1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সীতাকুণ্ডে দখলমুক্ত জমিতে ফুলের উৎসব

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

পাহাড় আর সমুদ্রে ঘেরা সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রাম পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে না পারায় উদ্ধার করা এক জমিতে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ তারই পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে শুরু হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের মেলা৷

(ফাইল ছবি) আবহাওয়া ও মাটির ধরন অনুযায়ী নানা রকমের ফুলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে
(ফাইল ছবি) আবহাওয়া ও মাটির ধরন অনুযায়ী নানা রকমের ফুলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছেছবি: DW/M.M. Rahman

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে বেরিয়ে ঝাউগাছ আর জলাশয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া ‘বন্দর-ফৌজদারহাট টোল রোড' যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের মেরিন ড্রাইভের সাথে৷ ফৌজদারহাট থেকে এ টোল রোড ধরে কিছু দূর গেলেই চোখে পড়ে রঙবেরঙের ফুলের বাহার৷

দেড় দশকের বেশি সময় বেদখলে থাকা সাগরের কাছে ১৯৪ একরের বেশি জমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন৷ তার আগে আগামী ১০-১৮ ফেব্রুয়ারি সেখানে হবে ফুল উৎসব৷

সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ছলিমপুর মৌজার বালুচর শ্রেণির এ জায়গাটি দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল ‘শুকতারা' নামে একটি পর্যটন কেন্দ্র ও রেস্তোরাঁ৷ সম্প্রতি সেখান থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন৷ 

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম বলেন, "পাহাড় সমুদ্রে ঘেরা সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রাম পর্যটকদের তেমনভাবে আকৃষ্ট করতে পারছে না৷ পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে উদ্ধার করা এ জমি ঘিরে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে৷ যেখানে তৈরি করা হবে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট৷”

পূর্ণাঙ্গ পর্যটন স্পট গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে দেড় থেকে দুই বছর লাগতে পারে৷ তার আগে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেখানে পার্কটি দৃশ্যমান করা হবে৷ তৈরি করা হবে আবহাওয়া ও মাটির ধরন অনুযায়ী নানা রকমের ফুল বাগান৷

সহকারী কমিশনার আশরাফুল জানান, ফুলের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করতে আগামী ১০-১৮ ফেব্রুয়ারি ‘ফ্লাওয়ার ফেস্টিভাল' আয়োজন করা হয়েছে৷ পরে সেখানে করা হবে স্থায়ী ফুল বাগান৷ থাকবে নার্সারি, জলাশয়ে থাকবে কায়াকিং ও তার পাড়ে ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যবস্থা থাকবে পার্কে৷

সাগর পাড়ের এ ফুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, জলাশয়ের পাশ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে রঙবেঙরের ডালিয়া ফুল৷ খালি জায়গায় শেড তৈরি করে লাগানো হয়েছে হরেক রকমের টিউলিপ৷ লাল-হলুদ-সাদা-মেরুণ রঙের টিউলিপ ফুটে আছে৷ পাশেই লাগানো হয়েছে নানা রকমের ফুলের গাছ৷

(ফাইল ছবি) বিদেশি ফুল টিউলিপও লাগানো হয়েছে সীতাকুণ্ডের বাগানেছবি: Ana Fernandez/Zumapress/picture alliance

খোলা জায়গার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য দায়িত্ব পাওয়া ফৌজদারহাটের ইফা নার্সারির স্বত্বাধিকারী কাউসার আল ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রদর্শনীর জন্য ১২২ প্রজাতির শীতকালীন ফুলের তিন লাখ গাছ লাগানো হবে৷ ইতোমধ্যে দুই লাখ গাছ লাগানো হয়েছে৷

চট্টগ্রাম ছাড়াও যশোর, রংপুর, ঢাকা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব ফুল গাছ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি৷

তবে ওই এলাকার মাটিতে লবাণাক্ততার পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাইরে থেকে মাটি এনে গাছ লাগানো হয়েছে৷ আর অনেক গাছ প্যাকেটসহ মাটি খুঁড়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বাগানে কাজ করা মালি মো. হানিফ৷

তিনি জানান, যেখানে এখন ফুল দেখা যাচ্ছে, সেই জমি বর্ষার সময় তলিয়ে যায়৷ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সহকারী কমিশনার আশরাফুল জানালেন, আপাতত বাগানটি করা হচ্ছে মেলার জন্য৷ পানি ওঠানামা এবং মাটির শ্রেণিভেদ ও উর্বরতার ওপর ভিত্তি করে পার্কে স্থায়ী বাগান হবে৷

"নাগরিক ব্যস্ততা ছেড়ে লোকজন এখানে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে সময় কাটাবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা৷ এ পার্ক সপ্তাহে একদিন প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখা হবে৷ তারা সেখানে নিজেদের মত করে সময় কাটাবে৷”

এছাড়াও বয়স্ক, এতিম এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যও এ পার্কে আসার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান সহকারী কমিশনার আশরাফুল৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ