফর
কোফি আনানের সিরিয়া সফর নিয়ে নতুন করে এক ধরণের অনাস্থা তৈরি হয়েছে বিদ্রোহীদের মধ্যে৷ গত শনিবার আনান মন্তব্য করেছিলেন যে, সিরিয়ার সাম্প্রতিক সংকটকে রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই সমাধান করতে হবে৷ কারণ সামরিক অভিযানের মতো কিছু ঘটলে সিরিয়ার পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকেই যাবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ তার এই মন্তব্যের পর, সিরিয়ান প্রধান বিরোধী দলের নেতা বুরহান গালিউন প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যে এটি খুবই দুঃখজনক৷ কারণ সিরিয়ায় প্রতিদিন ধ্বংসযজ্ঞ চলছে৷ সেখানে আলোচনা করে এর সমাধানের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি৷
রাশিয়া ও চীনের অবস্থান
সিরিয়া সংঘর্ষ ও প্রাণহানি বন্ধের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে রাশিয়া৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ-মন্ত্রী গেনাদি গাটিলভ বলেছেন, জাতিসংঘের আনা এই খসড়া প্রস্তাব মূলত পশ্চিমা সমর্থিত এবং ভারসাম্যহীন৷ কেননা এই প্রস্তাবে এক তরফা ভাবে কেবল প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকেই চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য সরকার এবং বিদ্রোহী উভয় পক্ষকেই আহ্বান জানানো উচিত ছিলো বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি৷
এদিকে সিরিয়া প্রসঙ্গে আরো বেশি কূটনৈতিক কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং৷ চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝ্যাং মিং জানিয়েছেন, যে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতেই খুব তাড়াতাড়িই একটি দল পাঠাবে মিশর, ফ্রান্স ও সৌদি আরবে৷ এই দেশগুলির কাছ চীনের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্যেই এই দল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন