1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে সংস্কার

১ এপ্রিল ২০১২

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন এমন দাবি করেছে দল৷ এরপর থেকে গোটা দেশজুড়ে সু চির সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস দেখা যায়৷ আর মিয়ানমারও সম্ভাব্য সংস্কারের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো৷

Aung San Suu Kyi is greeted outside a polling station in Kawhmu township April 1, 2012, where she stands as a candidate in parliamentary by-elections. Myanmar votes on Sunday in its third election in half a century, a crucial test of its nascent reform credentials that could propel opposition leader Suu Kyi into parliament and convince the West to end sanctions. REUTERS/Damir Sagolj (MYANMAR - Tags: POLITICS ELECTIONS TPX IMAGES OF THE DAY)
Nachwahlen in Birma 2012ছবি: Reuters

বিজয়ের উল্লাস

রোববার সু চির নির্বাচনী আসন ছাড়াও আরও ৪৪টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়৷ এখন পর্যন্ত ভোটের গণনা চলছে৷ তবে ফলাফল জানাতে নির্বাচন কমিশনের আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে এমন কথা জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা এপি৷ তবে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার খানিক পরেই সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি-র পক্ষ থেকে সু চির বিজয় দাবি করা হয়৷ বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এনএলডির অন্যতম নেতা টিন ওউ জানিয়েছেন, তাদের দলের হিসাবে সু চি ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী আসনের শতকরা ৮২ ভাগ ভোট পেয়েছেন৷ এছাড়া তিনি জানিয়েছেন যে তাদের দল অন্তত ১০টি আসনে বিজয়ী হয়েছে৷ তবে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাব ঘোষণা করা হয়নি৷ তবে এরমধ্যে সু চির সমর্থকরা বিজয়োল্লাস শুরু করে দিয়েছেন৷ তাদের এই উল্লাস যতটা না আসন সংখ্যার কারণে, তার চেয়েও বেশি সু চির বিজয়ের কারণে৷

সুচির সমর্থকরাছবি: dapd

সুষ্ঠু ভোট

সকালে ভোট শুরুর পর কিছু অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছিলো এনএলডির পক্ষ থেকে৷ দলের মুখপাত্র নিয়ান উইন জানান, তারা অন্তত ৫০টি অভিযোগ দাখিল করেছেন এই নিয়ে৷ অনেক ভোটার তালিকায় ভোটারদের নাম নেই, এমনকি অনেক ব্যালটে সব মার্কাও দেখা যায়নি এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ তবে সু চি কিন্তু ভোট দেওয়ার সময় বলেছেন, যে নির্বাচন স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে৷ এদিকে ভোটার উপস্থিতির কোন পরিসংখ্যান এখনও নির্বাচন কমিশন জানায়নি৷ তবে সেটি দুয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে৷ তবে অনেক ভোটারই স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়েছেন৷

ভোট দিচ্ছেন এক ভোটারছবি: dapd

পারস্পরিক স্বার্থ

মিয়ানমারে এই যে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে তার পেছনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের ভূমিকার কথা শোনা যাচ্ছে৷ বিশ্লেষকদের মতে, এই সংস্কারের হাওয়ার পেছনে আসলে দুই পক্ষেরই স্বার্থ রয়েছে৷ একদিকে সু চি যেমন চাচ্ছেন তার দীর্ঘ দুই দশকের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে অন্যদিকে বর্তমান সামরিক প্রশাসন তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশ্বের গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম/এএফপি/এপি/ডিপিএ

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ