1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুন্দরবন বাঁচাও মিছিল পণ্ড

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে সাইকেল মিছিল শেষ পর্যন্ত পণ্ড হয়েছে৷ আয়োজকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে প্রথমে বাধা দেয় ছাত্রলীগ৷ পরে জলকামান ছুড়ে কর্মসূচিটি পণ্ড করে দেয় পুলিশ৷

সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলন
ছবি: picture-alliance/dpa/Pacific Press/M. Hasan

শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণের কথা ছিল সাইকেল মিছিলটির৷ তবে মিছিল শুরু হওয়ার আগেই পুরো শহীদ মিনার এলাকা ঘিরে রাখে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষ অবলম্বনকারীরা৷ তাদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা৷ সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত মঞ্জুরুল আলম পান্না ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এদের হাতে ছাত্রলীগের কোনো ব্যানার ছিল না৷ তবে আমরা বুঝতে পেরেছি যে এরা ছাত্রলীগের সদস্য৷ আসে ছাত্রলীগ নামধারীরা আগে থেকে পরিকল্পনা করেই আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়৷ আর পুলিশ আমাদের সহযোগিতা না করে উলটে দোয়েল চত্বর এলাকায় জলকামান ছুড়ে  গোটা কর্মসূচিটাই পণ্ড করে দেয়৷''

ঘটনার সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিরোধী পক্ষের ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনাও ঘটে৷ বিরোধীরা জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়ানো তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়৷

মাসুদুর রহমান

This browser does not support the audio element.

সুন্দরবন বাঁচাও সাইকেল মিছিল'-এর সমন্বয়ক সামান্তা শারমিন অভিযোগ করেন, ‘‘মিছিল শুরুর সময়ই ক্যাম্পাসে মানববন্ধন শুরু করে ছাত্রলীগ৷ তারা শহীদ মিনার ঘিরে রাখে৷ সেখান থেকে নেতা-কর্মীদের বের হতেও বাধা দেয় তারা৷ আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখে৷''

যারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে অবস্থান নেয় তাদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আমরা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই৷' ওই ব্যানারে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের এখানে পূর্ব নিধারিত কর্মসূচি ছিল৷ সে অনুযায়ীই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সুন্দরবন থেকে ৬০-৬১ কিলোমিটার দূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে, এতে বনের কোনো ক্ষতি হবে না৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুম্মন হোসেন বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছি৷ কিন্তু যারা রামপালের বিরোধিতা করছে, তারাই গায়ে পড়ে এসে ঝামেলা করার চেষ্টা করে৷ আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করার জন্য তারা ধাক্কাধাক্কি করে৷'' তবে তাঁর দাবি, ‘‘বিদুৎকেন্দ্রের দাবিতে এই কর্মসূচি ছাত্রলীগ দেয়নি৷ সাধারণ শিক্ষার্থীরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচি দিয়েছে৷''

সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলনের মঞ্জুরুল আলম পান্না জানান, ‘‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিরোধীরা চলে যাওয়ার পর, আমরা শাহবাগের দিকে সাইকেল মিছিল নিয়ে অগ্রসর হই৷ কিন্তু পুলিশ সেখানে আমাদের বাধা দেয়৷ এরপরও আমরা দোয়েল চত্বর দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, পুলিশ জলকামান ছুড়ে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়৷''

মঞ্জুরুল আলম পান্না

This browser does not support the audio element.

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘‘শহীদ মিনারে যখন বিরোধীরা আমাদের ঘিরে রাখে, তখনও পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেনি৷ তারা সহযোগিতা করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমর্থকদের৷ ছাত্রলীগ নামধারীরা এবং পুলিশ পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছে৷''

এ নিয়ে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব-অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও, তাঁকে পাওয়া যায়নি৷

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কোনো অনুমতি না নিয়েই সুন্দরবন বাঁচাও সাইকেল মিছিল কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল৷ এ ধরনের কর্মসূচি পালনে পুলিশের পূর্বানুমতি নিতে হয়৷ তারপরও পুলিশ বাধা না দিয়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় সেই চেষ্টাই করেছে৷ দু'পক্ষকেই শান্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷''

জলকামান ছোড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রাক্ষায় যা করণীয় তা করেছে৷''

প্রসঙ্গত, সুন্দরবন বাঁচানোর দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এই সাইকেল মিছিলের আয়োজন করে৷ মিছিলটি কেন্দ্রীয শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মোহাম্মদপুর, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল৷ ফেসবুকে ‘সুন্দরবন বাঁচাও সাইকেল মিছিল' নামে একটি ইভেন্ট খুলে কর্মসূচিতে সবাইকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল৷

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ