এসব জিম্মির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নাগিরকও রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিরা এরইমধ্যে জিম্মিদের কয়েকজনকে হত্যা করেছে এবং আরো অনেককে হত্যার হুমকি দিয়েছে৷
কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী অবকাশ নগরী সোচিতে বৃহস্পতিবার এক আলোচনায় পুটিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর বাহিনী নিয়ন্ত্রিত ইউফ্রেটিস নদীর তীরবর্তী এলাকায় আইএস তাদের দখল বাড়াচ্ছে৷
জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আইএস কী কী দাবি করছে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি পুটিন৷
তিনি বলেন, ‘‘তারা আল্টিমেটাম দিয়েছে৷ সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি তুলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, আল্টিমেটাম পূরণ না হলে তারা প্রতিদিন ১০ জন করে হত্যা করবে৷ গত পরশু তারা ১০ জনকে মেরে ফেলেছে৷’’
সপ্তাহ কয়েক আগেই রণহুংকার ছেড়েছিল তুরস্ক৷ কুর্দিদের পরাস্ত করতে সৈন্য পাঠিয়েছিল সিরিয়ার আফরিনে৷ সিরিয়াও কুর্দিদের পক্ষে লড়াইয়ের কথা বলেছিল৷ দেখে নেওয়া যাক রণভূমি আফরিনের ছবি৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো তুরস্ক এবং সিরিয়াতেও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে৷ তারই মধ্যে তুরস্কের সীমান্ত পার করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে তুরস্কের সৈন্য৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiপাহাড় ঘেরা আফরিনের জায়গায় জায়গায় পজিশন নিয়েছে তুরস্কের সৈন্যরা৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiকুর্দি বিদ্রোহীদের খুঁজতে মহল্লায় মহল্লায় হামলা চালাচ্ছে তুরস্কের বাহিনী৷ ছাড় দেওয়া হচ্ছে না সাধারণ মানুষ এবং গবাদি পশুকেও৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiবোমারু হামলার পর আফরিনের চেহারা৷ ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Al-Khatibআফরিনে ঘাঁটি গেড়ে থাকা কুর্দি বিদ্রোহীরাও লাগাতার প্রত্যাঘাত করছে৷ তাদেরই গুলিতে আহত এক তুরস্কের জওয়ানকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiসারাদিন ধরেই চলছে লড়াই৷ তারই মাঝে পাথরের আড়ালে জিরিয়ে নিচ্ছেন সৈন্যরা৷ হাতে বন্দুক নিয়ে৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiএকদিকে যুদ্ধ চলছে৷ হাতে বন্দুক নিয়ে অতন্দ্র প্রহর গুনছেন যোদ্ধারা৷ তারই মধ্যে মোবাইলে কথা বলে নিচ্ছেন কাছের মানুষদের সঙ্গে৷ হয়তো এটাই তাঁর শেষ কথা!
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiএকনজরে দেখলে বোঝা যায় না৷ মনে হয় বোমা৷ আসলে এটা বহু দূর পর্যন্ত দেখার বাইনেকুলার৷ যুদ্ধের ট্যাঙ্কে ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiগ্রামে গ্রামে এভাবেই বন্দুক উঁচিয়ে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে কুর্দি বিদ্রোহীদের অভিযোগ৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiএভাবেই মর্টার বসিয়ে দূরের লক্ষ্যে ছোড়া হচ্ছে আফরিনে৷ একেকটি মর্টার শেলের আঘাতে মৃত্যু হচ্ছে কয়েকশ’ মানুষের৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawiযুদ্ধের মধ্যেও নামাজ পড়ে নিচ্ছেন সৈন্যরা৷ পড়ন্ত বিকেলে সকলে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছে৷
ছবি: Reuters/Khalil Ashawi রুশ বার্তা সংস্থা তাস বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, আইএস জঙ্গিরা গত ১৩ অক্টোবর সিরিয়ার দেইর-আল জর প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ৭০০ জনের মতো ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে৷
তারা ১৩০টির মতো পরিবারকে অপহরণ করে হাজিন শহরে নিয়ে যায়৷ সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের ওপর নজর রাখা ব্রিটেনভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, অপহৃত পরিবারগুলোর বেশিরভাগই বিদেশি নারীদের এবং তাদের মধ্যে নিহত আইএস যোদ্ধাদের স্ত্রীরাও রয়েছে৷
তবে পুটিনের বক্তব্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী৷ পেন্টাগনের মুখপাত্র শন রবার্টসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘গত সপ্তাহে দেইর-আল জরের কাছে একটি আইডিপি (অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষ) শিবিরে হামলা হওয়ার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি৷ তবে প্রেসিডেন্ট পুটিন যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে জিম্মি করার অভিযোগ করেছেন, সে বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই এবং এর সত্যতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে৷
‘‘ওই ক্যাম্পে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অবস্থানের বিষয়েও আমরা অবগত ছিলাম না৷’’
এএইচ/এসিবি (রয়টার্স/এপি)