খেলাধুলায় সাফল্যের জন্য চাই শারীরিক শক্তি ও দৃঢ় চিত্ত৷ প্রতিবন্ধকতাও সে ক্ষেত্রে কোনো বাধা নয়৷ এক আফগান প্রতিবন্ধী অর্থোপেডিক প্রকৌশলী হিসেবে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিবন্ধী অ্যাথলিটদের সহায়তা করছেন৷
বিজ্ঞাপন
এক দুর্ঘটনার পর হামেদ হাজিজাদা আফগানিস্তান থেকে জার্মানি আসেন৷ তাঁর পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে, তিনি কৃত্রিম পা পেয়েছেন৷ তবে এই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি দমে যাননি৷ অর্থোপেডিক প্রকৌশলী হিসেবে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷
তবে দৈনিক জীবনের জন্য কৃত্রিম অঙ্গ যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করে তৈরি করতে হয় – তা স্পোর্টস প্রস্থেসিস-এর মতো হলে চলে না৷ রূপে-গুণে তার মান নিশ্চিত করা অর্থোপেডিক প্রকৌশলীদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ তাঁদের একেবারে নিখুঁতভাবে কাজ করতে হয়৷ কারণ সর্বোচ্চ ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খুব কম সময়ের মধ্যে সিলিকন ইচ্ছামতো গড়ে নিতে হয়৷
ডেভেলপাররা পায়ের জন্য এমন এক স্বয়ংক্রিয় প্রস্থেসিস তৈরি করতে সফল হয়েছেন, যা সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে মুভমেন্ট শনাক্ত করে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে৷ মেডিকাল টেকনিশিয়ান মার্টিন পুশ বলেন, ‘‘সি-লেগ তৈরি করার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা আমরা শুরু থেকে দেখতে পাইনি৷ দৈনন্দিন জীবনের সব কাজকর্ম এর মধ্যে পড়ে৷ সেখানে বৈচিত্র্যের অভাব নেই৷ নানারকম হাঁটার গতির প্রেক্ষিতে আমরা বিশেষ ধরনের ভাল্ভ টেকনোলজি ও সেন্সর ভরে দিয়েছি৷ সেইসঙ্গে অ্যালগোরিদম-ও তৈরি করেছি৷''
২০২৪-এর অলিম্পিক যাবে কোন শহরে?
মঙ্গলবার ১৫ই সেপ্টেম্বর ছিল ২০২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সম্ভাব্য আমন্ত্রণকর্তা হিসেবে আবেদনপত্র দাখিল করার শেষ তারিখ৷ মোট পাঁচটি শহর প্রতিযোগিতায় নেমেছে৷
ছবি: Getty/AFP/A. Kisbenedek
অলিম্পিক আয়োজন করা নিয়ে গণভোট
‘‘শুধু একটিই সুযোগ!’’ – এই স্লোগান সহ হামবুর্গ তার বাসিন্দাদের সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে, কেননা নভেম্বর মাসে জার্মানির হামবুর্গ ও কিল শহরে গণভোট৷ মূল প্রতিযোগিতার আয়োজন হবে হামবুর্গে; বাইচ ও অপরাপর নৌকার দৌড় – যাকে বলে কিনা রেগাটা – অনুষ্ঠিত হবে কিল বন্দর-নগরীর উপকূলে৷ গণভোটে বাসিন্দারা জানাবেন, তারা অলিম্পিক আয়োজনের সপক্ষে না বিপক্ষে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Reinhardt
সব প্রতিযোগিতা কাছাকাছি ও টেকসই
হামবুর্গ বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গণগুলিকে কাছাকাছি রাখার প্রকল্প নিয়ে শুধু তার নিজের বাসিন্দাদেরই নয়, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি-কেও খুশি করতে চায়৷ এছাড়া থাকছে টেকসই বিকাশ: হামবুর্গের আপাতত যে ২২টি ক্রীড়াঙ্গণ আছে, সেগুলো ব্যবহার করা হবে৷ সেই সঙ্গে ন’টি ক্রীড়াঙ্গণ সাময়িকভাবে সৃষ্টি করা হবে৷ পুরোপুরি নতুন তৈরি হবে শুধু পাঁচটি ক্রীড়াঙ্গণ, তাদের মধ্যে বন্দরের কাছে পরিকল্পিত অলিম্পিক স্টেডিয়াম৷
ছবি: Computeranimation: Gerkan, Marg und Partner (gmp), Büro Gärtner und Christ/dpa
প্যারিসের জুবিলি
‘‘আমরা অলিম্পিক চাই’’ – এই স্লোগান সহ মাঠে নামছে প্যারিস৷ ১৯২৪ সালে, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ঠিক ১০০ বছর আগে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্স অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই প্যারিসেই৷ প্যারিসের জাতীয় স্টেডিয়ামকে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রূপান্তরিত করতেও বিশেষ কোনো অসুবিধে হবে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Saget
প্যারিসবাসীদের উৎসাহের শেষ নেই
যেমন এখানে ২০২৪-এর অলিম্পিক প্রজন্ম৷ প্যারিস ইতিপূর্বে তিন তিনবার অলিম্পিক সিটি হবার চেষ্টা করেছে: ১৯৯২, ২০০৮ ও ২০১২ সালে৷ চতুর্থবার সাফল্য প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷ নগরবাসীদের সমর্থন রয়েছে: প্যারিসের বাসিন্দাদের ৭৫ ভাগ এবং সেইসঙ্গে বাদবাকি ফরাসিরাও প্যারিসের প্রার্থী হওয়ার পিছনে৷ সেইলিং সংক্রান্ত প্রতিযোগিতাগুলি মার্সাই-তে অনুষ্ঠিত হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Medina
এবার টাকাও রয়েছে
‘‘আমাদের তিন হাজার বছরের অসাধারণ ইতিহাস’’, বলেছেন রোম-এর মেয়র ইগনাৎসিও মারিনো৷ ‘‘এবং আমরা সব শর্তই পূরণ করতে পারি৷’’ ‘ইটার্নাল সিটি’ বা চিরন্তন শহর রোম ২০২০ সালের অলিম্পিকের জন্যও প্রার্থী ছিল, কিন্তু পরে আবেদনপত্র প্রত্যাহার করা হয় অর্থাভাব ঘটার ফলে৷ ২০০৪ সালের অলিম্পিকের জন্য প্রার্থী হয়েও রোম হারে এথেন্সের কাছে, স্বল্প ভোটে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Fabi
লাৎসিও আর এএস রোম যে মাঠে খেলে
রোম-এ অলিম্পিক স্টেডিয়াম ইতিমধ্যেই রয়েছে: ১৯৬০ সালের অলিম্পিক স্টেডিয়াম৷ ইটালির দু’টি ফার্স্ট ডিভিশন ফুটবল ক্লাব, লাৎসিও এবং এএস রোম, এই স্টেডিয়ামকে তাদের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে৷ তবে রোম-এ অলিম্পিক্স আয়োজিত হলে কিছু কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে ফ্লোরেন্স কি নেপলস অথবা সার্ডিনিয়ায়৷ ‘‘তবে প্রকল্পের মধ্যমণি হবে রোম,’’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনসি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Bazzi
তিন বারের বার লস অ্যাঞ্জেলেস?
লস অ্যাঞ্জেলেস লন্ডনের অনুকরণে তৃতীয়বারের মতো গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সের আয়োজন করতে চায়৷ ফিল্মনগরী এলএ ছিল ১৯৩২ এবং ১৯৮৪ সালে অলিম্পিকের আমন্ত্রণকর্তা৷ শেষবার অলিম্পিকের শপথ পড়েন এডউইন মেজেস এবং শেষমেষ ৪০০ মিটার হার্ডলসে সোনা জেতেন৷ জার্মানির হারাল্ড স্মিট (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়) জেতেন তাম্রপদক৷
ছবি: Getty Images/Tony Duffy/Allsport
অলিম্পিক জিন
লস অ্যাঞ্জেলেসের অপবাদ হলো, এলএ নাকি ফার্স্ট চয়েস নয়৷ আদতে বস্টন-এর প্রার্থী হবার কথা ছিল, কিন্তু বস্টনের বাসিন্দারা রাজি হননি৷ সে তুলনায় লস অ্যাঞ্জেলেস নাকি অন্যরকম৷ ‘‘অলিম্পিক্স আমাদের জিনে আছে’’, বলেছেন মেয়র এরিক গার্সেত্তি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
প্যাপ-এর স্বদেশ
বুদাপেস্ট-এর কোনো অলিম্পিক অতীত না থাকা সত্ত্বেও হাঙ্গেরির রাজধানী ২০২৪ সালের অলিম্পিকের জন্য প্রার্থী৷ বুদাপেস্ট ইতিপূর্বে দু’বার ইউরোপীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করেছে৷ এছাড়া বক্সিং-এর কেন্দ্র বলে বুদাপেস্টের নাম আছে৷ এই শহরেরই বাসিন্দা লাজলো প্যাপ একমাত্র বক্সার হিসেবে পর পর তিনবার অলিম্পিক সোনা জিতেছেন: ১৯৪৮, ১৯৫২ এবং ১৯৫৬ সালে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Petrovits
অলিম্পিক তো শুধু বড়লোক শহরগুলোর জন্যই নয়
‘‘অলিম্পিক আয়োজন করার উপর ধনি দেশগুলির একচেটিয়া অধিকার ভাঙতে চাই আমরা’’, বলেছেন হাঙ্গেরির জাতীয় অলিম্পিক কমিটির প্রধান জল্ট বরকাই৷ আইওসি প্রধান টোমাস বাখ যে সংস্কার আনার চেষ্টা করছেন, তার মূলমন্ত্রই হলো তাই৷
ছবি: Getty/AFP/A. Kisbenedek
10 ছবি1 | 10
মস্তিষ্ক সাধারণত হাঁটার ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে৷ সি-লেগের ক্ষেত্রে মাইক্রোচিপ, হাইড্রলিক্স এবং সেন্সরের এক সিস্টেম সেই কাজ করে৷ কৃত্রিম পায়ের উপর চাপের প্রতিটি পরিবর্তন নথিভুক্ত হয় এবং স্বাভাবিক মুভমেন্ট প্যাটার্ন-এ রূপান্তরিত হয়৷ মার্টিন পুশ বলেন, ‘‘মানুষকে যেভাবে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়, বায়োনিক্স-এর ক্ষেত্রে সেটা আমার সবচেয়ে বিস্ময়কর লাগে৷ কারণ তার জন্যই তো কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করছি আমরা৷ বর্তমানে প্রযুক্তিগতভাবে যা করা সম্ভব, তা এখনো আদর্শ পরিস্থিতি থেকে দূরে রয়েছে৷ অর্থাৎ আরও অনেক গবেষণা ও ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আমরা রোগীদের আরও সাহায্য করতে পারি৷''
হামেদের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আর চোখেই পড়ে না৷ পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে তিনি অনেক সংগ্রাম করেছেন৷ তিনি বন্ধু হাইনরিশ পপফ-এর কৃতিত্ব সম্পর্কে খুবই মুগ্ধ৷ অর্থোপেডিক টেকনিশিয়ান হিসেবে তিনি এখন পপফ-কে সাহায্য করছেন৷ দু'জনে মিলে এক আদর্শ টিম হয়ে উঠেছেন৷ প্রত্যেক প্রতিযোগিতার জন্য কৃত্রিম অঙ্গটিকে নতুন করে প্রস্তুত করতে হয়৷ তবে এটা ঠিক, যে হাইনরিশ পপফ তাঁর কার্বন-স্প্রিং নিয়ে সেই সব মানুষের তুলনায় দ্রুত দৌড়াতে পারেন, যাদের দু'টি সুস্থ পা রয়েছে৷ মার্টিন পুশ বলেন, ‘‘মাঝে মাঝে আমি আমার প্রতিবন্ধকতার কথা ভুলেই যাই৷ একবার আমি বাঁ পায়ের জুতো পরিষ্কার করে যখন পরতে গেলাম, তখন প্রথম খেয়াল হলো, যে প্রস্থেসিস-টা পরাই হয়নি৷ এখন আর প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মাথা ঘামাই না, কারণ আমার গোটা শরীর এক হয়ে গেছে৷ কোনো রকম দূরত্ব নেই৷''
খেলাধুলাই হাইনরিশ পপফ-এর ধ্যানজ্ঞান৷ হারজিত যাই হোক না কেন, তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নয়৷ নিজের সাফল্যের মাধ্যমে এই অ্যাথলিট বাকি মানুষদের সাহস যোগাতে চান এবং দেখাতে চান, যে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার মধ্যেও সবসময়ে একটা সুযোগ লুকিয়ে থাকে৷
গর্বিত প্রতিবন্ধীদের অন্যরকম শোভাযাত্রা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হয়ে গেল অন্যরকম এক প্যারেড বা শোভাযাত্রা৷ প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথম এ শোভাযাত্রার নামই ছিল, ‘প্রতিবন্ধীদের গর্বের প্যারেড’৷ দেখুন তিন হাজারেরও বেশি মানুষের অংশ নেয়া সেই শোভাযাত্রার কিছু ছবি৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
কেউ হুইল চেয়ারে, কেউবা ওয়াকারে...
তাঁরা হাঁটতে পারেন না৷ তাই ম্যানহাটানের রাস্তায় প্রায় সবাই এসেছিলে হুইল চেয়ার বা ওয়াকারে৷ চাকা লাগানো চেয়ারে চড়ে এবং হাঁটার জন্য তৈরি যন্ত্রের সহায়তায় হাসিমুখেই প্যারেডে অংশ নিয়েছেন সবাই৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
‘আমি শক্তিশালী’
জেরার্ড মিলস নামের এই ভদ্রলোক সবার নজর কেড়েছিলেন সঙ্গের এই প্ল্যাকার্ডের কারণে৷ হুইল চেয়ারে বসে থাকলে কী হবে, প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে নিজেকে কিন্তু শক্তিশালী হিসেবেই উপস্থাপন করেছেন মিলস, দুর্বল বা অক্ষম হিসেবে নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/S. Wenig
প্রধানত খুশি
১৪ বছর বয়সি এই মেয়েটি ‘ডাউন সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত৷ ওর নাম রক্সানে ফার্নান্দেজ৷ নিজেকে মোটেই প্রতিবন্ধী মনে করেনা সে৷ মায়ের দেয়া মুকুটটি মাথায় পরে এসে সে জানিয়েছে, ‘‘আমি প্রধানত খুশি৷’’ জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকেই৷ তারপরও খুশির সময় উপভোগ করতে হয়৷ খুশি থাকতে হয়৷ রক্সানের হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ‘ডাউন সিনড্রোম’ তার খুশি একটুও কাড়তে পারেনি৷
ছবি: Getty Images/S. Keith
একজন ডোনাল্ড লি
দুর্ঘটনায় দুটি পা-ই হারিয়েছেন ডোনাল্ড লি৷ তাই বলে থেমে থাকেননি৷ নকল পা লাগিয়ে দিব্যি চলাফেরা করেন৷ প্যারেডেও অংশ নিয়েছেন পূর্ণ উদ্যম নিয়ে৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
গর্বের জুলাই
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবন্ধীদের জন্য জুলাই খুব উল্লেখযোগ্য মাস৷ ১৯৯০ সালে এ মাসেই প্রবর্তিত হয়েছিল প্রতিবন্ধী অধিকার আইন৷ সেই আইন প্রবর্তনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্ল্যাসন জুলাই মাসের চমৎকার একটি নাম দিয়েছেন- ‘প্রতিবন্ধীদের গর্বের মাস’৷ ছবিতে যাঁদের পা দেখা যাচ্ছে, তাঁরা সবাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী৷ ছড়ি হাতে তাঁরাও এসেছিলেন গর্বের মাসের বিশেষ প্যারেডে অংশ নিতে৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
নিউইয়র্ক এখনো যেখানে পিছিয়ে
যাঁদের হুইল চেয়ার নিয়ে চলাফেরা করতে হয়, নিউইয়র্ক এখনো তাঁদের জন্য আদর্শ নগরী হয়ে ওঠেনি৷ বিশেষ করে দূরে কোথাও যেতে চাইলে এখনো মুশকিলে পড়তে হয় তাঁদের৷ নিউইয়র্কের মাত্র চার শতাংশ ‘ক্যাব’ হুইল চেয়ারসহ যাত্রী পরিবহণে সক্ষম৷ এক্ষেত্রে লন্ডন অনেক এগিয়ে৷ সেখানে সব ট্যাক্সিতেই সেই ব্যবস্থা আছে৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
‘অ্যামেরিকার ছোট মানুষ’
এই দুজনকে শিশুর মতো দেখালেও আসলে তাঁরা পুরোপুরি মহিলা৷ শরীরের বৃদ্ধি স্বাভাবিক না হলেও সব কাজেই তাঁরা স্বাভাবিক৷ এই দুই নারী সেদিন প্যারেডে নিজেদের তুলে ধরেছিলেন, ‘‘অ্যামেরিকার ছোট মানুষ’’ হিসেবে৷