শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার
১২ জুন ২০১২সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের সুরক্ষার জন্য নিয়োজিত জাতিসংঘের প্রতিনিধি রাধিকা কুমারস্বামী বলেছেন, ‘‘সিরিয়ায় শিশুদের বিরুদ্ধে যে ধরণের বর্বরতা চলেছে, তা আমি খুব কমই দেখেছি৷ তাদের ধরে রাখা হচ্ছে, নিপীড়ন করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে এবং মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷''
রিপোর্ট বলছে, ৯ই মার্চ সরকারি সেনারা ইদলিব প্রদেশের আইন আল-আরুজ গ্রামের উপর আক্রমণ চালানোর আগে আট থেকে ১৩ বছরের বেশ কিছু শিশু-কিশোরকে আটক করে তাদের মানব ঢাল হিসেবে সৈন্যদের বাস'এর জানালায় বসতে বাধ্য করে৷ ‘সশস্ত্র সংগ্রামে শিশু', এই শীর্ষকের রিপোর্টটি হুলা'র হত্যাকাণ্ড, অর্থাৎ ২৫শে মে'র হত্যাকাণ্ডের আগেই সমাপ্ত হয়৷ কাজেই সেখানে হুলা'র হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যান স্থান পায়নি৷ হুলা'র হত্যাকাণ্ডে নিহত ১০৮ জনের মধ্যে ৪৯ জন ছিল শিশু৷
এবং এই বর্বরতা ও নৃশংসতার কাহিনী হুলা'তেই শেষ নয়৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সোমবার বলেছেন, সিরিয়া প্রশাসন লাটকিয়া প্রদেশে আরেকটি হত্যাকাণ্ডের অবতারণা ঘটাতে পারে বলে খবর আছে৷ এবং তা ঘটলে, ‘‘ব্যক্তিবর্গকে দায়ী করা হবে,'' বলে নুল্যান্ড ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সামনে হুমকি দেন৷
ওদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন সিরিয়া জুড়ে সংঘাতের ‘‘বিপজ্জনক তীব্রতা বৃদ্ধির'' কথা বলেছেন৷ বান'এর মুখপাত্র মার্টিন নেসির্স্কি সোমবার নিউ ইয়র্কে বলেন যে, সিরিয়ায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা ‘‘সরকার এবং বিরোধীপক্ষের সৈন্যদের মধ্যে বর্ধিত সংঘাতের'' খবর দিয়েছেন৷
সোমবার সমগ্র সিরিয়ায় মোট ৫০ জন নিহত হয়৷ হোমস, ইদলিব ও লাটকিয়া প্রদেশে সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ চলেছে৷ সর্বশেষ খবর অনুযায়ী পূর্বের দেইর আল-জর শহরে প্রতিবাদ প্রদর্শনরত বিক্ষোভকারীদের উপর একটি মর্টারের গোলা এসে পড়ায় অন্তত দশ জন প্রাণ হারিয়েছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন