সিরীয় সেনাবাহিনী জিশর আল শোগুরে অভিযান চালালো
১২ জুন ২০১১রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বিবরণ অনুযায়ী সেনাবাহিনী অজানা বন্দুকধারীদের সঙ্গে জোরালো যুদ্ধ চালাচ্ছে৷ কিন্তু কারা এই বন্দুকধারী? সে প্রশ্ন গত সপ্তাহে সরকারপক্ষ যখন জিশর আল শোগুরে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২০ জন সদস্যের নিহত হবার খবর দেয়, তখনই উঠেছে৷ সরকার দায়ী করে ‘‘অস্ত্রধারী গুণ্ডার দল''-কে৷ উদ্বাস্তুরা এবং বিরোধীরা বলছে, সেনাবাহিনীর মধ্যেই বিদ্রোহ ঘটেছে৷ যে সব সৈন্য বেসামরিক নাগরিকদের উপর গুলি চালাতে অস্বীকার করেছে, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়৷ এক উদ্বাস্তু মহিলা তুর্কি টিভি'কে বলেছেন, জিশর আল শোগুরে সেই হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীতেই বিভেদ দেখা দেয়৷ দুই দল পরষ্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, অথচ দোষ দেওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর৷
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এখনও জিশর আল শোগুরের ভিতরে ও আশেপাশে তীব্র যুদ্ধের কথা বলছে৷ অনামা সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা নাকি শহরে অবস্থান নিয়েছে৷ সেনারা শহরে ঢোকার পথে ও বিভিন্ন সেতু থেকে বিস্ফোরক সরিয়েছে৷ বহু বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কাছে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে৷ এমনকি জাতীয় হাসপাতাল থেকে বন্দুকধারীদের সরাতে হয়েছে৷
কিন্তু তা কতোটা বিশ্বাসযোগ্য? জিশর আল শোগুর তো অভিযানের আগেই প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছিল৷ শহরের ওপর যখন সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণ চলেছে, তখন তুরস্কের দিকে উদ্বাস্তুর স্রোত বেড়েছে৷ তাদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে সৈন্যরা জিশর আল শোগুরের কাছে মাঠের ফসল জ্বালিয়ে দিয়েছে৷ গরু-বাছুর পুড়িয়ে মেরেছে৷ এখন এটা সেনাদের কাজ, অথবা সেনাবাহিনীর কোন অংশের কাজ, এ'সব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে৷
তুরস্ক উদ্বাস্তুদের ঢুকতে দিচ্ছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে তাদের খোলাখুলি মিশতে দিচ্ছে না৷ অপরদিকে উদ্বাস্তুর স্রোত আরো বাড়লে বাফার জোন সৃষ্টির কথা বলছে৷ এটাও রহস্যের পর্যায়ে পড়ে৷ অথবা ক্রমশ প্রকাশ্যের পর্যায়ে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম