1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিলেটে মুখ থুবড়ে পড়ল টাইগাররা

৬ নভেম্বর ২০১৮

জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২১ রান৷ হাতে ছিল দুই দিন৷ অথচ দেড় সেশনের বেশি টিকতেই পারলো না টাইগাররা৷ ফলে ১৭ বছর পর বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিতল জিম্বাবোয়ে৷ ২ টেস্টের সিরিজ এগিয়ে গেল ১-০-তে৷

Cricket Bangladesch vs. Simbabwe
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

ওয়ানডেতে জিম্বাবোয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করার পর সফরকারী দলকে টেস্টে হালকাভাবে নেয়া হয়েছে, এ অভিযোগ অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর৷ কিন্তু পোস্ট ম্যাচ প্রেস ব্রিফিংয়ে তা উড়িয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ৷

‘‘সিলেটের কন্ডিশন বিবেচনায় টিম ম্যানেজমেন্ট যে দল তৈরি করেছে, তিনজন স্পিনার নেয়া হয়েছে, আমিও মনে করি সেটিই সঠিক,'' বলেন অধিনায়ক৷

কিন্তু তারপরও কেন এত সহজে ধরাশায়ী হলো বাংলাদেশ? প্রথম ইনিংসে এই বোলিং লাইনআপের বিপরীতে জিম্বাবোয়ে করে ২৮২, আর বাংলাদেশ করে তার প্রায় অর্ধেক (১৪৩)৷ দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের ১৮১-তে আটকে রাখতে পারলেও বাংলাদেশ এখানেও পিছিয়ে৷ ১৬৯ রানে অলআউট৷ অর্থাৎ দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল জিম্বাবোয়ে৷

১৭ বছর আগে বিদেশের মাটিতে যে টেস্টটি তারা জিতেছিল, সেটিও বাংলাদেশে৷ সে দলে অবশ্য ছিলেন ফ্লাওয়ার ভ্রাতৃদ্বয়, হিথ স্ট্রিকের মতো ক্রিকেটাররা৷ কিন্তু এই জিম্বাবোয়ের কাছেও এমন অসহায় আত্মসমর্পন, যারা গত পাঁচ বছরে কোনো টেস্ট জেতেনি?

‘‘আমরা ঘুরে দাঁড়াবো,'' পোস্ট ম্যাচ ব্রিফিংয়ে বলেন মাহমুদউল্লাহ৷‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেট এর চেয়েও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে৷ কিন্তু বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷''

মিরপুরে ১১ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবেন ক্রিকেটাররা৷ অন্তত এমনটাই আশা অধিনায়কের৷

কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তেমন আশা জাগায় না৷ টেস্টে এই ম্যাচেই যে বাংলাদেশ খারাপ করেছে তা নয়৷ জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে রীতিমতো দুঃস্বপ্ন দেখে এসেছিল টাইগাররা৷

এমনকি তার আগের দু'টি সিরিজেও শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে৷

সুতরাং ওয়ানডেতে যতই দুর্দান্ত হোক বাংলাদেশের পারফরম্যান্স, টেস্টে যে এখনো বহুদূর যেতে হবে, তা বারবারই প্রমাণিত হয়েছে৷ বিশেষ করে মানসিকতায়৷ ম্যাচের পরে তেমনটিই ইঙ্গিত দিলেন জিম্বাবোয়ের ভারতীয় কোচ লালচাঁদ রাজপুত৷ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই ম্যাচে কোন দিক থেকে এগিয়ে ছিল জিম্বাবোয়ে?

‘‘অবশ্যই মানসিকতায়,'' জবাবে বলেন তিনি৷

অবশ্য দলের শেষ দিনের ব্যাটিং অনেকের মনেই এমন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷ যেমন, শেষ বলটিই দেখুন৷ শট নিতে গিয়ে এজড হয়ে চাকাবভার হাতে ক্যাচ দিলেন আরিফুল৷ অথচ তখনও দিনের দেড় সেশন বাকি৷ অবশ্য ৩৭ বলে ৩৮ রান করা আরিফুল একাই শেষ দিকে লড়েছেন৷ সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলে তাঁরই বা কী করার আছে? 

কিন্তু অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ কী করলেন? সুইপ না পুল? ইমরুল কায়েস আর লিটন দাসের ওপেনিং জুটি ভালোই করছিল৷ কিন্তু এক সিকান্দার রাজা পুরো সিরিজে যা ভুগিয়েছেন, সেখানে তাঁকে একটু সমীহ করে খেললে খুব কি অসুবিধা হতো? কিন্তু ২৩ রান করা লিটন উইকেট দিয়ে এলেন৷ ৪৩ করা ইমরুল লম্বা ইনিংসের আশা দেখাচ্ছিলেন৷ কিন্তু তিনিও রাজাকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ডই হয়ে গেলেন৷ এর মাঝে এসেছিলেন মুমিনুল৷ তাঁর যেন কী হয়েছে৷ আবারো ফ্লপ৷ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন, জার্ভিসের অনেক বাইরের একটি বল খেলতে গিয়ে৷  শেষ দিকে আরিফুল হক ছাড়া আর কেউ উইকেটে টিকতেই পারেননি৷

আগের দিন কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ ওভারে ২৬ রান করেছিল বাংলাদেশ৷ আর চতুর্থ দিন আরো ৫৩ ওভার খেলে ১৪৩ রান যোগ করতেই সবক'টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ৷

দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ১১৪ দশমিক ১ ওভার৷ আর জিম্বাবোয়ে প্রথম ইনিংসেই খেলেছে ১১৭ দশমিক ৩ ওভার৷

প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান করা শন উইলিয়ামস হয়েছেন ম্যাচসেরা৷ বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ১১ উইকেট৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ