1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরীয় উদ্বাস্তুদের জন্য সহায়তা

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শরণার্থীদের বিষয়ে নতুন কিছু উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে ইইউ৷ মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সিরীয় উদ্বাস্তুদের ১২০ কোটি ইউরো অর্থ সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ইইউ-র বহিঃসীমান্তে তদারকি ব্যবস্থাও জোরদার করবে ইউরোপের এই আঞ্চলিক জোট৷

Griechenland Flüchtlinge auf Lesbos
ছবি: Reuters/D. Michalakis

ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার ভোরে শেষ হয় শরণার্থী সংকট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর জরুরি সম্মেলন৷ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর সম্মেলনটি সফলভাবেই শেষ হয়৷ ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক জানান, সভায় মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সিরীয় উদ্বাস্তুদের সহায়তার জন্য ১২০ কোটি ইউরো প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ এ অর্থ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর মাধ্যমে মাধ্যমে বণ্টন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

বুধবার শুরু হওয়া ইইউ-র জরুরি সভায় শরণার্থীর আগমন তদারকির বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ সভায় সভাপতিত্ব করা টুস্ক বলেন, ‘‘(ইইউ-র) সদস্যদের সবাই এ বিষয়ে নিশ্চিত যে আমরা যদি আমাদের বহিঃসীমান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার না করি, তাহলে চলমান সংকটের সঙ্গে কার্যকরভাবে খাপ খাওয়ানো কখনোই সম্ভব হবে না৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সিরিয়া ও ইরাকের সংকট খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবার নয়৷ এ কারণেই এখন আর কয়েক হাজার নয়, কয়েক মিলিয়ন শরণার্থী ইউরোপে আসার চেষ্টা করছে এবং আমরা তাদের নিয়ে কথা বলছি৷''

তবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অবাধে শরণার্থীর আগমন নিয়ন্ত্রণ করতে এবার সীমান্তে ‘হটস্পট', অর্থাৎ বিশেষ পর্যবেক্ষণ ও তদারকি কেন্দ্র স্থাপন করবে ইইউ৷ ব্রাসেলসের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্তও হয়েছে৷

অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালেও শরণার্থী গ্রহণের বিষয়ে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এখনো আছে৷ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবারও বলেছেন, ‘‘ম্যার্কেল যেভাবে শরণার্থী সংকট মোকাবেলা করছেন, সেটা নৈতিক সাম্রাজ্যবাদের শামিল৷''

পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো শুরু থেকেই শরণার্থী নিতে চায়নি৷ হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া শরণার্থী নেয়ার বিপক্ষে ভোটও দিয়েছে৷

এদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেরা ম্যার্কেল বলেছেন, সিরিয়ার সংকট নিরসনের চেষ্টা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে নিয়েই করতে হবে৷ তাঁর মতে, আসাদকে দূরে রেখে সিরিয়া এবং সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয় শান্তি ফেরানো সম্ভব নয়৷

ব্রাসেলসে ইইউ-র জরুরি সম্মেলন শেষে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমাদের অনেকের সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে৷ আসাদের সঙ্গে তো বটেই, আরো অনেকের সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে৷ শুধু যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার সঙ্গে নয়, ইরান ও সুন্নি অধ্যুষিত দেশ সৌদি আরবের মতো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে৷''

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি,এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ