সিরীয়দের দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করতে পারে জার্মানি
৫ জানুয়ারি ২০২৫জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজার জানান, জার্মানিতে বিশেষ পরিস্থিতিতে আশ্রয় নেওয়া কিছু সিরীয় শরণার্থীকে দেশে ফেরত যেতে হতে পারে৷
এক মাস আগে ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাসের হাতে পতন হয় বহু বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের৷ আসাদের পতনের পর জার্মান সরকার সিরীয়দের আর নতুন কোনো আশ্রয়আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে ঘোষণা দেয়৷ এরইমধ্যে জার্মানিতে অবস্থানরত সিরীয়দের দেশে ফেরত পাঠানো হবে কি না সে আলোচনা শুরু হয়৷ এই পরিস্থিতি সিরীয়দের বিষয়ে এই মন্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর৷
যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফুংকে মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের আইন অনুযায়ী, ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি সুরক্ষা প্রদানের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে এবং যাদের এমন সুরক্ষা প্রয়োজন নেই তাদের সুরক্ষা সুবিধা বাতিল করা হবে৷ কারণ সিরিয়ার পরাস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে৷’’
এই সুবিধাগুলো তাদেরকে দেওয়া হবে যারা অন্যসব কারণে যেমন কাজের বা ট্রেনিংয়ের জন্য এই সুবিধা পাচ্ছে না, বলেন তিনি৷
তবে ফেজার আরো বলেন, যারা এরইমধ্যে জার্মান সমাজে ভালোভাবে একীভূত হয়েছে, চাকরি করছে, জার্মান ভাষা শিখেছে এবং এখানে নতুন করে আবাস গড়ে তুলেছে তাদেরকে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, যেই সিরীয়রা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায় তাদের যেতে দেওয়া উচিত৷ সেইসাথে অপরাধী এবং কট্টর ইসলামপন্থিদের দ্রুত ফেরত পাঠানো উচত বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
‘‘এরজন্য প্রয়োজনীয় আইনি সুযোগ আমরা তৈরি করেছি এবং সিরিয়ার পরিস্থিতি অনুকূলে আসলেই এই আইনের ব্যবহার করা হবে,’’ বলেন তিনি৷
জার্মানিতে প্রায় ১০ লাখ সিরীয়
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় নয় লাখ ৭৫ হাজার সিরীয় বাস করছেন৷ তাদের অধিকাংশই ২০১৫ সালে সঙ্কটের সময়ে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷
সরকারের তথ্য মতে, তিন লাখ সিরীয়কে সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন সুবিধার আওতায় জার্মানিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়৷ এর অর্থ হলো, জার্মান সরকার মনে করে, তারা যদি নিজ দেশে ফেরত যায় তাহলে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে পারে৷
দামেস্ক জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, শুক্রবার দামেস্ক ভ্রমণ করেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে একটি অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার শুরুর সম্ভাবনা এবং কীভাবে সঠিকভাবে মানবাধিকার নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতেই সিরিয়ার রাজধানী সফর করেন তিনি৷
আরআর/এআই (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)