1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চিরবিদায়

২৩ অক্টোবর ২০১২

বাংলা সাহিত্য তো বটেই, বাংলাদেশের জন্যও আজ বড় শোকের দিন৷ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর নেই! বাংলা, বাংলার আকাশ, বাংলার বর্ণমালায় তাই শোকের ছায়া!

ছবি: DW/Supriyo Bandyopadhyay

জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে, ১৯৩৪ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর৷ যিনি লিখেছিলেন ‘‘এক এক সময় মনে হয়, বেঁচে থেকে আর লাভ নেই / এক এক সময় মনে হয় / পৃথিবীটাকে দেখে যাবো শেষ পর্যন্ত....'' তাঁর জীবনের শেষ দিন হয়ে থাকল ২৩শে অক্টোবর, মঙ্গলবার, ২০১২৷ ২২শে অক্টোবর রাত দুটোয় দক্ষিণ কলকাতার নিজ বাসভবনে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি৷ বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর৷

পরিবারের সঙ্গে চার বছর বয়সেই ফরিদপুর থেকে চলে যান কলকাতায়৷ তবে বাংলাদেশের প্রতি তাঁর টান ছিল অন্তরের, অনেকবার গিয়েছেন বাংলাদেশে, স্থান করে নিয়েছেন অগুনতি পাঠকমনের অন্দরে৷ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ শুধু নয়, বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে একাধারে ঔপন্যাসিক, কবি, গল্পকার, কৃত্তিবাসের সম্পাদক, সাংবাদিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভক্ত-পাঠক৷ সকলেই প্রিয় লেখককে হারানোর বেদনায় ভারাক্রান্ত৷

‘সেই সময়', ‘ মহাপৃথিবী ', ‘অরণ্যের দিনরাত্রি ', ‘প্রথম আলো', ‘ পূর্ব পশ্চিম', ‘রক্ত'-এর মতো উপন্যাস, ‘রাত্রির রঁদেভু', ‘হঠাৎ নীরার জন্য', ‘নীরা হারিয়ে যেও না ', ‘সুন্দরের মন খারাপ মাধুর্যের জ্বর '-এর মতো কাব্যগ্রন্থ, ‘ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ', ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে'-র মতো ভ্রমণকাহিনীসহ অসংখ্য রচনার স্রষ্টা সুনীলের মরদেহ তাঁর ছেলে সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায় দেশে না ফেরা পর্যন্ত রেখে দেয়া হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে৷ সৌভিক ফেরার পর বুধবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে ‘নীল লোহিত' অথবা ‘সনাতন পাঠক'-এর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা৷

প্রাক্তন সহকর্মী সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের সুনীল’দা...ছবি: DW/Supriyo Bandyopadhyay

সদালাপী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বড় গুণ ছিল সবার সঙ্গে মিশতে পারা৷ তাই যেখানে গিয়েছেন আপন করে নিয়েছেন সবাইকে৷ জার্মানিতে এসেছেন বহুবার৷ বেশ কয়েকবার যোগ দিয়েছেন ফ্রাংকফুর্টে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলায়৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গেও একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুনীলের৷ এখানে এসেছেন, বাঙ্গালি-জার্মান সাংবাদিক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দেয়ার ছলে ভাগাভাগি করেছেন জীবনের নানা জানা-অজানা অভিজ্ঞতা৷ সে সবই এখন স্মৃতি!

সাহিত্যের জন্য ১৯৭২ ও ১৯৮৯ সালে আনন্দ পুরস্কার আর ১৯৮৫ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়৷ তাঁর গল্প, উপন্যাস নিয়ে এমন কিছু চলচ্চিত্র হয়েছে যেসব দর্শকমনে নাড়া দেবে চিরকাল৷ সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি', ‘প্রতিদ্বন্দ্বী' দিয়ে যদি তালিকাটা শুরু করা হয়, শেষ করতে হবে ‘মনের মানুষ' দিয়ে৷ গৌতম ঘোষ ছবিটি নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক সাধক লালন ফকিরের জীবনী নিয়ে৷ লালনের জীবনী-নির্ভর এই উপন্যাসটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়েরই লেখা৷

প্রতিবেদন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ