1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সীমা ছাড়াচ্ছে সংবাদমাধ্যম?‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
১৬ মার্চ ২০১৮

সংবাদমাধ্যমের আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন৷ বৃহস্পতিবার এক পর্যবেক্ষণে এ কথাই জানাল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট৷ কী প্রতিক্রিয়া সংবাদমাধ্যমের?‌

Irak Pressefreiheit Symbolbild
প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images/M. Fala'ah

সাংবাদিকরা চাইলেই যা ইচ্ছে তাই লিখতে, বা বলতে পারেন না৷ তাঁদের বক্তব্যের আরও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা জরুরি৷ সামগ্রিকভাবে সংবাদমাধ্যমকেই আরও দায়িত্বশীল হতে হবে৷ এক মানহানির মামলার শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত৷ দেশে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরেই দলে দ্বিতীয় ক্ষমতাবান নেতা অমিত শাহ'র পুত্র জয় শাহ'র ব্যবসায়ে বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল একটি নিউজ পোর্টাল৷ সেই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন জয় শাহ৷ তারই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বললেন, এটা ঘটনা, যে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ভিত্তিহীন খবর পরিবেশন করে৷ অনেক সময়ই তা চরিত্রহননের সামিল হয়ে যায়৷ এমনকি আদালত অবমাননার পর্যায়ে চলে যায় কোনো কোনো খবর৷ এভাবে চলতে পারে না৷ তাই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে৷

নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়

This browser does not support the audio element.

অনেক বছর ধরে বিভিন্ন নিউজ টিভি চ্যানেলে কাজ করছেন নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি মনে করছেন, আদলতের এই পর্যবেক্ষণ প্রকারান্তরে সংবাদমাধ্যমের ক্ষমতাকে খর্ব করছে৷ সাংবাদিকদের হাত-পা বেঁধে দিয়ে বলছে, এবার তুমি স্বাধীনভাবে কাজ করো৷ এটা বাঞ্ছনীয় নয়৷ সাংবাদিকের পূর্ণ পেশাগত স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে নির্মাল্য মনে করেন৷ যদিও ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি মানলেন, যে কখনও সংবাদমাধ্যম বাড়াবাড়ি করে ফেলে, যেটার নিয়ন্ত্রণ জরুরি৷ সাংবাদিকরা চাইলেই যা খুশি বলতে পারেন না৷ কিন্তু দায়িত্ববোধ দেখানোর প্রশ্নে যদি পরোক্ষে বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়, তা হলে সেটা সমর্থনযোগ্য নয়৷ নির্মাল্যর বক্তব্য, সাংবাদিকতা পেশা হিসেবে আলাদা, কারণ এর যেমন ক্ষমতা আছে, তেমনই দায়িত্বও আছে৷ সেই ক্ষমতা যদি নিয়ন্ত্রিত হয়, তা হলে দায়িত্ব পালনেও বাধা আসতে বাধ্য৷

বিচারপতি মিশ্রর যদিও তাঁর পর্যবেক্ষণ জানাতে গিয়ে পরিষ্কার বলেছেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রশ্ন উঠছে না৷ বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কোনোভাবেই খর্ব করা হবে না৷ কিন্তু সংবাদমাধ্যমকেই আরও দায়িত্বশীল হতে হবে৷

রাজীব ঘোষ

This browser does not support the audio element.

কলকাতার ‘‌আজকাল'‌ কাগজের ডেপুটি এডিটর রাজীব ঘোষও কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, প্রথমত প্রধান বিচারপতি সব সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে এ কথা বলেননি৷ বরং নির্দিষ্ট কিছু টিভি চ্যানেলের কথা বলেছেন, যাদের খবর করার, নিজেরা খবরে থাকার আতিশয্য বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছে যায়৷ এর পাশাপাশি শুরু হয়েছে মিডিয়া ট্রায়াল৷ সংবাদমাধ্যমই যেখানে নিয়ে নিচ্ছে বিচারকের ভূমিকা৷ কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠার পর তাকে দোষী প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠছে৷ অভিজ্ঞ সাংবাদিক হিসেবে রাজীব ঘোষের মূল্যায়ণ, গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমও একটি স্তম্ভ, এটা যেমন ঠিক, তেমনই বিচারবিভাগও আরেকটি স্বাধীন স্তম্ভ৷ সেখানে সংবাদমাধ্যমই যদি বিচারক হয়ে উঠতে চায়, তা হলে তা গণতন্ত্রের জন্যেও বিপজ্জনক৷ কাজেই কোথাও একটা স্বনিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার৷ একটা লক্ষণ-রেখা থাকা দরকার, যা অতিক্রম করবেন না সাংবাদিকরা৷

আপনার কী মনে হয়? এ ধরনের  লক্ষণ-রেখার কি আদৌ কোনো দরকার আছে? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ইউরোপ