সিরিয়া থেকে আসা স্যাকসনির এক সালাফিস্ট জার্মানিতে হামলার হুমকি দিয়েছেন৷ জার্মানির অনেকেই ইসলামি খালিফাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘ইসলামি রাষ্ট্র'-এর ভিডিও বার্তায় তাঁদের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে৷ ‘‘যে ইসলামে আস্থা রাখবে না, কিংবা ইসলামের রীতিনীতি মেনে চলবে না, তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে৷'' এই ভিডিও বার্তাটির বাহক সিলভিও কে৷ ২৭ বছর বয়স্ক এই ব্যক্তি আইএস সালাফিস্টদের জার্মান মুখ৷ জন্ম তাঁর স্যাকসনিতে৷ প্রথমে এসেন পরে সোলিঙেন শহরে নিষিদ্ধ সালাফিস্ট সমিতি ‘মিলাতু ইব্রাহিমের' সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি৷ বর্তমানে সিরিয়ায় অবস্থান করছেন তিনি৷ সেখানে থেকে খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে৷
জিহাদি জগতে এক তারকা
সিলভিও কে, তদন্তকারীদের কাছে পরিচিত৷ ‘‘তিনি জিহাদি জগতে এক তারকা৷ জার্মানির ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ সালাফিস্ট তাঁর কথা শোনেন৷'' বলেন সন্ত্রাসী বিশেষজ্ঞ গিডো স্টাইনব্যার্গ৷ এই ইসলামিস্ট অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি৷
অতীতে তিনি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে হামলার হুমকি দিয়েছেন৷ সম্প্রতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সিলভিও জার্মানিতে হামলার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ‘আল্লার যোদ্ধা' হিসাবে জার্মানির ‘কাফেরদের' বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন৷
সিরিয়ার নারী যোদ্ধাদের কথা
সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধে অংশ নিতে শুরু করেছেন নারীরাও৷ আলেপ্পোর সালাউদ্দিন এলাকায় গড়ে উঠেছে নারী যোদ্ধা দল ‘‘আল-মোউমিনিনি আয়েশা’’৷ মূলত সরকারি বাহিনীর আক্রমণ ঠেকাতে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া এই নারীদের নিয়েই আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Transterra
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত
ছবির এই নারী যোদ্ধার বয়স মাত্র ১৭ বছর৷ নিজের মাতৃভূমিকে রক্ষায় আরো ১২ জনের সঙ্গে মিলে ‘‘উম আল-মোউমিনিনি আয়েশা’’ সেনাদল গড়ে তুলেছেন তিনি৷ আলেপ্পোর কাছে সালাউদ্দিন এলাকায় তাদের অবস্থান৷
ছবি: Transterra
স্থির লক্ষ্য
সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে প্রতিরোধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন এই নারী৷ লক্ষ্য একটাই, যে কোনো মূল্যে সেনাবাহিনীর আক্রমণ থেকে নিজের এলাকা রক্ষা করা৷
ছবি: Transterra
প্রস্তুতি
‘‘উম আল-মোউমিনিনি আয়েশা’’ সেনাদলের সকল সদস্যকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আবু দিব৷ এসব অস্ত্র তারা সরকারি সেনাদের প্রতিরোধে ব্যবহার করবেন৷
ছবি: Transterra
যুদ্ধের প্রশিক্ষণ
নারী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ছবি এটি৷ আলেপ্পোয় যুদ্ধ চলাকালে রাইফেল ব্যবহারের উপায় দেখানো হচ্ছে এতে৷ এক নারী সেনা তাঁর সহযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন৷
ছবি: Transterra
মুখোমুখি লড়াই
একেবারে মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন এই নারী সেনারা৷ কালাশনিকভ রাইফেলের সঙ্গে বেয়নেট জুড়ে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন তাঁরা৷
ছবি: Transterra
নিশানা চর্চা
নিশানাবাজ বন্দুকধারী হিসেবেও কাজ করার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ‘‘উম আল-মোউমিনিনি আয়েশা’’ দলের সদস্যরা৷ ছবিতে সেদলের প্রধান একটি স্নিপার রাইফেল থেকে গুলি করার চর্চা করছেন৷
ছবি: Transterra
যুদ্ধের সীমানা
নারী সেনারা সালাউদ্দিনে সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের দখলকৃত এলাকার মধ্যকার সীমানায় নির্ধারণ করছেন৷ এভাবে তাঁরা যুদ্ধের ময়দানে হাজির থাকেন৷
ছবি: Transterra
মুখোশের আড়ালে
সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী থেকে অ্যাক্টিভিস্টে রূপ নেওয়া এই নারী সিরিয়ার সরকারি সেনাদলের হাত থেকে নিজেকে এবং তাঁর এলাকাকে রক্ষায় অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন৷
ছবি: Transterra
জানতে আগ্রহী
বিভিন্ন অস্ত্র এবং যুদ্ধ উপকরণ ব্যবহার কাছে থেকে দেখছেন তিন নারী যোদ্ধা৷ ফ্রি সিরিয়ান আর্মি তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে৷
ছবি: Transterra
নিশানা নির্ধারণ
ছবির নারী যোদ্ধা তাঁর নিশানা ঠিক করছেন৷ এ জন্য স্নাইপার রাইফেলের উপরে থাকা লেন্স ব্যবহার করে লক্ষ্য স্থির করছেন তিনি৷
ছবি: Transterra
10 ছবি1 | 10
নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এই ধরনের হুমকিকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন৷ নির্দিষ্টভাবে কিছু লক্ষ্যবস্তুর নামও উল্লেখ করায় বিষয়টি আরো উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে৷ যেমন রাইনলান্ড ফালৎস রাজ্যের মার্কিন পারমাণবিকবোমা-সংগ্রহশালা ইসলামিস্টদের নজরে রয়েছে৷ তাই এই স্থাপনাটিকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷
এছাড়া অ্যামেরিকান এয়ারফোর্স বেস-এর সুরক্ষার ব্যাপারেও জোর দেওয়া হচ্ছে৷ সরকারি ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান, দপ্তর কিংবা যানবাহন ও পরিবহনের ওপর হামলার ঝুঁকিও রয়েছে৷
প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রত্যাবর্তন
জার্মান সংবিধান সুরক্ষা দপ্তরের মতে ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় ৩২০ জন জার্মান জিহাদি সিরিয়া গিয়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছেন স্যাকসনির সিলভিও কে৷
ইসলাম বিশেষজ্ঞ আহমেত সেনিয়ুর্ট এই প্রবণতার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘তরুণরা বিপ্লবে অংশ নেওয়ার আকাঙ্খা নিয়ে সেখানে যান৷ ইসলামি খালিফাত পশ্চিমা সমাজ ব্যবস্থার বিপরীত এক ধারা, যা তাঁদের আকৃষ্ট করে৷''
যে লড়াই আজও চলছে...
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান সংঘাত নিয়ে গবেষণা করছে হাইডেলবার্গ ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট রিসার্চ (এইচআইআইকে)৷ তাদের হিসেবে, গত বছর গোটা বিশ্বে চারশোর মতো সংঘাত ঘটেছে, যার বিশটি সরাসরি যুদ্ধ৷ এই নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
শান্তির কোনো লক্ষণ নেই
ধর্মান্ধতা, দুষ্প্রাপ্য খনিজ পদার্থের লোভ কিংবা ক্ষমতা দখলের বাসনা – হাজার হাজার বছর ধরে যুদ্ধ, সংঘাতের কারণ ঘুরে ফিরে এগুলোই৷ ২০১৩ সালেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি৷ হাইডেলবার্গ ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট রিসার্চ (এইচআইআইকে) গত বছরের উল্লেখযোগ্য কিছু সংঘাত, যুদ্ধের কথা প্রকাশ করেছে ‘কনফ্লিক্ট ব্যারোমিটার ২০১৩’ শিরোনামে৷
ছবি: Reuters
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো
গত বছর কিভু-তে সেনাবাহিনী নিয়মিত এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে৷ ২০১৩ সালের শেষের দিকে অবশ্য সরকার ঘোষণা দেয়, বিদ্রোহীদের দমনে সক্ষম হয়েছে তারা৷ অন্যদিকে এম২৩ গোষ্ঠীর ঘোষণা, এখন থেকে রাজনৈতিক পথে দাবি আদায়ের চেষ্টা করবে তারা৷
ছবি: Melanie Gouby/AFP/GettyImages
মালি
মালিতে উগ্র ইসলামপন্থিরা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে৷ ২০১২ সালে সে দেশের উত্তরাঞ্চলের একটা বড় অংশ তাদের দখলে চলে যায়৷ ফলশ্রুতিতে মালি সরকারকে যুদ্ধে সহায়তায় এগিয়ে আসে ফ্রান্স৷ এরপর পিছু হটতে বাধ্য হয় উগ্র ইসলামপন্থিরা৷ বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মালিতে শান্তি রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে৷ তবে সে দেশে বিভিন্ন জঙ্গি এবং আত্মঘাতী হামলার খবর মাঝে মাঝেই শোনা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নাইজেরিয়া
উগ্র ইসলামপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম নাইজেরিয়ায় শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷ এই লক্ষ্য পূরণে সে দেশের খ্রিষ্টান এবং মধ্যপন্থি মুসলমানদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে গোষ্ঠীটি৷ ছবিতে একটি হামলায় নিহতদের জন্য সমাধি খুঁড়ছেন তাদের খ্রিষ্টান আত্মীয়রা৷ নাইজেরিয়ায় আরো একটি সংঘাত চলছে৷ তৃণভূমি ইস্যুতে খ্রিষ্টান কৃষকরা লড়াই করছেন গবাদি পশু পালক মুসলমানদের সঙ্গে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সুদান
গত দশ বছরের বেশি সময় ধরে দারফুর অঞ্চলে বসবাসকারী আফ্রিকার বিভিন্ন গোষ্ঠী সরকারি বাহিনী এবং তাদের অনুসারীদের সঙ্গে লড়াই করছে৷ যুদ্ধের কারণে কয়েক লাখ মানুষ ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আফগানিস্তান
আফগানিস্তানে নিযুক্ত ন্যাটো বাহিনী স্থানীয় বাহিনীর হাতে সে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পরও সংঘাত অব্যাহত রয়েছে৷ তালেবান এবং অন্যান্য চরমপন্থি গোষ্ঠী সে দেশের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলা এবং ‘বুবি-ট্র্যাপ’-এর মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে সংঘাত থামার কোন লক্ষণ নেই৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, আফগানিস্তানে ২০১৩ সালে আড়াই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেক্সিকো
মাদক, মানবপাচার, ব্ল্যাকমেল এবং চোরাচালানের মতো কর্মকাণ্ড মেক্সিকোর মাফিয়াদের অর্থ উপার্জনের উৎস৷ আয়ের এসব উৎস নিরাপদ রাখতে মাফিয়ারা একে অপরের সঙ্গে এবং প্রয়োজনে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ সে দেশে প্রতি সপ্তাহেই দাঙ্গার ঘটনা ঘটে৷ মেক্সিকো সরকারের হিসেব অনুযায়ী, গত বছর সে দেশে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সিরিয়া
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে৷ সেদেশ কার্যত বিভিন্ন অংশে ভাগ হয়ে গেছে৷ কিছু অংশের দখল রয়েছে সে দেশের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারি বাহিনীর কাছে, বাকি বিভিন্ন অঞ্চল মধ্যপন্থি বিরোধী দল, উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দখলে চলে গেছে৷ সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ নিহত এবং নব্বই লাখের মতো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে৷
ছবি: Mohmmed Al Khatieb/AFP/Getty Images
ফিলিপাইন্স
চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিপাইন্সে মোরো সম্প্রদায় স্বাধীনতার দাবিতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে৷ মাঝে কিছুদিন অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকার পর ২০১৩ সালে আবারো তারা শুরু হয়েছে সহিংস সংগ্রাম৷ বিদ্রোহী গোষ্ঠী এমএনএলএফ সে দেশের দক্ষিণের দ্বীপগুলোর স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে৷ যুদ্ধের কারণে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে৷
ছবি: Reuters
সোমালিয়া
সোমালিয়ায় আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর যুদ্ধ চলছে গত আট বছর ধরে৷ জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের সেনাদের সহায়তায় সোমালিয়া সরকার আল-শাবাবকে ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে৷ তবে এখনো সে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বড় অংশ জঙ্গি গোষ্ঠীর দখলে রয়েছে৷
ছবি: Mohamed Abdiwahab/AFP/Getty Images
দক্ষিণ সুদান
তিন বছর আগে স্বাধীনতা লাভ করা দক্ষিণ সুদানে এখনো সংঘাত অব্যাহত রয়েছে৷ সে দেশের ভাইস-প্রেসিডেন্টের পক্ষের সেনারা প্রেসিডেন্সিয়াল ফোর্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে৷ এছাড়া প্রতিবেশী দেশ সুদানের দুটি রাজ্যে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছে দক্ষিণ সুদানের সেনারা৷
ছবি: Reuters
11 ছবি1 | 11
ইসলামি রাষ্ট্রের দাবিদারদের মধ্যযুগীয় মনে হলেও তাঁদের কাছে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ও মিডিয়ার কলাকৌশল রয়েছে৷ এইভাবে তাঁরা সেইসব মানুষের কাছে পৌঁছান, যাঁরা জার্মান সমাজে কখনই ঠিক মতো গৃহীত হননি বলে মনে করেন৷ বলেন ইসলাম বিশেষজ্ঞ আহমেত সেনিয়ুর্ট৷
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে জার্মানিতে ফিরে এলে এইসব ব্যক্তি আরো চরমপন্থি হয়ে উঠতে পারেন৷ আত্মঘাতী হামলা কিংবা ব্রাসেলসের মতো আক্রমণ ঘটাও অসম্ভব নয়৷ গত মে মাসে খুব সম্ভবত সিরিয়ার ‘পবিত্র যুদ্ধ' থেকে ফেরা এক ব্যক্তির গুলিতে চার ব্যক্তি নিহত হন৷
ইউরোপীয় সমস্যা
ফেডারেল সংবিধান সুরক্ষা দপ্তরের প্রেসিডেন্ট হান্স-গেওর্গ মাসেন বলেন ‘সিরিয়ান যোদ্ধাদের' ফিরে আসা এখন ইউরোপীয় সমস্যা হয়ে উঠেছে, যা নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ৷ এক্ষেত্রে শুধু পুরুষদের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে চলবে না৷ মেয়েরাও খুব পিছিয়ে নেই৷ সম্প্রতি বাভারিয়ায় সন্দেহজনক এক নারীকে আটক করা হয়েছে, যিনি সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামিস্টদের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন৷ যুদ্ধ কবলিত এলাকায় তাঁর দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি৷