সুইজারল্যান্ডে আছে এক শূন্য তারকাবিশিষ্ট হোটেল৷ হোটেলটি একেবারে খোলা আকাশের নীচে অবস্থিত৷ না আছে ছাদ, না আছে দেয়াল৷ কিন্তু তারপরও সেখানে থাকতে চাওয়ার মানুষের অভাব নেই!
বিজ্ঞাপন
সুইজারল্যান্ডের গনটেন গ্রামের কাছে গ্যোবসি পাহাড়ের চূড়ায় এটি অবস্থিত৷ ১,২০০ মিটার উঁচুতে হোটেলটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন যমজ দুই ভাই ফ্রাংক ও পাট্রিক রিকলিন৷ ফ্রাংক রিকলিন বলেন, ‘‘শূন্য তারকা হোটেলের অন্যতম আকর্ষণ হলো, অনেক অতিথি বুঝতে পারেন না যে, এটি আসলে কী৷ এটি কি একটি শিল্পকর্ম, নাকি পর্যটন বা উদ্ভাবন? অতিথিদের একটুখানি অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়ার বিষয়টি বেশ দারুণ৷’’
কোনো ওয়ালপেপার নেই, বরং আশেপাশের দারুণ দৃশ্যের টানে সারা বিশ্ব থেকে মানুষ সেখানে যান৷ পাট্রিক রিকলিন বলেন, ‘‘আমরা এই বিছানার নকশা করেছি, তৈরিও করেছি এবং শুরু থেকে সবসময় এই হোটেলে অতিথি থাকছেন৷’’ ফ্রাংক রিকলিনের মতে, এটি আসলে বিলাসিতা উপভোগের অন্য ধরনের এক উপায়৷
সুইজারল্যান্ডের অদ্ভুত হোটেল!
04:16
রিসেপশনিস্ট কাম বাটলার হলেন ক্যোবি ডিটরিশ৷ কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি এই কাজ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি যে আমার জন্য এমন অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে৷ আমি এই হোটেলের অংশ হতে পেরে আনন্দিত৷’’ সারাদিন গরু চরানোর পর সন্ধ্যায় তিনি কাজের জন্য তৈরি হন৷
ক্যোবি ডিটরিশ সম্পর্কে পাট্রিক রিকলিন বলেন, ‘‘ভাবনা ছিল, কীভাবে এই আর্টকে জীবন্ত করে তোলা যায়, যেন যাঁরা এর চারপাশে আছেন, এখানে থাকছেন, তাঁরাও এর অংশ হয়ে যান৷ ক্যোবিকে ছাড়া এই শিল্পকর্ম একেবারে গতানুগতিক হয়ে যেত৷ তিনি আস্তে আস্তে এই আর্টের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন৷ একজন শিল্পী হিসেবে মূল্যায়ন করলে এটি আমার কাছে একটি পেন্টিংয়ের মতো মনে হয়, তবে জীবন্ত৷’’
গ্রীষ্মে এই হোটেলের পাশের এলাকায় একসময় স্ত্রী, সন্তান ও গরুদের নিয়ে একাকী জীবন যাপন করেছেন ক্যোবি৷ তবে এখন হঠাৎ করে প্রতিদিন নতুন অতিথিদের বরণ করতে ভালই লাগছে তাঁর৷
জার্মানির দশটি উদ্ভুটে হোটেল
দেখতে হয়ত জেল কিংবা রাস্তায় বসানোর জলের পাইপ অথবা অতিকায় কাঠের পিপের মতো৷ অথচ এরা সবাই এক-একটি সুপরিচিত হোটেল...
ছবি: Propeller Island
হোটেলের প্রত্যেকটি ঘর যেন শিল্পকলা
কোনো ঘরে শয্যা বলতে একটি কফিন৷ কোনো ঘরে আসবাবপত্র ঝুলছে ছাদ থেকে৷একটি ঘরের চতুর্দিকে আয়না লাগানো – একেবারে শিশমহল! বার্লিনের এই হোটেলটির নাম ‘প্রপেলার আইল্যান্ড’৷ এর ডিজাইন করেছেন শিল্পী লার্স স্ট্রশেন৷ এমনকি তিনি প্রতিটি ঘরের জন্য আলাদা মিউজিক কমপোজ করতেও ভোলেননি...৷
ছবি: Propeller Island
রেলগাড়ি ঝমাঝম
বার্লিন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ইয়্যুটারবোগ৷ সেখানে অতিথিরা ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের আস্বাদ পেতে পারেন৷ স্লিপার কোচ হোটেলটিতে ২৫ জন অতিথির থাকার জায়গা আছে৷ প্রত্যেক কম্পার্টমেন্টে একটি করে ডাবল বেড, সেই সঙ্গে বসার জায়গা ও একটি বাথরুম৷
ছবি: Schlafwagenhotel
বাক্সের মধ্যে ঘুমনো
জার্মানির পূর্বাঞ্চলে কেমনিৎস-এর কাছে লুনৎসেনাউ শহরের ‘কফটেল’ বা বাক্সো হোটেলটিকে বিশ্বের খুদেতম হোটেল বললেও সম্ভবত দোষ হবে না৷ ২০০৪ সালে সৃষ্ট হোটেলটির প্রতিটি ঘর একটি সুটকেসের আকারে৷ ঘর বলতে দেড় মিটার চওড়া, তিন মিটার লম্বা আর দু’মিটার উঁচু৷ বিছানা নিজেকেই নিয়ে আসতে হয়৷ রাত কাটানোর খরচ: ১৫ ইউরো৷ বছরে শ’পাঁচেক অতিথি এই বাক্সো হোটেলে রাত কাটান৷
ছবি: Zum Prellbock
হবিটরা যেখানে থাকে
টলকিয়েন-এর ‘লর্ড অফ দ্য রিংস’-এর কল্যাণে হবিটদের আর কে না চেনে? তবে হবিটদের ওয়াইল্ডারল্যান্ড দেখার জন্য নিউজিল্যান্ডের ফিল্মসেটে যেতে হবে না৷ হবিটরা যেভাবে বাস করত, জার্মানির টুরিঙ্গিয়া প্রদেশের জঙ্গলেও তা করা সম্ভব – এই হোটেলটির কল্যাণে৷
ছবি: Feriendorf Auenland
‘ড্যান্সেস উইথ উল্ভস’
সন্ধ্যা নামছে, আঁধার ঘনাচ্ছে, কোথাও কোনো মানুষের সাড়া নেই৷ এই হলো উত্তর জার্মানির ব্রেমেন শহরের কাছে ‘ট্রি ইন’ বা বৃক্ষ হোটেলের পরিবেশ৷ ড্যোরফার্ডেন-এ বাচ্চা নেকড়েদের রাখার জন্য যে ‘এনক্লোজার’ আছে, তার ঠিক মাঝখানে এই ট্রিহাউস হোটেল৷ পাঁচ মিটার উঁচুতে কাচে ঘেরা কামরা থেকে পরম আরামে নেকড়ে দেখা যায় – কেননা এখানে মিনি-বার থেকে হুইর্লপুল, কোনো আধুনিক বিলাসিতার অভাব নেই৷
ছবি: Tree Inn
জলের পাইপে বাস
জার্মানির রুর শিল্পাঞ্চলের বট্রপ শহরের পার্ক হোটেল-এ রাস্তায় বসানোর জলের পাইপগুলোকে কামরায় পরিণত করা হয়েছে৷ রাত কাটানোর কোনো বাঁধা ভাড়া নেই, যে যা পারেন, তা-ই দেন৷ জলের পাইপগুলোর ব্যাস প্রায় আড়াই মিটার; এক একটা সেকশনের ওজন সাড়ে ১১ টন৷ ভিতরে বিছানা আর একটা সাইড টেবল ঠিকই ধরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Weihrauch
লৌহকপাট
আগে এখানে জেলের আসামিরা বন্দি থাকতেন৷ আজ সেখানে ক্রাইম থ্রিলার-এর ফ্যানরা রাত কাটান৷ জার্মানির কাইজার্সলাউটার্ন শহরের আল্কাত্রাজ হোটেলে মোট ৫৬টি কামরা ও সুইট আছে৷ আজও এখানে সর্বত্র গারদ ও লোহার শিক – এমনকি হোটেলের পানশালাটিতেও৷ তবে অতিথিরা মর্জিমতো আসতে-যেতে পারেন৷
ছবি: alcatraz
মদের পিপেতে শয্যা
এককালে যেখানে ওয়াইন মজুদ রাখা হতো, সেখানে আজ রাত কাটানো যায়৷ রাইন নদের ধারে রুডেসহাইম শহরের লিন্ডেনভির্ট হোটেলটিতে ছ’টি অতিকায় কাঠের পিপে আছে৷ পিপেগুলোয় মোট ছ’হাজার লিটার সুরা ধরতো৷ আজ তার বদলে দু’জন অতিথির শোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ তবে বসবার ঘরটা পিপের বাইরে৷
ছবি: Lindenwirt
মধ্যযুগের নাইটদের মতো
দক্ষিণ জার্মানির লেক কন্সটান্স-এর কাছে আর্টুস হোটেলে ঢুকলে মনে হবে, যেন মধ্যযুগে প্রবেশ করেছেন৷ কামরাগুলো যেন মধ্যযুগের কোনো সরাইখানার অনুকরণে সাজানো, খাবারদাবার নাইটদের আমলের ভুরিভোজ...৷
ছবি: Hotel Arthus
শীতকাতুরেদের জন্য নয়
নাম ইগলু লজ৷ ইগলু বলতে উত্তরমেরু অঞ্চলের এস্কিমোদের বরফের ঘর৷ ওবার্স্টডর্ফ-এ নেবেলহর্ন পাহাড়ের উপর এই বরফের হোটেলটি ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস অবধি খোলা থাকে৷ ৪০ জন অতিথি এখানে দু’জন কিংবা চারজনের ইগলুতে রাত কাটাতে পারেন৷ সেই সঙ্গে রয়েছে – ভোর হলে – দু’হাজার মিটার উচ্চতা থেকে আল্পস পর্বতমালার অনুপম দৃশ্য৷
ছবি: IgluLodge
10 ছবি1 | 10
ক্যোবি ডিটরিশ তাঁর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘দুই দম্পতি এখানে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে৷ একজন এসেছিলেন হেলিকপ্টারে করে৷ আমি সেই সময় উপস্থিত ছিলাম এবং বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করেছি৷ দারুণ ব্যাপার ছিল ওটা৷ প্রস্তাবে তিনি হ্যাঁ বলেছিলেন৷ এখানে আমি এখন যা দেখছি, তা আগে কখনও দেখিনি৷’’
এই হোটেলের একমাত্র তারকা হলেন অতিথিরা৷ এটিই শূন্য তারকা হোটেলের দর্শন৷ ফ্রাংক রিকলিন বলেন, ‘‘যখন আমরা অতিথিদের প্রতিক্রিয়া দেখি, এই আর্ট প্রকল্পে তাদের চলাফেরা ও উৎসাহ দেখি, তখন আমরাও অনুপ্রাণিত হই৷ আমরা বুঝতে পারি, আমাদের কনসেপ্টটা সফল হয়েছে৷’’
হোটেলের এক অতিথি আন্দ্রেয়া তাসির্তো বলেন, ‘‘প্রথমে স্বপ্ন মনে হয়েছিল৷ তারপর সকালে উঠে মনে হলো, না, ওটা স্বপ্ন ছিল না৷’’ আরেক অতিথি রাফায়েল টামান বলেন, ‘‘দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ আমি আসলে খুবই ভাল ঘুমিয়েছি৷ বিছানাটা বেশ আরামদায়ক ছিল৷ একটু মশা ছিল, তবে সমস্যা হয়নি, অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল৷’’
অনেক কোম্পানি এই দুই শিল্পীকে তাদের কনসেপ্ট নিয়ে ব্যবসা করার প্রস্তাব দিয়েছিল৷ এর মধ্যে একটির মূল্য ছিল কয়েক মিলিয়ন ইউরো৷ কিন্তু তাঁরা রাজি হননি৷ কারণ হোটেলের ভবিষ্যতের বিষয়টি তাঁরা খোলা রাখতে চান৷
রেগিনা নিডেনজু/জেডএইচ
জার্মানির কয়েকটি অভিজাত হোটেল
জার্মানিতে এমন অনেক হোটেল আছে যেগুলোর ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ৷ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিরা সেসব জায়গায় অতিথি হিসেবে ছিলেন৷ এমনই কয়েকটি হোটেলের কথা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Hotel Adlon
আডলন, বার্লিন
জার্মানির বিখ্যাত হোটেলের একটি আডলন৷ বার্লিনের ঐতিহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের কাছে অবস্থিত হোটেলটি ১৯০৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল৷ এরপর ১৯৯৭ সালে হোটেলটি পুনরায় চালু হয়৷ ২০০২ সালে মাইকেল জ্যাকসন এই হোটেলে উঠেছিলেন৷
ছবি: Hotel Adlon
ফিয়ার ইয়ারেসসাইটেন, হামবুর্গ
হোটেল ঘেঁষে আশেপাশে অন্যান্য ভবন থাকায় হয়তো মনে হতে পারে, এটি তেমন অভিজাত কোনো হোটেল নয়৷ কিন্তু ভেতরে গেলে স্পা আর জিম করার যে স্থান সেটি বেশি জাঁকজমকপূর্ণ৷ হোটেল রুম থেকে শহরের যে দৃশ্য দেখা যায় সেটাও বেশ চমৎকার৷
ছবি: Fairmont Hotel Vier Jahreszeiten
এলিফান্ট, ভাইমার
ভাইমার শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এলিফান্ট বা এলিফেন্ট হোটেলের স্থাপনকাল ১৬৯৬ সাল৷ শুরুটা ছোট করে হলেও পরবর্তীতে এটি অভিজাত হোটেলে পরিণত হয়৷ ইয়োহান ভল্ফগাঙ ফন গ্যোটে আর ফ্রিডরিশ শিলার এই হোটেলের নিয়মিত অতিথি ছিলেন৷ তবে হোটেলের নাম কেন ‘এলিফেন্ট’ সেটা এখন আর কেউ বলতে পারেন না৷
ছবি: Hotel Elephant
টাশেনব্যার্গপালাইস, ড্রেসডেন
১৮ শতকে জার্মানির সাক্সোনি রাজ্যের ইলেক্টর আউগুস্টুস দ্বিতীয় দ্য স্ট্রং-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক নারীর বাসস্থান হিসেবে এই ভবনটি নির্মিত হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস হওয়া হোটেলটি ১৯৯৫ সালে পুনরায় চালু হয়৷
ছবি: Taschenbergpalais
গ্র্যান্ডহোটেল পেটার্সব্যার্গ, বন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৎকালীন জার্মানির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণে গঠিত ‘অ্যালাইড হাই কমিশন’-এর কার্যালয় হিসেবে এই হোটেলটি ব্যবহৃত হয়েছিল৷ এখনও সরকারি কর্মকর্তাদের অতিথিশালা হিসেবে হোটেলটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ মাঝেমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয় হোটেলটিতে৷
ছবি: Grandhotel Petersberg
শ্লস বেনসব্যার্গ, ব্যার্গিশ গ্লাডবাখ
বারোক সময়কালের দেয়ালচিত্র আর প্রতিমূর্তির দেখা পাওয়া যায় এই হোটেলে৷ ১৭০৩ সালে নির্মিত ভবনটি শুরুতে ছিল সামরিক হাসপাতাল ও ব্যারাক৷ পরে এটিকে হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়৷
ছবি: Schloss Bensberg
ব্রাইডেনবাখার হোফ, ড্যুসেলডর্ফ
২০০ বছরের পুরনো এই হোটেলে রাশিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় আলেক্সান্ডার থেকে শুরু করে বাভারিয়ার ডিউক মাক্সিমিলিয়ান ইয়োজেফ অতিথি হিসেবে থেকেছেন৷ এখনও হোটেলটিতে রাজাদের থাকার জন্য স্যুট রয়েছে৷
ছবি: Breidenbacher Hof
ব্রেনার্স পার্ক-হোটেল, বাডেন-বাডেন
অপরূপ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে থাকতে চাইলে যেতে হবে এই হোটেলে৷ ১৮৩৪ সালে নির্মিত হোটেলটি বর্তমানে স্পা-র জন্য বিখ্যাত৷
ছবি: Brenners Park-Hotel & Spa
কলম্বি, ফ্রাইবুর্গ
অভিজাত কলম্বি পরিবারের নামে এই হোটেলের রুম থেকে পুরনো ফ্রাইবুর্গ শহর দেখা যায়৷ আর লবি ও সিড়িতে আছে ওয়াইনের এক বিশাল সংগ্রহ৷ কতটা বিশাল জানেন? প্রায় ৩০ হাজার বোতল ওয়াইন আছে সেখানে৷
ছবি: Hotel Colombi
বায়ারিশার হোফ, মিউনিখ
১৮৪১ সালে বাভারিয়ার প্রথম লুডভিশ রাজকীয় অতিথিশালা হিসেবে এই ভবন নির্মাণ করেছিলেন৷ বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হোটেল যেখানে ৩৪০টি অভিজাত রুম রয়েছে৷ আর আছে ৬৫টি স্যুট৷