সুদানে নির্বাচনের প্রথম দিনে জালিয়াতি, বয়কটের খবর
১২ এপ্রিল ২০১০২৪ বছর পর নির্বাচন
১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম সুদানে একযোগে প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ ভোটগ্রহণ চলবে তিনদিন, ভোটারের সংখ্যাও নেহাত কম নয়, প্রায় ১৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন সুদানির ভোট প্রদানের সুযোগ রয়েছে এবার৷
তবে, ভোট গ্রহণের চেয়েও বড় যে খবর সেটি হচ্ছে, ইতিমধ্যেই সুদানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বাশিরের প্রধান বিরোধীরা নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন৷ এদের মধ্যে আছেন উম্মা পার্টির সাদিক আল-মেহেদী এবং দক্ষিণ সুদানের প্রধান দল এস.পি.এল.এম. এর ইয়াসির আরমান৷ তাঁদের বিশ্বাস, এই নির্বাচনে জাল ভোটের মাধ্যমে ফলাফল অন্যদিকে নেওয়া হবে, একইসঙ্গে ডারফুরের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন৷ আর তাই নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত এই দুই প্রধান বিরোধীর৷
সরে দাঁড়ালো প্রধান বিরোধীরা
ইতিমধ্যেই খার্তুমে নিজের ভোটটি দিয়ে দিয়েছেন বাশির৷ আর প্রধান বিরোধী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় একরকম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এবার জিতে যাবেন তিনি৷ মজার বিষয় হচ্ছে, এরপরও নির্বাচনে কারচুপি, জালিয়াতির খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সংবাদসংস্থাগুলো জানাচ্ছে, অনেক ভোটকেন্দ্রে নাকি ব্যালট পৌঁছেছে দেরিতে৷ খোদ নির্বাচন কমিশনও স্বীকার করেছে তা৷
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
সুদান নিয়ে গত কয়েকবছর ধরে কাজ করছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার৷ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালের পর আজকে সুদানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এটা দীর্ঘ সময় এবং প্রায় ২৫ বছর৷ যেকোন দেশেই এধরণের পরিস্থিতির পর নির্বাচন আয়োজন একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ তবে, আমি মনে করি সুদানের নির্বাচন কমিশন তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছে৷
এদিকে, নির্বাচনের প্রথম দিনে সুদানের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত ছিল বলেও জানিয়েছে দেশটিতে অবস্থানরত ইউ.এন.-আফ্রিকান ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা৷
এদিকে, সুদানে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এটাই এখন বড় বিষয়৷ অন্তত আন্তর্জাতিক মহল এতেই স্বস্তি প্রকাশ করেছে৷ তাছাড়া সুদানের নড়বড়ে জাতীয় ঐক্যের পরীক্ষা হিসাবেও দেখা হচ্ছে এই নির্বাচনকে৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়