1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয় সুইডেনে!

২৭ আগস্ট ২০১৬

তুরস্কের ইস্তানবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিলবোর্ডে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা সুইডেনে ঘটে বলে দাবি করা হয়েছে৷ যদিও সেদেশে ধর্ষণের হার ইউরোপের মধ্যে ‘অ্যাভারেজ'৷

সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গট ওয়ালস্ট্রম
ছবি: Reuters/TT News Agency/C. Bresciani

ইস্তানবুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরের বহির্গমন বিভাগে প্রদর্শিত বিলবোর্ডটিতে দাবি করা হয়েছে যে, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয় সুইডেনে৷ বলা বাহুল্য, তুরস্ক এবং ইউরোপের মধ্যে চলমান অস্থিরতায় ঘি ঢেলেছে নতুন এই বিজ্ঞাপন৷

ইংরেজি এবং তুর্কি ভাষায় বিজ্ঞাপনটিতে লেখা হয়েছে: ‘‘ভ্রমণ সতর্কতা! আপনি কি জানেন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের হার ইউরোপে?'' বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনে এই লাইনটির সঙ্গে সেদেশের সরকারপন্থি পত্রিকা ‘গুনেশ'-এর প্রথম পাতার একটি ছবিও রয়েছে৷ সেখানে শিরোনামে লেখা, ‘‘ধর্ষণের দেশ সুইডেন৷''

গত সপ্তাহে বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর তুরস্কে টুইটারে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়৷ ইংরেজিতে #ডোন্টট্রাভেলটুসুইডেন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনেকে মন্তব্য করেছেন এই নিয়ে৷

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তুরস্কে ধর্ষণ বিষয়ক আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সেদেশের আদালতের এক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গট ওয়ালস্ট্রম৷ সেদেশে ১২ বছরের কম বয়সিদের যৌন নির্যাতন করা হলে কঠোর শাস্তি এবং ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের যৌন নির্যাতন করা হলে সে তুলনায় কিছুটা শিথিল শাস্তি ঘোষণার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন৷

ওয়ালস্ট্রম সেই পরিবর্তনের সমালোচনা করায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ইউরোপে রেসিজম এবং ইসলামবিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে৷

এদিকে, গুনেশ জানিয়েছে, তুরস্কের সম্মানহানিকর প্রচারণায় সুইডেন যোগ দেয়ায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি৷ এটি অস্ট্রিয়ার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত ‘‘১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সুযোগ দিচ্ছে তুরস্ক'' শিরোনামের কথাও উল্লেখ করেছে৷ এরকম সংবাদ প্রকাশের কারণে অস্ট্রিয়ার উপরও চটেছে তুরস্ক৷

আঙ্কারার অবস্থিত সুইডেনের দূতাবাস থেকে অবশ্য গুনেশ-এর বিজ্ঞাপন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে৷ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ টুইটারে জানিয়েছে কীভাবে সেদেশে ধর্ষণের সংখ্যা গণনা করা হয়৷ ইউরোপের মধ্যে সুইডেনে ধর্ষণের হার ‘অ্যাভারেজ', অর্থাৎ গড়ে অন্যান্য দেশ থেকে কম বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

তুরস্কের এই দাবির পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? জানান আপনার মত, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ