1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাভারত

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে চিকিৎসার জন্য জামিন দিলো হাইকোর্ট

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জামিন দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। জরুরি চিকিৎসার কারণে এই জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাএয়া হচ্ছে।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জামিন দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। ছবি: Satyajit Shaw/DW

অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাবেক প্রতিষ্ঠান লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মী ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। সিবিআই তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করেছে।

এর আগে তার জামিনের আবেদন খারিজ হলেও এবার চিকিৎসার প্রয়োজনে এবং মানবিক কারণে তাকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

কেন এই জামিন?

বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় জানিয়েছেন, তারা দুইটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা দরকার। তাই তার চিকিৎসা জরুরি। বন্দি অবস্থায় তার মৃত্যু হলে তার দায় কে নেবে?  চিকিৎসা ও মানবিক কারণে তার জামিন পাওয়া দরকার বলে বিচারপতিরা মনে করছেন।

বিচারপতিরা জানিয়েছেন, মামলার মূল বিষয় নিয়ে তারা এখানে বিবেচনা করছেন না। জামিনের সময় সুজয়কৃষ্ণ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও  অস্ত্রোপচার করাতে পারবেন।

জামিনের শর্ত

সুজয়কৃষ্ণকে শর্তাধীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। জামিনের শর্তে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণর গতিবিধির উপর সিবিআই নজর রাখবে। সেজন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে। চিকিৎসার কারণ ছাড়া অন্য কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না বা কথা বলতে পারবেন না। তার মোবাইল সিবিআইয়ের কাছে থাকবে।

হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত, আগামী ২০ মার্চ এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। মার্চের শেষ পর্যন্ত জামিনের নির্দেশ বহাল থাকবে।

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ

২০২৩ সালের মে মাসে সুজয়কৃষ্ণকে ইডি গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে আছেন।

গত ৬ জানুয়ারি সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগদুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন করে সিবিআই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষদের সঙ্গে মিলে অযোগ্য প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।

এছাড়া লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আর্থিক তছরুপ মামলাতেও তিনি জড়িত বলে সিবিআই জানিয়েছিল।

এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জড়িত ছিলেন। তিনি পরে এই সংস্থা থেকে সরে আসেন। সুজয়কৃষ্ণ, যিনি কালীঘাটের কাকু নামেই বেশি পরিচিত, তিনি যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রমুখ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

শরীর খারাপ প্রসঙ্গে

সুজয়কৃষ্ণ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাকে জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝখানে তিনি ভেন্টিলেশনেও ছিলেন। তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা নিয়েও প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। শেষপর্যন্তসিবিআই এবং ইডি তার কণ্ঠস্বর রেকর্ড করে

জিএইচ/এসজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ