1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিভক্ত বিশ্ব নেতারা

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

জি টোয়েন্টি সম্মেলনে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ বিশ্ব নেতারা৷ এদিকে, এই ইস্যুতে জাতিসংঘ রাশিয়ার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷

U.S. President Barack Obama (2nd L) listens as President Xi Jinping of China (R) speaks during their meeting at the G20 Summit in St. Petersburg, Russia September 6, 2013. REUTERS/Kevin Lamarque (RUSSIA - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

এবারের জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের নৈশভোজ পর্বটি হয়ে উঠেছিল সিরিয়া বিষয়ে আলোচনার মূল উপলক্ষ্য৷ এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চেষ্টা করছিলেন সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের সমর্থন আদায়ের৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের আমন্ত্রণে নৈশভোজ চলে ভোররাত পর্যন্ত৷

পুটিন বরাবরই এ হামলার বিপক্ষে এবং তার মতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া এই হামলা আগ্রাসনের সামিল৷

ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানান, নৈশভোজে যখন বিশ্ব নেতারা সিরিয়া নিয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করছিলেন, তখনই তাদের মত পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যায়৷ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের আইনকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুব দ্রুত এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে – এমন বক্তব্যের যেমন প্রতিবাদ অনেকে জানিয়েছে, তেমনি অন্য রাষ্ট্রগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না৷ সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রয়েছে এবং সেটা মেনে নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তারা৷

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই হামলার ফলাফল হবে ভয়াবহছবি: imago/Xinhua

সিরিয়া ইস্যুতে বৈঠক

ক্রেমলিন জানিয়েছে, নৈশভোজ চলার সময় একফাঁকে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ বৈঠকের প্রধান ইস্যু ছিল সিরিয়া পরিস্থিতি৷ নৈশভোজ শেষে শুক্রবার সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ চীন বরাবরই সিরিয়ায় অভিযানের বিপক্ষে৷ সম্মেলনে বেশিরভাগ দেশই পুটিনের পক্ষে হওয়ায় সিরিয়ায় অভিযান চালানোর জন্য কেবল ফ্রান্সকেই পাশে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷

বান কি মুনের আহ্বান

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সামরিক অভিযানের ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই হামলা চালানো হলে সেদেশে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে এবং এর ফলাফল হবে ভয়াবহ৷ তাই পরিণতির কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান তিনি৷ বৃহস্পতিবারের রুদ্ধদ্বার নৈশভোজেই বিশ্ব নেতাদের এ আহ্বান জানান বান কি মুন৷ সম্মেলনে উপস্থিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মানবতার খাতিরে তাঁদের উচিত একসাথে কোন সিদ্ধান্ত পৌঁছানো৷ জাতিসংঘের নীতি মেনেই পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি৷

বেশিরভাগ দেশই পুটিনের পক্ষে হওয়ায় সিরিয়ায় অভিযান চালানোর জন্য কেবল ফ্রান্সকেই পাশে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রছবি: picture-alliance/dpa

জাতিসংঘকে জিম্মি করে রেখেছে রাশিয়া

একদিকে বিশ্ব নেতারা যখন নৈশভোজে সিরিয়া ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত, তখন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিউইয়র্কে রাশিয়ার বিপক্ষে কথা বলছেন৷ আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জিম্মি করে রেখেছে বলে সাংবাদিকদের জানান রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার৷

মস্কো আসছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা চালানোর যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে৷ এদিকে, সিরিয়া ইস্যুতে আলোচনার জন্য সোমবার সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেমকে মস্কোতে আসছেন বলে জানিয়েছে রাশিয়া৷

সম্মেলন শেষে মার্কিন কংগ্রেসে ভোট

শুক্রবারের জি টোয়েন্টি সম্মেলন শেষে এ দিনই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ তবে, রাশিয়া ছাড়ার আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওঁলদ-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি৷ এরপরই শুরু হয়ে যাবে কংগ্রেসে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান ইস্যুতে ভোটাভুটির তোড়জোড়৷ ভোটের আগে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতা এবং ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো৷

এপিবি/এসবি (এএফপি/রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ