ইটালির সিসিলিয়ায় শরণার্থীদের ভিড় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ তবে জনগণের সহায়তা না পেলে কর্তৃপক্ষ এই ভার সামালাতেই পারতেন না৷ স্থানীয় মানুষ যে সেখানে আতঙ্কের বদলে আতিথেয়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷
ছবি: K. Hoffmann
বিজ্ঞাপন
আদমের বয়স মাত্র ১৮ হলো৷ কিন্তু এই বয়সেই এক জীবনযোদ্ধায় পরিণত হয়েছে সে৷ সিসিলিয়ার লাম্পেডুসাতে তার যেন পঞ্চমবারের মতো জন্ম হলো৷ স্বদেশ ঘানায় এক হামলার শিকার হয়ে প্রায় মারা যাচ্ছিল সে৷ লিবিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পথে তিনবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচেছে৷ ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার পথে এক চুলের জন্য পানিতে ডোবার হাত থেকে রক্ষা পায়৷ এক সহযাত্রী চুল ধরে টেনে তুলেছিলেন তাকে৷
রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের বৈধ কাগজপত্রের জন্য এক থেকে দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়ছবি: K. Hoffmann
জনসাধারণের সহায়তা
আদম এখন লাম্পেডুসাতে এক জেলের বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছে৷ ইটালিয়ান ভাষা ও পিৎসা বানানো শিখছে সে নব উদ্যোমে৷
আদমের মতো শয়ে শয়ে অল্পবয়সি শরণার্থী গত কয়েক মাস ধরে ইটালিতে আসছে৷ যথেষ্ট আশ্রয়শালা না থাকায় বিভিন্ন পরিবারে ভাগাভাগি করে রাখা হয়েছে তাদের৷ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে৷ ২০১১ সালে শরণার্থীদের বিশাল স্রোতকেও যেন ছাড়িয়ে গিয়েছে এবারকার শরণার্থী সমাগম৷ সেই সময় কয়েকদিনের মধ্যে ২৫০০০ তরুণ টিউনিশিয়ান ইটালির মাটিতে পা রাখে৷ লাম্পেডুসাতে দিনরাত বেকারি জ্বলতে দেখা যায়৷ অন্ততপক্ষে শরণার্থীদের যাতে অভুক্ত না থাকতে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়৷ জেলে এনজো ও তাঁর সহযোগীরা ম্যাট্রাস পাতার জন্য আসবাব-পত্র সরিয়ে ফেলেন৷ তারপর আশ্রিতদের জন্য খাবার সংগ্রহ করার জন্য মাছ ধরতে যেতেন তাঁরা৷ ‘‘এই মানুষগুলি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন৷ তাঁদের আশ্রয় দেওয়া তো একান্তই স্বাভাবিক ব্যাপার৷'' বিনয়ের সাথে বলেন এনজো৷
জীবিকার তাগিদে উত্তাল সাগর পাড়ি
উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিদে আফ্রিকার অনেক নাগরিক ইউরোপে যায়৷ কিন্তু সুখের দেখা কি মেলে?
ছবি: Reuters
নড়বড়ে জলযানে উত্তাল সাগর পাড়ি
এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি বছর গ্রীষ্মে কাজের খোঁজে হাজার হাজার আফ্রিকান নাগরিক উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে ইটালির দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অস্থায়ী বাসস্থান
কোনোমতে সাগর পাড়ি দিতে পারলে অভিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা হয় ছবির এমন পরিবেশে, একটি বস্তিতে৷ সেখানে থেকে তাঁরা সবজি বা ফল পাড়ার কাজ খোঁজেন৷ কিন্তু এসব পণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় ইদানীং বেশি কাজ পাওয়া যাচ্ছে না৷
ছবি: DW/J.Hahn
‘ইউরোপীয় বস্তি’
প্রায় এক হাজার আফ্রিকান নাগরিক বাস করেন দক্ষিণ ইটালির আপুলিয়ার এই বস্তিতে৷ ‘দ্য ঘেটো’ নামে পরিচিত সেই আবাসস্থলে নেই বিদ্যুৎ, নেই টয়লেট, এমনকি নেই পানিও৷ তারপরও গ্রীষ্মকাল এলেই সেখানে আগন্তুকের সংখ্যাটা বাড়ে৷ কারণ আবহাওয়া উপকূলে থাকায় ইদানীং আরও বেশি সংখ্যক আফ্রিকান সাগর পাড়ি দিতে আগ্রহী হচ্ছেন৷
ছবি: DW/J.Hahn
সাইকেলই ভরসা
‘দ্য ঘেটো’-তে বেঁচে থাকতে হলে একজনের উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন৷ আর সেটা যদি হয় সাইকেল ঠিক করার দক্ষতা তাহলে ভালো৷ কেননা সাইকেলে করেই অভিবাসীরা কাজের খোঁজে বের হন৷ অনেকে সাইকেল ধারও নেন৷
ছবি: DW/J.Hahn
অর্থনৈতিক সংকট
‘দ্য ঘেটো’র সবচেয়ে কাছের বড় শহর ফোগিয়া, যেটা ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ অভিবাসীরা সাধারণত সেখানেই কাজের খোঁজ করেন৷ তবে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেখানে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে৷
ছবি: DW/J.Hahn
আশা যেন নিরাশা
ইবরা এমবেকে ফল (বামে) এবং নাগর সার (ডানে)৷ সেনেগালের এই দুই নাগরিক জানেন ইটালিতে টাকা আয় করা কতটা কঠিন৷ ইবরা ঘণ্টা প্রতি সাড়ে তিনশো টাকায় টমেটো তোলার কাজ করেন৷ তবে এর একটা অংশ চলে যায় মাফিয়াদের কাছে৷
ছবি: DW/J.Hahn
বাংলাদেশিদের লক্ষ্য মালয়েশিয়া
আফ্রিকানদের যেমন ইউরোপ তথা ইটালি, বাংলাদেশিদের তেমন স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়া৷ কক্সবাজার থেকে ট্রলারে করে সাগর পাড়ি দিয়ে সেখানে যেতে আগ্রহী হন অনেক বাংলাদেশি বেকার যুবক৷ এমনটা করতে গিয়ে মারা পড়েন অনেকেই৷
ছবি: Reuters
7 ছবি1 | 7
ইটালিয়ানরা অতিথিপরায়ন
‘‘আমরা ইটালির মানুষরা অতিথিপরায়ন৷'' বলেন জিওভানি গামবুজা৷ দক্ষিণ সিসিলিয়ার এক শরণার্থী শিবিরের পরিচালক তিনি৷ কিন্তু শুধু আতিথেয়তা দিয়ে তো কাজ হয় না৷ এর ফলে সমস্যারও সৃষ্টি হয়৷ বলেন জিওভানি৷ বিশেষ করে তরুণ শরণার্থীদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তিনি৷ ইটালি সরকারে একার পক্ষে এই চাপ নেওয়া সম্ভব নয়৷ ইউরোপীয় ইন্সটিটিউশনগুলিরও সরাসরি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা উচিত৷
তবে ততদিন পর্যন্ত নাগরিক উদ্যোগ, বিভিন্ন সংঘ-সমিতি, বিশেষ করে গির্জা এইসব অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে পারে৷
দীর্ঘ সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বের পর ক্যাথলিক গির্জা আফ্রিকার সংকটপূর্ণ অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা মানুষজনের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপের নির্দেশে খালি গির্জা ভবনগুলিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷ পাতা হয়েছে সারি সারি ক্যাম্পখাট৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশে আত্মীয়স্বজনের কাছে যাওয়ার আগে সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে৷
‘আশার আশ্রয়স্থল'
‘আশার আশ্রয়স্থল' স্টেশনের পেছনে প্রাক্তন ব্যারাকটিকে এই নামই দিয়েছেন ফ্রানসিসকান ব্রাদার, বিয়াগো কন্টে৷ তাঁর উদ্যোগে গত ১৫ বছর ধরে দক্ষিণ ইটালির সবচেয়ে বড় বেসরকারি শরণার্থী শিবির হিসাবে কাজ করছে এটি৷ ধ্বংসাবশেষের মাঝখানে একটি ক্যান্টিন তৈরি করেছেন তিনি৷ সেখানে দৈনিক ১২০০ প্লেট খাবারের ব্যবস্থা করা হয়৷ মানুষের দানের অর্থ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা দিয়ে চালানো হয় এইসব কর্মকাণ্ড৷ ৭০০ ব্যক্তি প্রাক্তন ব্যারাকে ঘুমাতে পারেন৷ অনেকে অল্প কিছুদিন থাকেন সেখানে৷ কেউ কেউ আবার পাদ্রিদের কাছেও আশ্রয় নেন৷ কেননা সেখানে খাবার দাবার সাদামাটা হলেও পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে৷
সরকার পরিচালিত শিবিরগুলিতে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে খরচ বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়৷ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের বৈধ কাগজপত্রের জন্য এক থেকে দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়৷ শিবিরে মাত্র এক প্লেট পাস্তা খেয়ে সারাদিন কাটাতে হয় তাঁদের৷ এতে দিন দিন দুর্বল হতে থাকেন তারা৷ কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়েন৷
গ্রিসে অভিবাসীদের চরম দুর্দশা
আর্থিক মন্দার কারণে সামগ্রিকভাবে গ্রিসের অবস্থা অত্যন্ত কাহিল৷ এই কাহিল দশার ভুক্তভোগী হচ্ছেন সেদেশে অবস্থানরত বৈধ, অবৈধ অভিবাসীরা৷ অনেকে বাধ্য হয়ে বেছে নিচ্ছেন ভিক্ষাবৃত্তি, জীবন কাটাচ্ছেন রাস্তায়৷
ছবি: DW/ A. Stahl
ভয় এবং ঘৃণা
‘ভয়ের সভ্যতায় স্বাগতম’ - অভিবাসীদের জন্য গ্রিস ক্রমশ ভয়ের রাজ্যে রূপ নিচ্ছে৷ তাদের নিত্যদিনের জীবন এখন সহিংসতা, বৈষম্য আর দারিদ্র্যের বিস্বাদে ভরা৷
ছবি: DW/ A. Stahl
কিছুই বাকি নেই
কাগজপত্র ছাড়া দুই অভিবাসীকে একটু আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ অবৈধ অভিবাসী হিসেবে আটক এই দুই ব্যক্তি তাকিয়ে আছেন নিয়তির দিকে৷ গ্রিসে বসবাসকারী এরকম অসংখ্য অবৈধ ব্যক্তিকে প্রতিদিন গ্রেপ্তার করছে পুলিশ৷ গ্রেপ্তারের পর এদেরকে বাসে করে আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷ প্রতিদিন অবৈধ অভিবাসী ভর্তি ১০-১৫টি বাস আটক কেন্দ্রে পৌঁছায়৷
ছবি: DW/ A. Stahl
বাক্সের মধ্যে জীবনযাপন
অর্থনৈতিক মন্দা গ্রিসের বাসিন্দাদের অত্যন্ত শক্তভাবে আঘাত করেছে৷ এর ফলে অনেকে হয়েছেন গৃহহীন, বাস করছেন রাস্তায়৷ ২০০৯ সালের তুলনায় বর্তমানে সেদেশের রাস্তায় বসবাসকারী গৃহহীনের সংখ্যা বেড়েছে ২৫ শতাংশ৷
ছবি: DW/ A. Stahl
ভয়ের মধ্যে বসবাস
আনা টাসাভি একজন সিরীয় শরণার্থী৷ কোন কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে এথেন্সে বাস করেন তিনি৷ তিনি দিনের বেশিরভাগ সময় বন্ধুর বাড়িতে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকেন৷ তার মধ্যে সবসময় আতঙ্ক কাজ করে, এই বুঝি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হবেন কিংবা ডানপন্থী গুণ্ডাদের আক্রমণের শিকার হবেন৷ নিজের দেশে ফেরাটাও তার জন্য অনেক বিপজ্জনক৷
ছবি: DW/ A. Stahl
বহিরাগত
একজন অভিবাসী নারী এবং তার শিশু এথেন্সের আটক কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন৷ অবৈধ হিসেবে আটক হওয়ায় কয়েকমাস কারাভোগ করতে হয়েছে তাদের৷
ছবি: DW/ A. Stahl
বৈশ্বিক অর্থনীতি
গ্রিসে আর্থিক মন্দার কারণে সেদেশের সরকার এবং বিশ্বায়নে তাদের ভূমিকার উপর গভীর অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে৷
ছবি: DW/ A. Stahl
ব্যাপক ভিড়
এথেন্সের পররাষ্ট্র দপ্তরের সামনে প্রতিদিন ভিড় করেন অসংখ্য অভিবাসী৷ উদ্দেশ্য গ্রিসে বসবাসের একটি বৈধ কাগজ বের করার চেষ্টা করা৷ খুব ভোর থেকে গভীর রাত অবধি অপেক্ষা করেন তারা, কিন্তু এদের মধ্য থেকে খুব কম লোকই সেদেশে ছয়মাস বৈধভাবে বসবাসের কাগজ পান৷
ছবি: DW/ A. Stahl
কোন ভবিষ্যত নেই?
‘এমনিতেই এথেন্সে বসবাস অত্যন্ত কঠিন, আর একজন অভিবাসী হিসেবে অসম্ভব৷ আমি এখানে এসেছিলাম একটু ভালো ভবিষ্যতের আশায়, কিন্তু এখানে কোন ভবিষ্যতই নেই’, ডয়চে ভেলেকে বলছিলেন এক অভিবাসী৷ নিজের নাম প্রকাশে আগ্রহী নন তিনি৷
ছবি: DW/ A. Stahl
কঠিন বাস্তবতা
ইউরোপে আগমনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গ্রিসে আসেন আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ৷ কিন্তু এরপর তারা এক জটিলতা থেকে অন্য জটিলতার মুখোমুখি হন৷ গ্রিসের বাস্তবতা এখন বড় কঠিন৷
ছবি: DW/ A. Stahl
গ্রিক ট্রাজেডি
এথেন্সের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে এরকম গ্রাফিটির সংখ্যা অনেক৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব গ্রাফিটি গ্রিসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে স্থানীয়দের মনোভাব ফুটিয়ে তোলে৷
ছবি: DW/ A. Stahl
যাওয়ার কোন জায়গা নেই
গ্রিসে বসবাসরত অভিবাসীরা ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন৷ তাদের জন্য কোন চাকুরি নেই, ভবিষ্যত অন্ধকার৷ অনেক অভিবাসী শেষমেষ বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি আর জীবন কাটান রাস্তায়৷
ছবি: DW/ A. Stahl
11 ছবি1 | 11
কাটানিয়া শহরের পশ্চিমে শরণার্থী শিবিরের কাছাকাছি চাষিরা অতিরিক্ত ফলমূল ও তরিতরকারি আশ্রিতদের মধ্যে বিলি করেন৷
চাষিরাও এগিয়ে এসেছেন
কোথাও আবার প্রতীক হিসাবে কিছু ‘সেন্ট' নেওয়া হয়৷ এইভাবে সোমালিয়ার এক তরুণী মা পেলেন এক ব্যাগ তাজা শাকসবজি৷ তাঁর বাচ্চাটির জন্ম হয়েছে ইটালিতে আসার পরপরই শিবিরে৷ মায়ের প্রয়োজন এখন পর্যাপ্ত ভিটামিন৷ বলেন চাষি আলেসান্দ্রো৷ যিনি তাঁর খেত থেকে এইসব তরিকারি এনেছেন৷
সিসিলিয়ার অন্যদিকে ত্রাপানিয়ায় টইটুম্বর শরণার্থী শিবিরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তিন যুবক৷ সেখানে তাঁরা এক বছর ধরে বাস করছেন৷ শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শিবির৷ তাঁরা হলেন জাম্বিয়া থেকে আসা সিসাও, আবদি ও ইসা৷ বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর৷ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দুটো বাইসাইকেল না পেলে তাঁদের দিন কাটতো হতাশায়৷ এই সাইকেলে চেপে সাধারণ মানুষজনের কাছাকাছি আসতে পারেন তাঁরা৷ একদিন হয়ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন, এই আশা তাঁদের৷