রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে শেষ ষোলোর খেলায় সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল সুইডেন৷ ৬৬ মিনিটের সময় গোলটি করেন ফোর্সব্যার্গ৷
বিজ্ঞাপন
তাঁর নেয়া শট সুইস ডিফেন্ডার আকানজির পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়৷ ফলে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো সুইডিশরা৷ সেবার তাঁরা তৃতীয় হয়েছিল৷
প্রথমার্ধে বলের দখলে সুইসরা এগিয়ে থাকলেও সুইডিশরাই গোল করার সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছিল৷ ২৮ মিনিটের সময় ব্যার্গের একটি শট ঠেকাতে সুইস গোলরক্ষক সমারকে তাঁর ডানপাশে পুরো শরীর নিয়ে ডাইভ দিতে হয়েছে৷
খেলার একেবারে শেষের দিকে রেফারি সুইডেনকে একটি পেনাল্টি দিয়েছিলেন৷ ওলসনকে ফাউল করায় লাল কার্ড পেয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের লাঙ৷ তবে পরে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রেফারি দেখতে পান ফাউলটি আসলে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে করা হয়েছে৷ ফলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফ্রি-কিক দেন তিনি৷
পেনাল্টিটি পেলে সুইডিশ অধিনায়ক গ্রানকফিস্ট হয়ত এবারের টুর্নামেন্টে তাঁর তৃতীয় গোলটি পেয়ে যেতেন৷ তবে তা না পেলেও আগত সন্তানের জন্য একটি খুশির বার্তাই নিয়ে এসেছেন তিনি৷ আজই গ্রানকফিস্ট-সোফি দম্পতির দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম নেয়ার কথা৷
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডস এবং বাছাইপর্বের প্লে-অফে ইটালিকে হারিয়েছিল সুইডেন৷ এরপর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় মেক্সিকোকে হারিয়ে জার্মানির বিদায় নেয়া নিশ্চিত করে সুইডিশরা৷ যদিও জার্মানি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ২-০ গোলে হেরে নিজেরাই তাদের বিদায়ের জন্য দায়ী৷ কিন্তু যদি সেই ফল উল্টো হতো, তাহলে সুইডেন-মেক্সিকো ফলের উপর নির্ভর করতে হতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের৷
নেদারল্যান্ডস, ইটালি আর জার্মানির পর সুইডিশরা ফিফা ব়্যাংকিংয়ে ছয় নম্বরে থাকা দল সুইজারল্যান্ডকে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় করে দিল৷
শনিবার কোয়ার্টারে সুইডেন খেলবে ইংল্যান্ড ও কলম্বিয়া ম্যাচে বিজয়ীর সঙ্গে৷
জেডএইচ/ডিজি (এপি)
যে ৫টি গান হঠাৎ ফুটবল সংগীত হয়ে গেছে
সাধারণত ভক্তরাই ফুটবলের সংগীত বা অ্যানথেম ঠিক করেন৷ এখানে এমন পাঁচটি গানের কথা বলা হলো যেগুলো আপনি বিশ্বের প্রায় সব ফুটবল স্টেডিয়ামে শুনতে পাবেন৷ যদিও গানগুলোর সঙ্গে ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E.v.Maydell
ইয়েলো সাবমেরিন: দ্য বিটলস
রিঙ্গো স্টারের বিখ্যাত মেলোডিটি খুবই সাধারণ, কেননা, গান গাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কখনোই খুব একটা ভালো ছিলেন না৷ কিন্তু ফুটবল ভক্তদের কাছে সেটা কোনো ব্যাপারই নয়৷ ইয়েলো সাবমেরিনের কোরাস অংশটুকু স্টেডিয়ামে গাওয়ার জন্য একেবারেই যথার্থ এবং গানের কথাগুলো যেকোনো ম্যাচের জন্য প্রযোজ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Naden
গুয়ানতানামেরা: খোসেইতো ফার্নান্দেজ
এই গানটি প্রায় ৯০ বছরের পুরনো, কিন্তু ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে হঠাৎ করেই ভক্তদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এটি৷ ব্যান্ড রোকা’র এই গানটি মূলত কিউবার ক্লাসিক ‘হিট সং’৷ যদিও বেশিরভাগ মানুষ একটা লাইনই মনে রেখেছে এটার, সেটা হলো: ‘দেয়ার’জ ওনলি ওয়ান রুডি ফ্যোলার’, জার্মান ফুটবল কিংবদন্তিকে স্মরণ করে গাওয়া৷
রোমের নীল আকাশ নিয়ে লেখা এই গানটি ইটালির অন্যতম জনপ্রিয় গান৷ ফুটবলের সাথে এর কোনো সংগতি নেই৷ কিন্তু কোরাসের সময় ‘ভোলারে’ শব্দটি এমনভাবে গাওয়া হয় শুনলে মনে হয় ‘ফিনালে’ অর্থাৎ ‘ফাইনাল’ গাওয়া হচ্ছে৷ তাই বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে যায়, তাদের জন্য ভক্তরা এই গান গেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Publifoto
গো ওয়েস্ট: ভিলেজ পিপল
স্টেডিয়ামের এই সংগীতটি ব্যাপক সফল৷ এ কারণে বিভিন্ন ক্লাব এবং দেশে এটা গাওয়া হয়৷ কেননা, যেকোনো পরিস্থিতি ও দেশের সাথে এটা খাপ খেয়ে যায়৷ যখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড সমর্থকরা গেয়ে ওঠেন ‘ওলে ইয়েটস্ট কমট ডেয়ার বেভেবে’ অর্থাৎ ‘ওরে বিভিবি আসছে’ , তখন লন্ডনে আর্সেনাল ভক্তরা গাইছেন ‘ওয়ান-নিল টু দ্য আর্সেনাল’৷ এসব দল একে অপরের শত্রু হলেও ‘গো ওয়েস্ট’ সব দলের জন্যই প্রযোজ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E.v.Maydell
ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন: জেরি অ্যান্ড দ্য পেসমেকার্স
‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ যেটি মূলত রজার্স অ্যান্ড হ্যামারস্টাইন মিউজিকের একটি গান৷ এই গানটি কিছুটা ‘দুখ জাগানিয়া’, তাই ফুটবলের সাথে তেমন একটা যায় না৷ আর এ কারণে এটি বেশ দীর্ঘ৷ অন্য ফুটবল সংগীত থেকে ভিন্ন হলেও গানের কথাগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ ষাটের দশকে লিভারপুলের ভক্তরা প্রথম এই গান গাওয়া শুরু করে৷ আর বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব স্টেডিয়ামে এই গান গাওয়া হয়৷