1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অনুতাপে ভুগবে’ ইসরায়েল

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ইরান সোমবার বলেছে, সিরিয়ায় গত সপ্তাহে বিমান হামলার জন্য ‘অনুতাপে ভুগবে’ ইসরায়েল৷ তবে ইরান বা তার মিত্র হামলার কোনো ধরনের সামরিক জবাব দেবে কিনা – সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়নি তারা৷

A sculpture of an Israeli soldier standing guard is seen next to a sign for tourists showing the different distances to Jerusalem, Baghdad, Damascus and other locations, at an army post in Mount Bental in the annexed Golan Heights on January 31, 2013. Iran's deputy foreign minister said that the alleged Israeli air strike on a Syrian military research facility a day earlier will have "grave consequences." AFP PHOTO / JACK GUEZ (Photo credit should read JACK GUEZ/AFP/Getty Images)
ছবি: Getty Images

সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোয় এবার ইসরায়েলের উপর খানিকটা প্রতিশোধের হুমকি দিল ইরান৷ সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি সাঈদ জালিলি এই বিষয়ে বলেন, ‘‘তারা (ইসরায়েল) সাম্প্রতিক আগ্রাসনের জন্য ‘অনুতাপে ভুগবে'৷'' দামেস্কে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর একথা বলেন তিনি৷

জালিলি দামেস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সামরিক চত্বরে ইসরায়েলের বোমা হামলাকে ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের সঙ্গে সংযুক্ত করে বলেন, ইসরায়েল এ সবের জন্য অনুতাপে ভুগবে৷ তবে এই অনুতাপ কিভাবে সৃষ্টি হবে ইসরায়েলের মাঝে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানাননি তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘আজকে সিরিয়া এবং ইরানের জনসাধারণ এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সিরিয়াকে সমর্থন করছে৷''

জালিলি আরো জানান, ‘‘নন-অ্যালাইনড মুভমেন্টের বর্তমান প্রধান হিসেবে ইরান সিরিয়ার পক্ষে হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলের হামলার জবাব দেবে৷''

মিউনিখ সম্মেলনে সিরিয়া সংকট নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন লাখদার ব্রাহিমি...ছবি: Getty Images

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক রবিবার জানিয়েছেন, সিরিয়ার আগ্নেয়াস্ত্র কমপ্লেক্সে হামলার ফলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, লেবাননে ভারী অস্ত্র পাচার প্রতিরোধে ইসরায়েল অনেক সচেতন৷ এহুদ বারাক এই বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত সিরিয়ায় তার দেশের হামলার বিষয়টি নিশ্চত করেন৷

এদিকে, সপ্তাহান্তে মিউনিখ সম্মেলনে সিরিয়া সংকট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে৷ সেখানে শীর্ষ কূটনীতিকরা একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন৷ তা হচ্ছে, সিরিয়ায় সহিংসতা খুব শীঘ্রই সমাপ্তির সম্ভাবনা অত্যন্ত কম৷ সেদেশ বিষয়ক জাতিসংঘ এবং আরব লিগের শান্তি দূত লাখদার ব্রাহিমির বক্তব্যেও ফুটে উঠেছে হতাশা৷ তিনি সিরিয়ায় অলৌকিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া আর কিছু এই মুহূর্তে আশা করতে পারছেন না৷

উল্লেখ্য, সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ৷ সেদেশের বিরোধী পক্ষ বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে৷ আসাদের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন গৃহযুদ্ধে রূপ নিলেও এখনো ক্ষমতা ছাড়েনি সেদেশের শাসকগোষ্ঠী৷

এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ