1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সীমান্তে আবার রোহিঙ্গাদের ভিড়

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১২ আগস্ট ২০২৪

মিয়ানমারের মংডু সীমান্তে অনেক রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে৷ সংখ্যাটা কমপক্ষে ২০ হাজার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার খবরও এসেছে৷

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী, দিগন্তে পাহাড়
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এখন পর্যন্ত অর্ধশত লাশ বাংলাদেশে ভেসে আসার খবর দিয়েছেছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

বেশ কিছু লাশ নাফ নদী ধরে বাংলাদেশে ভেসে এসেছে৷ টেকনাফের একজন এনজিও কর্মী বাংলাদেশে বেশ কিছু লাশ দাফনের দাবি করেছেন৷ একজন রোহিঙ্গা বলেছেন, ড্রোন হামলায় মংডু এলাকায় তার ৯ জন আত্মীয় নিহত হয়েছেন৷ আর আহত চার জন বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন৷ এদিকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা ও টহল বাড়িয়েছে বিজিবি৷ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে৷

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের মংডুতে ড্রোন হামলা চালানো হয়৷ গুলিও করা হয়৷ আরাকান আর্মি এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এতে কমপক্ষে ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এখন পর্যন্ত অর্ধশত লাশ বাংলাদেশে ভেসে আসার খবর দিয়েছে৷ তবে টেকনাফ এলাকার এনজিও কর্মী মাহবুব আলম মিনার বলেছেন, ‘‘আমার তত্তাবধানেই ১৭০ জন রোহিঙ্গার লাশ আমরা এখানে দাফন করেছি৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাফন করা হয়েছে শাহপরীর দ্বীপে বড় মাদ্রাসা মসজিদের কবরস্থানে, সেখানে ৫৫টি লাশ দাফন করা হয়েছে৷’’

তিনি দাবি করেন, ‘‘আমি যে তথ্য পেয়েছি তাতে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের ওই পাড়ে কমপক্ষে সাত থেকে ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে৷’’

ওপারে ২০-৩০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে: আব্দুন নূর

This browser does not support the audio element.

টেকনাফ এলাকার এক ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুন নূর বলেন, ‘‘ড্রোন হামলা ও গুলিতে আমাদের পরিবারের চারজনসহ আমার পরিচিত মোট ৯ জন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি৷ আহত অবস্থায় পালিয়ে আসতে পেরেছেন চারজন৷ তাদের মধ্যে আমার বোন ও তার ছেলে-মেয়েরা আছে৷ তাদের বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷’’

‘‘আমার জানা মতে সীমান্তের ওপারে ২০-৩০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে৷ তাদের অবস্থা খুবই খারাপ’’, বলেন তিনি৷

আর কুতুপালং ক্যাম্পের ইউনূস আরমান বলেন, ‘‘কিছু রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নভাবে আসছেন৷ তবে আসার অপেক্ষায় আছেন কয়েক হাজার রোহিঙ্গা৷ তারা মংডুতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মি উভয়ের তোপের মুখে আছে৷''

হামলা আরাকান আর্মি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে: এমদাদুল ইসলাম

This browser does not support the audio element.

মিয়ামারের আরাকানের সিটুএ-এর বাংলাদেশের সাবেক মিশন প্রধান মেজর (অব.) মোঃ এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘কিছু রোহিঙ্গা মিয়ানমার বাহিনীতে যোগ দিয়েছে, ফলে এখন মংডু এলাকার রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির টার্গেটে পরিণত হয়েছে৷ ফলে ওই ড্রোন হামলা আরাকান আর্মি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে আমরা যে খবর পাচ্ছি তাতে প্রতি দিনই সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে৷ আর তারা সীমান্তে এসে জড়ো হচ্ছেন৷ সীমান্ত সীল করা থাকায় তারা বাংলাদেশে ঢুকতে পারছেন না৷’’

তার কথা, ‘‘এখন বাংলাদেশ সরকারের চীনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা দরকার৷ কারণ, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মি উভয়ের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক৷ ফলে চীনের মাধ্যমে এর সমাধান সহজ, যদি তাদের রাজি করানো যায়৷ আর আলাদাভাবে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা প্রয়োজন৷ আরাকান আর্মির সঙ্গেও ভিন্নভাবে যোগাযোগ প্রয়োজন৷’’

তিনি বলেন, ‘‘মংডুতে যা হচ্ছে, তা যদি না কমে, তাহলে বাংলাদেশ সীমান্তে চাপ বাড়তেই থাকবে৷ তখন পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে৷’’

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ‘‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা ও টহল জোরদার করা হয়েছে৷ ফোর্সও বাড়ানো হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত নতুন কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ