গাফুরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ সমর্থন করার জন্য। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। প্রবল কড়াকড়ি সত্ত্বেও বিক্ষোভ থামানো যায়নি। সাবেক ফুটবলার গাফুরি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করেছিলেন। বলা হয়েছে, তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন।

গাফুরি হলেন ইরানের কুর্দ এলাকার সবচেয়ে নামী ফুটবলার। তিনি আমিনির পরিবারের কাছে সমবেদনা জানিয়েছেন। এর আগে তিনি মেয়েদের দর্শক হিসাবে মাঠে না থাকার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিলেন। এর আগেও তিনি বারবার কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন।

কাতার বিশ্বকাপে ইরানের ফুটবলাররা জাতীয় সংগীত গাননি। তারা এভাবে ইরানে মেয়েদের প্রতিবাদকে সমর্থন করেছেন। দলের অধিনায়ক এহসান হাজসাফি এই বিক্ষোভ নিয়ে বলেছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতি তারা সহানুভূতিসম্মন্ন।

ইরানের তরফে জানানো হয়েছে, ফুটবলারদের আচরণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তেহরানের সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তারা কিছুতেই জাতীয় সংগীতের অপমান সহ্য করবেন না। কুর্দিস্তানের এক রক্ষণশীল এমপি বলেছেন, যারা জাতীয় সংগীত গাইবে, তাদের কাতার পাঠানো হোক। বর্তমান প্লেয়ারদের দেশে ফেরানো হোক।

এর আগে আন্দোলনকারীরা ফুটবলারদের সমালোচনা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ইরানের এই পরিস্থিতিতে কেন কাতারে যাচ্ছেন ফুটবলাররা?

ইরানের ফুটবলাররা দেশে ফিরলে কী হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। গার্ডিয়ানের রিপোর্ট বলছে, দেশে ফিরলে ইরানের ফুটবলাররা শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই আশঙ্কা বাড়ছে। সান জানিয়েছে, ফুটবলারদের জেল, এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ডেইলি মেল জানিয়েছে, ইরানের ফুটবলারদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, বাকি ম্যাচগুলিতে তারা যদি জাতীয় সংগীত না গায়, তাহলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

ইরানে এখনো বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোরতম ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাও বিক্ষোভ থামানো যাচ্ছে না।