তুরস্কের ইস্তানবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিলবোর্ডে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা সুইডেনে ঘটে বলে দাবি করা হয়েছে৷ যদিও সেদেশে ধর্ষণের হার ইউরোপের মধ্যে ‘অ্যাভারেজ'৷
বিজ্ঞাপন
ইস্তানবুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরের বহির্গমন বিভাগে প্রদর্শিত বিলবোর্ডটিতে দাবি করা হয়েছে যে, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয় সুইডেনে৷ বলা বাহুল্য, তুরস্ক এবং ইউরোপের মধ্যে চলমান অস্থিরতায় ঘি ঢেলেছে নতুন এই বিজ্ঞাপন৷
ইংরেজি এবং তুর্কি ভাষায় বিজ্ঞাপনটিতে লেখা হয়েছে: ‘‘ভ্রমণ সতর্কতা! আপনি কি জানেন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের হার ইউরোপে?'' বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনে এই লাইনটির সঙ্গে সেদেশের সরকারপন্থি পত্রিকা ‘গুনেশ'-এর প্রথম পাতার একটি ছবিও রয়েছে৷ সেখানে শিরোনামে লেখা, ‘‘ধর্ষণের দেশ সুইডেন৷''
তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পাঁচটি কারণ
সামরিক অভ্যুত্থানের প্রয়াসকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন এর্দোয়ান৷ তাঁর সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এসেছিল বলেই অভ্যুত্থান হতে পারেনি৷ তবে জনসমর্থনই তো সবসময় অভ্যুত্থান ঠেকাতে পারে না৷ তাহলে কেন ব্যর্থ হলো অভ্যুত্থানের চেষ্টা?
ছবি: Getty Images/G.Tan
এর্দোয়ানকে আটকাতে না পারা
অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করা৷ এ লক্ষ্য পূরণের জন্য এর্দোয়ানকে অবরুদ্ধ করাই ছিল প্রথম কাজ৷ সে কাজে ব্যর্থ হয়েছে অভ্যুত্থান প্রয়াসের সঙ্গে জড়িত সেনাসদস্যরা৷ তাঁকে ধরার চেষ্টা করেছিল বিমান বাহিনীর একটি অংশ৷ কিন্তু এর্দোয়ান সে চেষ্টা ব্যর্থ করে অভ্যুত্থানকেও ব্যর্থ করে দেন৷
ছবি: Reuters/H.Aldemir
প্রেসিডেন্ট ভবনে তীব্র প্রতিরোধ
আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট ভবনের ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল সেনাবাহিনী৷ কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, সেনাসদস্যরা প্রেসিডেন্ট ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কিছুটা খাটো করেই দেখেছিলেন৷ সে কারণে এক রকমের সমন্বয়হীনতা দেখা যায় প্রেসিডেন্ট ভবন আক্রমণে৷ ভবনের নিরাপত্তাকর্মীরা কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলে৷ শেষ পর্যন্ত সেখানেও ব্যর্থ হয় সেনাবাহিনী৷
ছবি: Getty Images/E. Ortac
পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা
পুলিশের ওপরও শুরুতে সেনা সদস্যদের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না৷ পুলিশ বুঝে উঠতে পারছিল না অভ্যুত্থানের প্রয়াসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে, নাকি সমর্থন দেবে৷ তাই শুরুতে প্রায় নিষ্ক্রিয়ই ছিল তারা৷ কিন্তু এর্দোয়ান পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর পুলিশও রুখে দাঁড়ায়৷
ছবি: Reuters/M.Sezer
ধর্মীয় নেতাদের আস্থা অর্জন করতে না পারা
ধর্মীয় নেতাদের আস্থায় নেয়ার চেষ্টা করেনি সেনাবাহিনী৷ ফলে এর্দোয়ান স্মার্ট ফোনে ভাষণ দেয়ার পর মসজিদগুলো থেকেও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়৷ ফলে পরিস্থিতি দ্রুত চলে আসে এর্দোয়ানের অনুকূলে৷ এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এফকান আলাকে গ্রেপ্তার করতে না পারা এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর দখল নিতে কালক্ষেপণ করার বিষয়টিও অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করায় ভূমিকা রেখেছে৷
ছবি: Reuters/Prime Ministry Pool
সমাজের ‘উঁচুমহলের’ সমর্থন না পাওয়া
অভ্যুত্থানের চেষ্টার সঙ্গে জড়িতরা জনমত একেবারেই বুঝতে পারেনি৷ তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান বা অভ্যুত্থানের প্রয়াস নতুন কিছু নয়৷ তবে বর্তমানে তুর্কি সমাজ একেবারেই সামরিক অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানানোর অবস্থায় নেই৷ তাছাড়া ব্যবসায়ী সমাজ এবং অভিজাত শ্রেণির সমর্থন আদায়েও ব্যর্থ হয়েছে সেনাবাহিনী৷
ছবি: Getty Images/G.Tan
5 ছবি1 | 5
গত সপ্তাহে বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর তুরস্কে টুইটারে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়৷ ইংরেজিতে #ডোন্টট্রাভেলটুসুইডেন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনেকে মন্তব্য করেছেন এই নিয়ে৷
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তুরস্কে ধর্ষণ বিষয়ক আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সেদেশের আদালতের এক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গট ওয়ালস্ট্রম৷ সেদেশে ১২ বছরের কম বয়সিদের যৌন নির্যাতন করা হলে কঠোর শাস্তি এবং ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের যৌন নির্যাতন করা হলে সে তুলনায় কিছুটা শিথিল শাস্তি ঘোষণার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন৷
ওয়ালস্ট্রম সেই পরিবর্তনের সমালোচনা করায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ইউরোপে রেসিজম এবং ইসলামবিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে৷
এদিকে, গুনেশ জানিয়েছে, তুরস্কের সম্মানহানিকর প্রচারণায় সুইডেন যোগ দেয়ায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি৷ এটি অস্ট্রিয়ার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত ‘‘১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সুযোগ দিচ্ছে তুরস্ক'' শিরোনামের কথাও উল্লেখ করেছে৷ এরকম সংবাদ প্রকাশের কারণে অস্ট্রিয়ার উপরও চটেছে তুরস্ক৷
আঙ্কারার অবস্থিত সুইডেনের দূতাবাস থেকে অবশ্য গুনেশ-এর বিজ্ঞাপন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে৷ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ টুইটারে জানিয়েছে কীভাবে সেদেশে ধর্ষণের সংখ্যা গণনা করা হয়৷ ইউরোপের মধ্যে সুইডেনে ধর্ষণের হার ‘অ্যাভারেজ', অর্থাৎ গড়ে অন্যান্য দেশ থেকে কম বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)
তুরস্কের এই দাবির পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? জানান আপনার মত, লিখুন নীচের ঘরে৷
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারী স্বাধীনতা, নারী আন্দোলন, নারী অধিকার নিয়ে সর্বত্র আলোচনা, সমালোচনা, বক্তৃতা, অন্যদিকে বেড়ে চলেছে ধর্ষণের সংখ্যা৷ কিন্তু কেন? এর জন্য কারা দায়ী, কী করে ধর্ষণ কমিয়ে আনা সম্ভব? বা ধর্ষিতা নারীদের কী-ই বা করা উচিত?
ছবি: Advocate Tanbir ul Islam Siddiqui
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ৷ তার ওপর পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধের যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেটাও যথার্থ নয়৷ এছাড়া বিশ্বের মোট নারীর ৭ শতাংশ নাকি জীবনের যে কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷
ছবি: Fotolia/DW
উন্নত বিশ্বের নারীরাও রেহাই পান না
ধর্ষণ শব্দটি শুনলেই মনে হয় এ ধরণের অপরাধ হয়ে থাকে শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই শতকরা ৩৩ জন মেয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়৷ এমনকি জার্মানির মতো উন্নত দেশের নারীরাও যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত৷
ছবি: Fotolia/detailblick
ধর্ষিতা নারীরা জানাতে ভয় পান
জার্মানিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত বা ধর্ষিত নারীদের সঠিক পদ্ধতিতে ‘মেডিকেল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত স্ত্রী বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া পিলস বলেন, ‘‘ধর্ষণের শিকার নারী লজ্জায় এবং আতঙ্কে থাকেন৷ তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে তথ্য জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ অনেকদিন লেগে যায় ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে৷
ছবি: detailblick/Fotolia
ধর্ষককে ধরার জন্য দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা
ধর্ষণের পর নারীদের কী করণীয় – এ বিষয়ে জার্মানির ধর্ষণ বিষয়ক নির্দেশিকায় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ যেমন ধর্ষণের পর একা না থেকে কারো সাথে কথা বলা৷ গোসল, খাওয়া, ধূমপান, বাথরুমে যাওয়ার আগে, অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে না যাবার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো৷ এ পরীক্ষা করালে ধর্ষক কোনো অসুখ বা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিল কিনা, তা জানা সম্ভব৷ নারীর শরীরে নখের আচড় বা খামচি থাকলে ধর্ষকের চিহ্ন সহজেই পাওয়া যায়৷
ছবি: DW/M. Ruettinger
যাঁরা ধর্ষণের শিকার, তাঁদের জন্য জরুরি বিভাগ
ধর্ষক যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে, অর্থাৎ অন্তর্বাস, প্যাড এ সব তুলে রাখুন৷ ছবিও তুলে রাখতে পারেন৷ নিজেকে দোষী ভাববেন না, কারণ যে ধর্ষণের মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে – সেই অপরাধী, আপনি নন৷ জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরের হাসপাতালে যৌন নির্যাতন বিষয়ক আলাদা জরুরি বিভাগ রয়েছে৷ তাছাড়া ধর্ষণ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে রয়েছে ‘গেভাল্ট গেগেন ফ্রাউয়েন’, যেখানে ২৪ ঘণ্টাই টেলিফোন করা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গ্রুপ থেরাপি
যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার নারীদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য জার্মানিতে রয়েছে গ্রুপ থেরাপি, যার সাহায্যে নারীরা আবার সমাজে সহজভাবে মিশতে পারেন এবং তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি সহজে ভুলে যেতে পারেন৷
ছবি: dpa
সবচেয়ে বেশি যৌন অপরাধ হয় বাড়িতেই
ভারতের কোথাও না কোথাও প্রতি ২২ মিনিটে একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে৷ তাই আদালতের নির্দেশে ভারতের পুলিশ বিভাগ এক সমীক্ষা চালিয়েছিল দিল্লির ৪৪টি এলাকায়৷ চলতি বছরের গত আট মাসে ২,২৭৮টি ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং যৌন অপরাধের তদন্তের ফলাফলে দেখে গেছে: ১,৩৮০টি ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা হলেন পরিবারের লোকজন এবং পরিচিতজনেরা৷ অর্থাৎ নিজের বাড়িতেও মেয়েরা নিরাপদ নয়!
ছবি: Fotolia/Miriam Dörr
সঠিক বিচার চাই
২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণধর্ষণ ঘটনার পর, ভারতে ঘটা করে বিচার বিভাগীয় কমিশন বসিয়ে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ দমনে আইন-কানুন ঢেলে সাজানো হয়৷ শাস্তির বিধান আরো কঠোর করা হয়৷ কিন্তু তাতে যৌন অপরাধের সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে৷
ছবি: picture alliance/abaca
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার
বাংলাদেশে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৬২০ জন, ২০১২ সালে ৮৩৬ জন, ২০১৩ সালে ৭১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ছ’মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি এবং এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮২ জন৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং পরে হত্যার ঘটনাও অনেক বেড়েছে৷
ছবি: DW
নারীর পোশাকই কি ধর্ষণের জন্য দায়ী?
বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়াভাবে, বেপর্দায় চলাফেলার কারণে ধর্ষণের শিকার হন৷’’ পুলিশের কর্মকর্তার দাবি, ধর্ষণের দায় প্রধানত নারীদের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বখাটে ছেলেরা তো ঘোরাফেরা করবেই৷’’ এ কথা শুধু পুলিশ কর্মকর্তার নয়, ভারত-বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাই এরকম৷ ধর্ষণ বন্ধ করতে এই মধ্যযুগীয় চিন্তা, চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন৷
ছবি: AFP/Getty Images/M. Uz Zaman
ছোট বেলা থেকে সচেতন করতে হবে
ধর্ষণ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে সঠিক ধারণা দিলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে৷ তাছাড়া পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ ধর্ষিতা নারীকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়, সে সম্পর্কেও সচেতনতা দরকার৷ অনেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷ গোটা সমাজও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকে৷ ডাক্তারি বা মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের বন্ধুবৎসল আচরণ৷