1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া প্রশ্নে নিরাপত্তা পরিষদে ঐক্য নেই

২ আগস্ট ২০১১

সিরিয়ায় বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি বাহিনীর নির্যাতন চলছেই৷ পরপর দুই দিনে দেড়শো’রও বেশি লোক মারার পর আজ আবারও হামা শহরে সামরিক বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে৷

হামা শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর তাণ্ডবছবি: picture alliance/dpa

এদিকে সিরিয়া প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিভেদ কাটছে না৷

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক

আরবিতে লেখা, ‘স্বাগতম রমজান, আসাদ চলে যাও’ছবি: PA/abaca

গত রবিবার হামা সহ পুরো সিরিয়ায় প্রায় ১৩০'এর বেশি লোক মারা যাওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এক বৈঠকে মিলিত হন৷ কাল সোমবার ছিল এর প্রথম দিন৷ জার্মানি সহ ব্রিটেন, ফ্রান্স আর পর্তুগাল সিরীয় সরকারের সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দেয়ার প্রস্তাব করেছিল৷ কিন্তু সে ব্যাপারে একমত হওয়া যায়নি৷ মূলত রাশিয়া আর চীনের কারণেই এটা সম্ভব হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে৷ আজও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷ তবে এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রতিনিধি বিবৃতির ব্যাপারে তাদের মনোভাব কিছুটা পরিবর্তনের আভাষ দিয়েছে৷ তিনি বলছেন, বিবৃতিতে সংঘর্ষ বন্ধ ও রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কথা বলা যেতে পারে৷

সামরিক অভিযান?

কিন্তু লিবিয়ার মতো সামরিক অভিযান নিয়ে কেউ কথা বলছেনা৷ ফ্রান্স বলছে, সিরিয়া আর লিবিয়ার ঘটনা এক নয়৷ তাই কোনো সামরিক অভিযানের কথা ভাবা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র৷ তবে কেন দুই দেশের ঘটনা এক নয়, সাংবাদিকরা এ কথা জানতে চাইলে ঐ মুখপাত্র কোনো উত্তর দেননি৷ এদিকে সিরিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতদের সরিয়ে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইটালি৷ তবে ইইউ যে নিজের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনবেনা সেটা জানিয়ে দিয়েছেন ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশ্টন৷ এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতেই এই সিদ্ধান্ত৷

সবশেষ পরিস্থিতি

আজ মঙ্গলবারও হামা শহরে সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে৷ ভয়ে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে৷ এদিকে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সানা বলছে, ‘স্যাবোটাজ' বা অন্তর্ঘাত করতে গতকাল সোমবার শতশত মুখোশধারী হামা শহরের আদালত ভবনে আগুন দিয়েছে এবং পরে ভাঙচুর করেছে৷ উল্লেখ্য, এই হামা শহরে ১৯৮২ সালে ইসলামি বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল৷ সেটা দমন করতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসাদের বাবা হাফেজ তখন একই রকম সামরিক অভিযান চালিয়েছিলেন৷ তাতে মারা গিয়েছিল প্রায় বিশ হাজার মানুষ৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ