মিয়ানমারে সংস্কার
১ এপ্রিল ২০১২বিজয়ের উল্লাস
রোববার সু চির নির্বাচনী আসন ছাড়াও আরও ৪৪টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়৷ এখন পর্যন্ত ভোটের গণনা চলছে৷ তবে ফলাফল জানাতে নির্বাচন কমিশনের আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে এমন কথা জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা এপি৷ তবে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার খানিক পরেই সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি-র পক্ষ থেকে সু চির বিজয় দাবি করা হয়৷ বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এনএলডির অন্যতম নেতা টিন ওউ জানিয়েছেন, তাদের দলের হিসাবে সু চি ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী আসনের শতকরা ৮২ ভাগ ভোট পেয়েছেন৷ এছাড়া তিনি জানিয়েছেন যে তাদের দল অন্তত ১০টি আসনে বিজয়ী হয়েছে৷ তবে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাব ঘোষণা করা হয়নি৷ তবে এরমধ্যে সু চির সমর্থকরা বিজয়োল্লাস শুরু করে দিয়েছেন৷ তাদের এই উল্লাস যতটা না আসন সংখ্যার কারণে, তার চেয়েও বেশি সু চির বিজয়ের কারণে৷
সুষ্ঠু ভোট
সকালে ভোট শুরুর পর কিছু অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছিলো এনএলডির পক্ষ থেকে৷ দলের মুখপাত্র নিয়ান উইন জানান, তারা অন্তত ৫০টি অভিযোগ দাখিল করেছেন এই নিয়ে৷ অনেক ভোটার তালিকায় ভোটারদের নাম নেই, এমনকি অনেক ব্যালটে সব মার্কাও দেখা যায়নি এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ তবে সু চি কিন্তু ভোট দেওয়ার সময় বলেছেন, যে নির্বাচন স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে৷ এদিকে ভোটার উপস্থিতির কোন পরিসংখ্যান এখনও নির্বাচন কমিশন জানায়নি৷ তবে সেটি দুয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে৷ তবে অনেক ভোটারই স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়েছেন৷
পারস্পরিক স্বার্থ
মিয়ানমারে এই যে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে তার পেছনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের ভূমিকার কথা শোনা যাচ্ছে৷ বিশ্লেষকদের মতে, এই সংস্কারের হাওয়ার পেছনে আসলে দুই পক্ষেরই স্বার্থ রয়েছে৷ একদিকে সু চি যেমন চাচ্ছেন তার দীর্ঘ দুই দশকের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে অন্যদিকে বর্তমান সামরিক প্রশাসন তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশ্বের গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম/এএফপি/এপি/ডিপিএ
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী