ডয়চে ভেলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচনে ‘জার্মানির জন্য বিকল্প’ (এএফডি) দলের মুখ্য প্রার্থী আলেক্সান্ডার গাউল্যান্ড প্রত্যাখ্যাত অভিবাসীদের নিয়মমাফিক দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনেস পোল ও সঞ্চালক জাফর আব্দুল-করিম গাউল্যান্ডের সাক্ষাৎকার নেন৷ সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন যে, উদ্বাস্তুদের জন্য জার্মানি তথা ইউরোপের বহির্সীমান্ত আরো শক্তভাবে বন্ধ করতে হবে৷ ৭৬ বছর বয়সি এএফডির এই রাজনীতিকের মতে, নথিপত্রবিহীন মানুষজনকে সীমান্ত পার হয়ে জার্মানিতে ঢুকতে দেওয়াটা ভুল৷
‘‘এ ধরনের মানুষদের জার্মানিতে ঢুকতে দেওয়াই উচিত নয়,’’ বরং তাদের জার্মানির বাইরে কিংবা ইউরোপের বাইরে থেকে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করা উচিত, বলে গাউল্যান্ড মনে করেন৷ সিরিয়ার মতো সংকট পীড়িত এলাকা থেকে যারা পলায়নপর, জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় পাবার অধিকার থাকলেও, ইতিমধ্যে অধিকাংশ উদ্বাস্তু এখানে আসছেন অর্থনৈতিক কারণে, বলে গাউল্যান্ডের অভিমত৷
এএফডি নেতাদের আপত্তিকর যত মন্তব্য
জার্মানির ডানপন্থি পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) নেতারা গত কয়েকমাস ধরে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন৷ তাদের সেরকম কয়েকটি বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো৷
ছবি: picture alliance/ZB/H. Schmidt
ফ্রাউকে পেট্রি
‘অবৈধভাবে জার্মানিতে প্রবেশকারী শরণার্থীদের দিকে গুলি ছোড়া উচিত জার্মানির বর্ডার পুলিশের’, বলেছিলেন এএফডি’র কো-চেয়ার৷ ২০১৬ সালে জার্মানির একটি আঞ্চলিক পত্রিকাকে তিনি জানান, পুলিশ অফিসাররা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারে৷ সর্বশেষ সাবেক কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির নেতা এরিক হ্যোনেকার এ ধরনের কথা বলেছেন৷
ছবি: Getty Images/T. Lohnes
বও্যর্ন হ্যোকে
জার্মানির থ্যুরিঙ্গা রাজ্যের এএফডির প্রধান বার্লিনের হলোকস্ট মেমোরিয়ালকে ‘মন্যুমেন্ট অফ শেইম’ আখ্যা দিয়ে জার্মানিতে নাৎসি অতীতের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনের বছরে এই মন্তব্য করায় তাকে বহিস্কার করার পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন এএফডির সদস্যরা৷
ছবি: picture-alliance/Arifoto Ug/Candy Welz
আলেক্সান্ডার গাউলান্ড
এএফডির ডেপুটি চেয়ারম্যান আলেক্সান্ডার গাউলান্ড গতবছর বলেন, জার্মানির জাতীয় ফুটবল দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জ্যেরম বোয়াটেংকে তাঁর পারফর্মেন্সের জন্য অনেকে প্রশংসা করলেও, তাঁর মতো কাউকে কেউ প্রতিবেশী হিসেবে চাইবে না৷ কৃষ্ণাঙ্গ বোয়াটেংকে নিয়ে এমন মন্তব্য সমালোচনার ঝড় তোলে জার্মানিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Murat
বিট্রিক্স ফন স্টর্চ
প্রাথমিকভাবে এএফডি ইউরো এবং বেইলআউটের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছিল৷ কিন্তু পরবর্তীতে দ্রুতই শরণার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় দলটি৷ ইউরোপের এই আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘‘যারা সীমান্তে আমাদের থামার নির্দেশ গ্রহণ করে না, তারা আক্রমণকারী৷ আর সেসব আক্রমণকারীকে প্রতিহত করতে হবে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Murat
মার্কুস প্রেতজেল
এএফডির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের চেয়ারম্যান মার্কুস প্রেতজেল৷ ফ্রাউকে পেট্রির নতুন স্বামীও তিনি৷ বার্লিনে গত বছর ক্রিসমাস মার্কেটে প্রাণঘাতি হামলার পর তার মন্তব্য, ‘‘ম্যার্কেলের কারণেই প্রাণ হারিয়েছে এরা৷’’
ছবি: picture alliance/dpa/M. Murat
আন্দ্রে ভেন্ডট
স্যাক্সনি রাজ্যের সাংসদ সম্প্রতি জানতে চেয়েছেন অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক শরণার্থীর পেছনে রাষ্ট্র কতটা খরচ বহন করবে৷ তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়েছে৷ গত বছরের জুলাই অবধি ৫২,০০০ অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক শরণার্থী জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছে৷
ছবি: picture alliance/ZB/H. Schmidt
6 ছবি1 | 6
উন্নততর জীবনযাত্রার খোঁজ যেমন বৈধ, তেমন একটি রাষ্ট্রের পক্ষে ‘এখানে তোমাদের কোনো জায়গা নেই’ বলাটাও বৈধ, বলে গাউল্যান্ড মন্তব্য করেন৷ ‘‘নিজেদের স্বার্থের খেয়াল আমাদেরই রাখতে হবে এবং বিপুল সংখ্যায় উদ্বাস্তু নেওয়াটা জার্মানির স্বার্থে নয়,’’ বলেন গাউল্যান্ড৷ ‘‘জার্মানি সারা দুনিয়ার পা ফেলার পাপোশ নয়,’’ এই হলো তাঁর বক্তব্য৷
যে অভিবাসীরা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপে আসছেন, তাদের জাহাজে করে সেখানে ফেরৎ পাঠাতে হবে – দাবি গাউল্যান্ডের৷ তারা যখন স্বেচ্ছায় আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে লিবিয়া পার হয়ে এসেছেন, তখন তাদের সেখানে ফেরত পাঠানো চলতে পারে, বলে তাঁর মত৷
উদ্বাস্তু নীতি ও নির্বাচনি প্রচার
জার্মান সরকারের উদ্বাস্তু নীতির সমালোচনা এএফডি-র নির্বাচনি প্রচারের মূল ভিত্তি৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ‘‘ভ্রান্ত উদ্বাস্তু নীতি এএফডি-র পক্ষে একটি উপহার,’’ বলে বর্ণনা করেছেন গাউল্যান্ড৷ ২০১৫ সালের উদ্বাস্তু সংকট যাবৎ জার্মানিতে এএফডি-র জনসমর্থন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে: ইতিমধ্যে এএফডি জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মধ্যে ১৩টি রাজ্যের বিধানসভায় প্রবেশ করেছে এবং আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে সংসদেও আসনগ্রহণের আশা করছে৷ এএফডি ৮ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে, বলে অধিকাংশ জরিপে দেখা যাচ্ছে৷ গাউল্যান্ড স্বয়ং ২০১৩ সালে এএফডি-তে যোগদানের আগে ৪০ বছর ধরে সিডিইউ দলের সদস্য ছিলেন৷
জার্মানির যে সাত রাজনৈতিক দলের নামও শোনেননি আপনি
জার্মানরা শুধু সিডিইউ বা এসপিডি নয়, কিছু ছোট এবং বিরল দলকেও ভোট দিতে পারে৷ এই যেমন, প্রাণী সুরক্ষা পার্টি কিংবা মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি৷ ভাবছেন, এরা কারা? চলুন দেখে নিই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
প্রাণী সুরক্ষা দল
জার্মানিতে প্রাণী অধিকার বিষয়ক অ্যাক্টিভিস্টরা সুযোগ পেলে পুরো হাইওয়ে বন্ধ করে দেন যাতে ব্যাঙেরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারে৷ এমন দেশে তাই ‘অ্যানিমেল প্রোটেকশন পার্টি’ বা প্রাণী সুরক্ষা দল থাকবে না, তা কি হতে পারে? তবে গ্রিন পার্টির কারণে এ দলের পালে হাওয়া কম থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
দ্য রিপাবলিকানস
ব্যাপারটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর৷ জার্মানির রয়েছে নিজস্ব রিপাবলিকান পার্টি, নাম আরইপি৷ তবে এই দলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই৷ জার্মান রিপাবলিকনরা হচ্ছেন ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী, যারা নিজেদের ‘রক্ষণশীল দেশপ্রেমিক’ এবং দেশের ‘সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়’ রক্ষায় লড়াইরত বলে মনে করেন৷
ছবি: DW
দ্য পার্টি
হ্যাঁ, এই দলের নাম ‘দ্য পার্টি’৷ জার্মানির স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘টাইটানিক’ এর সম্পাদকরা ২০০৪ সালে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ দলটির প্রধান হচ্ছেন মার্টিন স্যোনেবর্ন (ছবিতে)৷ ২০১৪ সালে তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে দলটির জন্য একটি আসন নিশ্চিত করেন৷ ভবিষ্যতে দলটির অবস্থা আরো ভালো হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Sven Simon/M. Ossowski
গণভোট দল
জার্মানির রেফারেন্ডাম পার্টি বা গণভোট দলের কাছে সুইজারল্যান্ড এক বিশাল অনুপ্রেরণা৷ দলটি চায় দেশের সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গনভোটের মাধ্যমে জনগণ নেবে৷ সুইজারল্যান্ডে ২০১৬ সালে তেরোটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি
জার্মানির এমএলপিডি একটি ছোট দল, যদিও দেশটির অর্ধেক মানুষ এক সময় কমিউনিস্ট ছিলেন৷ মানে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৯ সাল অবধি যখন জার্মানি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল৷ তৎকালীন পূর্ব জার্মানি তখন শাসন করেছিল সোশ্যালিস্ট ইউনিটি পার্টি৷ বর্তমানে উগ্র বামপন্থি এমএলপিডি’র জার্মান রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Link
ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি
‘অ্যালায়েন্স সি - ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি’ একটি ক্রিশ্চিয়ান পার্টি, যেটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে৷ খ্রিষ্টান-মৌলবাদীদের একটি দল এবং শ্রমিক, পরিবেশ এবং পরিবারভিত্তিক একটি দল একত্র হয়ে এই দল গড়ে৷ বাইবেলের মান রক্ষা করে দেশ পরিচালনা করতে চায় এই দল৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. MacDougall
6 ছবি1 | 6
‘ইসলাম জার্মানির অংশ নয়’
শুধু উদ্বাস্তু নীতির ক্ষেত্রেই নয়, ইসলামের প্রতি এএফডি-র মনোভাবও অন্যান্য দল থেকে আলাদা৷ ‘‘সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সত্তা হিসেবে ইসলাম জার্মানির অঙ্গ নয়,’’ ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন গাউল্যান্ড৷ জার্মানিতে বর্তমানে আনুমানিক ৫০ লাখ মুসলিমের বাস সত্ত্বেও এএফডি তাদের নির্বাচনি ইশতাহারে এই অবস্থান ঘোষণা করেছে৷ ‘‘শরিয়া ও অপরাপর নির্দেশের কারণে ইসলাম এমন একটি ধর্ম, যার রীতিনীতি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে মেলে না,’’ বলেন তিনি৷
ব্যক্তিগতভাবে যারা ইসলাম ধর্ম মেনে চলেন, তারা জার্মান সংবিধানের দ্বারা সুরক্ষিত, বলে গাউল্যান্ড উল্লেখ করেন৷ ‘‘কিন্তু আমরা যে ধীরে ধীরে ইসলামি রীতিনীতি এখানে আমদানি করব, সেটা চলতে পারে না,’’ বলেন এএফডি দলের মুখ্য প্রার্থী৷
তিনি নিজে কেন মুসলিমদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন না, এ প্রশ্নের জবাবে গাউল্যান্ড বলেন: ‘‘সরকারিভাবে মুসলিমদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার কোনো প্রয়োজন আমি বোধ করি না৷ আমার পারিপার্শ্বিকে যদি কেউ (কোনো মুসলিম) থাকেন, তাহলে আমি স্বভাবতই তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি৷ সেটা কোনো সমস্যাই নয়৷’’
আসল? বিদেশিবিদ্বেষী? সেকেলে? জার্মানির নির্বাচনের জন্য তৈরি পোস্টারে এ রকম আরো অনেক শব্দ দেখা যাচ্ছে৷ ভোটারদের দলে ভেড়াতে বড় দলগুলোর পোস্টারে কী দেখা যাচ্ছে দেখে নেই চলুন৷
ছবি: picture alliance/dpa/B.Pedersen
খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ)
টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নির্বাচনি পোস্টারে এখন আর কোনো অপরিচিত মুখ নন৷ তাঁর দল সিডিইউ ২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে গোটা জার্মানিতে ২২,০০ প্ল্যাকার্ড বসাচ্ছে৷ এতে জার্মান চ্যান্সেলরের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে জার্মান পতাকা ব্যবহারে করে দলটির দেশপ্রেম বোঝানো হয়েছে৷ আর স্লোগানে প্রাধান্য পেয়েছে নিরাপত্তা, পরিবার এবং কাজের মতো বিষয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/B.Pedersen
সামাজিক গণতন্ত্রী (এসপিডি)
সামাজিক গণতন্ত্রীরা তাদের দীর্ঘদিনের লাল আর বর্গাকারের লোগোকে পোস্টারে প্রাধান্য দিয়েছে৷ তাদের পোস্টারে শিক্ষা, পরিবার, পেনশন, বিনিয়োগ এবং বেতন বৈষম্যের মতো বিষয়াদি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ২৪ মিলিয়ন ইউরোর নির্বাচনি প্রচারণার পর নির্বাচনের ঠিক আগে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নাকি একটি বোমা ফাটাতে পারে এসপিডি, তবে সেসম্পর্ক কিছু এখনো জানা যায়নি৷
মুক্তগণতন্ত্রী দল (এফডিপি)
মুক্তগণতন্ত্রীদের নির্বাচনি প্রচারণায় খরচ হচ্ছে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সাদাকালো ফটোশুটের মাধ্যমে পোস্টারে আধুনিক মার্কেটিংয়ের ছাপ ফুটিয়ে তুলেছে সেদেল৷ তাদের পোস্টারে শোভা পাচ্ছেন একজন: ক্রিস্টিয়ান লিন্ডার৷ তবে পোস্টারে ছোট করে লেখা নানা কথা পড়তে ভোটারদের বেশ কষ্টই করতে হবে৷ ‘অস্থিরতাও একটা গুণ’, লেখা হয়েছে পোস্টারে৷
সবুজ দল
সবুজ দল তাদের দলীয় নীতিকেই নির্বাচনের পোস্টারে তুলে ধরছেন৷ সেদলের স্লোগানে জায়গা করে নিয়েছে পরিবেশ, ইন্টিগ্রেশন এবং শান্তির মতো বিষয়৷ তাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘‘পরিবেশই সবকিছু নয়, তবে পরিবেশ ছাড়া সবকিছুই অর্থহীন৷’’
জার্মানির জন্য বিকল্প (এএফডি)
তবে আসন্ন নির্বাচনের সবচেয়ে বিতর্কিত প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছে ডানপন্থি এএফডি পার্টি৷ আপাত দৃষ্টিতে এই পোস্টারটি দেখলে মনে হবে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসছেন৷ কিন্তু স্লোগান কী বলছে জানেন? ‘‘নতুন জার্মান? তাদের আমরাই তৈরি করবো৷’’ দলটির আরেক পোস্টারে বিকিনি পরা তিন নারীকে দেখা গেছে৷ আর তাতে লেখা: ‘‘বোরকা? আমরা বিকিনি পছন্দ করি৷’’
বামদল
বামদলের পোস্টারে বিভিন্ন ফস্টের বর্ণিল উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে৷ ‘‘[বর্নিল] মানুষ৷ স্পষ্টভাবে ডানপস্থি ঘৃণার বিরোধী’’, বলছে তাদের স্লোগান৷ দলটির নির্বাচনি প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে সাশ্রয়ী ভাড়া, আরো স্বচ্ছ পেনশনের নিশ্চয়তা এবং অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের মতো বিষয়৷