২০০৬ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন অর্পণা ঘোষ৷ এ পর্যন্ত ৭টি সিনেমা ও অসংখ্য নাটকে অভিনয় করা এই অভিনেত্রী বর্তমান সময়ের সুন্দরী প্রতিযোগিতাগুলো নিয়ে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের সঙ্গে৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে: সম্প্রতি ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ' প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো৷ এ নিয়ে বিতর্কও হলো৷ আপনি কী মনে করেন?
অর্পণা ঘোষ: আসলে যে বিষয় নিয়ে বিতর্ক হলো সেটা আমি সাপোর্ট করি৷ আমি যেটা জানি, বিচারকরা যাঁকে সিলেক্ট করেছিলেন তাঁকে দেয়া হয়নি৷ বিচারকরা যাঁকে সিলেক্ট করবেন তাঁকে দেয়াই ভালো৷ এখন বিচারকরা যদি গুরুত্ব না পায়, তাহলে এই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম না করাই ভালো৷ পাশের দেশ দেখলেই বোঝা যায়, তারা কিভাবে একটা মেয়েকে তৈরি করে৷ আমি নিজেকে দিয়ে বুঝি এটার মাধ্যমে কতটা চেঞ্জ আসে৷ বিচারকদের এই ভূমিকা না থাকলে আজকে আমরা এই জায়গায় আসতে পারতাম না৷ এই বিতর্কটা না হলে আমাদের রং একটা ডিসিশন নিয়ে এগিয়ে যেতে হতো৷
Interview Aparna Ghosh for dwAlaap - MP3-Stereo
এটা কি ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, নাকি আরো বিতর্কিত করবে?
অবশ্যই ভালো দিকে যাবে৷ আসলে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় একটি প্রতিষ্ঠান থাকে, এজেন্সি থাকে, কারো বিনিয়োগও থাকে৷ এখানে সবার গুরুত্ব আছে৷ এখানে মেয়েরাও গুরুত্বপূর্ণ, বিচারকরাও গুরুত্বপূর্ণ৷ পুরোটাই সার্কেল৷ এখন এই প্রতিযোগিতা থেকে যে মেয়েরা আসবে, তাদের নিয়ে বিতর্ক থাকবে না৷ যারাই এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে, তারা সবাই এখন অনেক বেশি সতর্ক থাকবে৷
এই ধরনের প্রতিযোগিতায় বিচারকদের কতটুকু গুরুত্ব দেওয়া হয়?
আমি যদি আমার সময়ের কথা বলি, তাহলে তখন বিচারকরা যাঁকে সিলেক্ট করেছিলেন, তাঁকেই আনা হয়েছে৷ এখানে বিচারকদের ৯০ ভাগ মতামতই কাজে এসেছে৷ আমাদের যে চার মাস ধাপে ধাপে তৈরি করা হয়েছে, তখন বিচারকরাই কিন্তু আমাদের সঙ্গে টাচে ছিলেন৷ অর্গানাইজারদের পছন্দ থাকতে পারে, কিন্তু বিচারকদের হাতে এগুলো ছেড়ে দেয়া উচিত৷ বিচারকরাই বুঝতে পারেন, আমাদের এই সেক্টরে কোন মেয়েটা আসলে এখানে টিকে থাকতে পারবে, তাকে কী করতে হবে৷ সে এই প্রফেশনকে বিলং করবে কিনা৷ আমার মনে হয়, বিচারকদের উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত৷
আমাদের দেশে তো বিভিন্ন নামে বিউটি কনটেষ্ট হয়, এই প্রতিযোগিতার উপকারিতা কী?
আসলে আমাদের সময়ে আমি চট্টগ্রাম থাকতাম৷ আমার অভিনয় করার শখ বা আমি অভিনয় পারি, কিন্তু কিভাবে আমি এখানে আসবো তার কোনো পথ ছিল না৷ এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমি সেই পথ খুঁজে পেয়েছি৷ আমি জানি, আমি সুন্দরী, আমি জানি, আমি ভালো হাঁটতে পারি, তাহলে কেন আমি আমার প্রতিভাটা লুকিয়ে রাখবো? এটাও তো একটা মাধ্যম৷ এখন কিন্তু অনেকের পরিবারই মেয়েদের মডেলিং করতে দেয়, অভিনয় করতে দেয়৷ সে হিসেবে এটা একটা প্ল্যাটফর্ম৷ দেখেন বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় আমাদের পাশের দেশ থেকেই যাকে পাঠাচ্ছে, তাকে ৪/৫ বছর ধরে তৈরি করে পাঠাচ্ছে৷ অথচ আমাদের এখানে এই ধরনের কোনো সুযোগ নেই৷
সেরা সুন্দরী হয়েও মুকুট হারিয়েছেন যাঁরা
বিভিন্ন সময়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জেতা সেরার মুকুট ফিরিয়ে দিতে হয়েছে কোনো কোনো সুন্দরীকে৷ সম্প্রতি বাংলাদেশেও এমনটি ঘটেছে৷
ছবি: Sazzad Hossain
ভেনেসা উইলিয়ামস, মিস অ্যামেরিকা, ১৯৮৪
১৯৮৩ সালে প্রথম আফ্রিকান অ্যামেরিকান হিসেবে ‘মিস অ্যামেরিকা’ হয়েছিলেন৷ কয়েকমাস পর ‘পেন্টহাউস’ ম্যাগাজিনে তাঁর (বামে) য়েকটি অননুমোদিত নগ্ন ছবি ছাপা হলে বিতর্ক তৈরি হয়৷ এরপর তাঁর মুকুট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল৷
ছবি: AP
অক্সানা ফেডোরোভা, মিস ইউনিভার্স ২০০২
রুশ এই সুন্দরী মিস ইউনিভার্স হিসেবে কয়েকমাস দায়িত্ব পালন করেন৷ একসময় তিনি গর্ভবতী বলে গুজব ছড়ায়৷ কিন্তু অক্সানা সেই গুজব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন৷ পরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘দ্য হাওয়ার্ড স্ট্যার্ন শো’ নামে এক টিভি অনুষ্ঠানে বারবার তাঁকে যৌনতা বিষয়ক প্রশ্ন করা হলে তিনি বিরক্ত হন৷ এমন প্রশ্ন যে করা হবে, সে ব্যাপারে তাঁকে আগে সতর্ক না করায় সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb/S. Chirikov
ক্যারি প্রিজিন, মিস ইউএসএ ২০০৯
অনলাইনে তাঁর আংশিক নগ্ন ছবি প্রকাশ হওয়ায় চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রিজিনের মুকুট কেড়ে নেয়া হয়েছিল৷
এক সাংবাদিকের সঙ্গে রূঢ় ও উদ্ধত আচরণের অভিযোগে প্রতিযোগিতার আয়োজক কর্তৃপক্ষ ক্যারিডের মুকুট ছিনিয়ে নেয়৷ ক্যারিডে পরে ঐ সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে টেলিভিশনে প্রচারিত ঐ সাক্ষাৎকারের সময় তাঁর মন এমনিতেই বিক্ষুদ্ধ ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Lorca
ইতির এসেন, মিস তুর্কি ২০১৭
খেতাব জেতার পরের দিনই তা কেড়ে নেয়া হয়৷ কারণ, তখন জুলাই মাসে করা এসেনের একটি টুইট কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে৷ তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টার এক বছর পূর্তিকে ঘিরে ঐ টুইটটি করেছিলেন এসেন৷ তিনি ঐ ঘটনায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়েছিলেন৷ ‘‘জুলাই ১৫ শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে আজ সকালে আমার পিরিয়ড হয়েছে৷ শহিদদের রক্তের সম্মানে আজ নিজে রক্তাক্ত হয়ে আমি দিনটি উদযাপন করছি,’’ এই ছিল এসেনের টুইট৷
ছবি: picture alliance/abaca/E. Yorulmaz
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল, বাংলাদেশ
বিয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ‘মিস বাংলাদেশ’-এর মুকুট জয়ের কয়েকদিন পরই সেটি হারান এভ্রিল৷ জানা যায়, ১৬ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেছিলেন৷ তিন মাস পর তার সমাপ্তি ঘটে৷ বাংলাদেশের আইনে বাল্যবিবাহকে বিয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া না হলেও মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তথ্য গোপন করেছেন এভ্রিল৷ তাই এভ্রিলকে বাদ পড়তে হয়েছে৷ তার জায়গায় জেসিয়া ইসলাম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন৷
ছবি: Sazzad Hossain
মিস গ্র্যান্ড মিয়ানমার ২০১৭, সোই আইন সি
কয়েকটি নিয়ম ভঙ্গ করায় তিনি মিস গ্র্যান্ড মিয়ানমার ২০১৭-এর মুকুট হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ৷ তবে সোই আইন সি-র ফেসবুকে প্রকাশ করা একটি ভিডিও আসল কারণ বলে গুজব উঠেছে৷ ঐ ভিডিওতে নিহত মানুষের ছবি দেখা যাচ্ছে৷ রোহিঙ্গা মুসলিমরা এর জন্য দায়ী বলে আইন সি-কে ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে৷ অবশ্য আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভিডিওর কারণে মুকুট কেড়ে নেয়ার খবরটি সত্য নয়৷
ছবি: facebook/shweedwards
7 ছবি1 | 7
এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় কোন বিষয়কে?
প্রতিযোগিতাগুলো সুনির্দিষ্ট করে হয়৷ যেমন ধরেন, আমি যে প্রতিযোগিতা থেকে এসেছি, সেখানে বলাই হয়েছিল ‘নায়িকার খোঁজে'৷ ‘দারু চিনি দ্বীপ' একটা সিনেমা হবে, সেই সিনেমার নায়িকার জন্য ওইবারের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ আমি হয়েছিলাম ওই সিনেমার নায়িকা৷ একটা মেয়ের কনফিডেন্স লেবেল এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেক বেড়ে যায়৷ আমাদের দেশে অভিনয়ে ভালো মেয়ের অভাব রয়েছে৷ এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যারা আসে, তারা ভালো করে৷ যারা ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে আসে, তাদের কিন্তু কোনো ট্রেনিং থাকে না৷ তারা কিভাবে ভালো করবে?
এই প্রতিযোগিতাকে আরো সুন্দর ও বিতর্কমুক্ত করতে হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
আমি অনেক জানি এটা বলব না৷ আমার পরামর্শ হলো, একটা টিনএজ মেয়ে এখানে আসে, সে তো সবকিছু জানে না৷ জানতে পারে না৷ ওই মেয়েগুলোকে যা শেখানো হয়, সেটা যেন পারফেক্টলি শেখানো হয়৷ দেখেন, আমাদের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ' হলো, এখানে একটা মেয়েকে মুকুট দেয়া হলো আবার ফিরিয়ে নেয়া হলো৷ ওই মেয়েটার মধ্যে কী প্রভাব পড়ল সেটা দেখছে না কেউ৷ এটা যাতে না হয়৷ ওরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে আসে৷ সেই স্বপ্নগুলো আমরা যেন পূরণ করতে পারি৷ অনেকে মনে করে, বিউটি কনটেষ্ট খারাপ জায়গা৷ আমি মনে করি, এটা খারাপ জায়গা না, এটা বরং বেশি করে হওয়া উচিত৷
এই যে সুন্দরী প্রতিযোগিতা হয়, এটা কোনো -না- কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, এটা কি এমন হওয়া উচিত?
কিছু করারও তো নেই৷ দেখেন, আমাদের নাটক বলেন, সিনেমা বলেন, সবকিছুই একটা নড়বড়ে অবস্থায় আছে৷ সবকিছুই ওই প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর হাতেই আছে৷ আমি জানি না সরকার বা প্রধানমন্ত্রী এটা দেখেন কি-না৷ তিনি যদি একটু নজর দেন, তাহলে কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়৷ আমাদের অর্থনীতি বলেন, রাজনীতি বলেন, সবকিছুই একটা নড়বড়ে অবস্থায় আছে৷ এগুলো ঠিক হলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়৷ আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী এদিকে একটু নজর দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে৷
বাঙালি নারীর দশ গুণ
গরবিনি, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা – বাঙালি নারীর সঙ্গে এই তিনটি বিশেষণই মানানসই৷ নারীর গুণ সম্পর্কে জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের পাঠকরা৷ তাঁদের মতামত এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বাঙালি নারীর দশগুণ নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
আবেগী, স্বাধীনচেতা
গরবিনি, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা – বাঙালি নারীর সঙ্গে এই তিনটি বিশেষণই মানানসই৷ আবেগ যেমন তাঁদের দ্রুত স্পর্শ করে, তেমনি স্বাধীনতার প্রশ্নে কিন্তু তাঁরা সত্যিকার অর্থে অনড়৷ নিজের সত্ত্বা নিয়ে অহংকার তাঁদের আছে বটে, তবে তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মধ্যে রয়েছে অসীম ধৈর্য্য৷
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
শাড়িতে সবচেয়ে সুন্দর
বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে শাড়ি৷ সেই শাড়ি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলে চমৎকারভাবে৷ বিভিন্নভাবে শাড়ি পরতে জানেনও তাঁরা৷ আর ‘উপহার হিসেবে শাড়ি’? – কোন বাঙালি মেয়ে না চায় বলুন?
ছবি: DW/A. Islam
উৎসব প্রেমী
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন৷ নববর্ষ, ঈদ কিংবা দুর্গা পূজা – সব উৎসবই যেন বাঙালি নারীর জন্য তৈরি৷ প্রতিটি উৎসবের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে এবং সেই উৎসবের উপযুক্ত রান্নায় পারদর্শী তাঁরা৷ ডয়চে ভেলের পাঠক সুজন খানের কথায়, ‘‘বঙ্গের নারী লাজুক প্রকৃতির, কিন্তু যে কোনো উপলক্ষ্যেই প্রাণ খোলা হাসি উপচে পড়ে তাঁদের৷’’
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
‘নো ডায়েট’
বাঙালি নারী ‘ডায়েট’ করছেন, এমনটা বেশ বিরল৷ তাই খাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা বেশ উদার৷ কথায় বলে না, মাছে-ভাতে বাঙালি? অবশ্য মাছ-ভাতের পাশাপাশি ফুসকা কিংবা চটপটি পেলে তো আর কথাই নেই৷ আসলে টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি, এমনকি তেতোও পছন্দ এই নারীদের৷
ছবি: Debarati Mukherji
রান্নার শখ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাই ধরুন৷ দেশ সামলানোর কঠিন দায়িত্ব পালনের মাঝেও রান্না ঘরে যেতে ভোলেন না তিনি৷ গত বছর ছেলের জন্য রান্না করার সময় তোলা তাঁর এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল৷ বাঙালি মেয়েরা রাঁধতে যে ভীষণ ভালোবাসেন!
ছবি: Sajeeb Wazed
অল্পতেই সন্তুষ্ট
বাঙালি মেয়েদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা কি খুব কঠিন? না৷ সকলেই জানেন যে, কাজটা সহজই৷ একটি লাল গোলাপ পেলে কিংবা প্রিয় রেস্তোরাঁয় নিয়ে গেলেই তাঁরা সন্তুষ্ট৷ ডয়চে ভেলের পাঠক রন্জু খালেদের মতে, বাঙালি নারীর মধ্যে ‘একইসাথে দৃঢ়তা ও নমনীয়তা এবং প্রজাপতির চপলতা’ রয়েছে৷
ছবি: DW/A. Islam
কাজল কালো চোখ
জীবনানন্দ দাসের ‘বনলতা সেন’ কিংবা রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’ – বাঙালি নারীর কাজল কালো চোখের প্রশংসা পাবেন অনেক কবির কবিতাতেই৷ সত্যি বলতে কি, বাঙালি নারীর চোখ পুরুষকে টানে সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: N.Seelam/AFP/GettyImages
বাকপটু
বাংলাদেশের কিংবা ভারতের মেয়েরা চুপ করে বসে আছেন – এমন দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন৷ তাঁরা কথা বলতে ভালোবাসেন৷ রান্না থেকে রাজনীতি – সব বিষয়েই একটা মতামত আছে তাঁদের৷ ডয়চে ভেলের পাঠক জিএনএস নয়নের কথায়, ‘‘নারী পুরুষের যে কোনো কষ্ট অতি সহজে ভুলিয়ে দিতে পারে৷ এই গুণই আমাকে মুগ্ধ করে, আবার সাথে অবাকও করে৷’’
ছবি: DW/A. Islam
নারীবাদী
বাঙালি মেয়েরা নারীবাদী৷ বিতর্কিত বাঙালি লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁদের অনেকেরই প্রিয়৷ নাসরিনের ‘আমার মেয়েবেলা’ পড়েনি এমন নারী পাওয়া মুশকিল৷
ছবি: AFP/Getty Images
ভ্রমণপ্রিয়
বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি নারীর গুণ কি আর অল্পতে জানানো যায়, বলুন? কিছু গুণ না হয় অজানাই থাক৷ তবে একটির কথা বলে শেষ করি, বাঙালি মেয়েরা কিন্তু ঘুরতে খুব ভালোবাসেন৷ তথ্য সহায়তা: ডয়চে ভেলে ফেসবুক পাতা, ইন্ডিয়াওপাইন্স, স্কুপহুপ
ছবি: DW/A. Islam
10 ছবি1 | 10
আপনি নিজেও তো এই ধরনের একটা প্রতিযোগিতা থেকে এসেছেন৷ সেখান থেকে কর্মজীবনে প্রবেশের অনুভূতি কী?
আমি মনে করি, লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার আমার জন্য আর্শীবাদই ছিল৷ আমি চিটাগাংয়ের মেয়ে৷ অভিনয় করতে চাই, কিন্তু কিভাবে করব, কোথায় যাবো, কিছুই জানতাম না৷ এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমি প্ল্যাটফর্মটা পেয়েছি৷ এই জায়গাটাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি৷ এই জায়গাকে ভালো বাসতে হবে৷ দেখেন, রাজনীতি বলেন, চাকরি বলেন, আপনি যেখানেই কাজ করবেন, সেই জায়গাটাকে ভালবাসতে হবে৷ তা না হলে কিছুই হবে না, সফলতা আসবে না৷ অনেক কষ্ট করেছি, একটু একটু করে জায়গা তৈরি করতে হয়েছে৷ আমি যেমন কষ্ট করেছি, এখন তেমন সফলতা পেয়েছি৷
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷