‘কাম্পি ফ্লেগ্রেই' যে একটি আগ্নেয়গিরি এলাকা, এখানকার ‘সলফাতারা' বা গন্ধক মাটি তার প্রমাণ৷ কিন্তু মাটির নীচে কি কোনো বড় বিস্ফোরণ দানা বাঁধছে?
বিজ্ঞাপন
ইটালির নেপলস শহরের কাছে অবস্থিত ‘সলফাতারা' বস্তুত একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মুখ, যা ফ্লেগ্রেই আগ্নেয়গিরি এলাকার অংশ৷ এখানে মাটির নীচে যে সুবিশাল আগ্নেয়গিরিটি আছে, তার গভীর থেকে গন্ধকবাহী বাষ্প উপরে উঠে আসে – দেখা যায়, আবার গন্ধতে বোঝাও যায়৷ বিজ্ঞানীরা এবার জানতে চান, ‘সুপার ভলক্যানো'-টির ভিতরে কী ঘটছে৷
আগ্নেয়গিরি এলাকায় যে ভূকম্পন আরো ঘন ঘন ঘটছে, বিজ্ঞানীরা সেদিকে খেয়াল রাখেন; এছাড়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগ্নেয়গিরির সুবিশাল গহ্বরটির উপরিভাগে কী ঘটছে, সেদিকেও নজর রাখেন: গত দশ বছরে এখানকার জমি অন্তত আরো আধ মিটার উঁচু হয়ে গেছে৷
বিপদ সংকেত
জোভানি কিওদিনি-র মতো আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা এই বিপদ সংকেত লক্ষ্য করেছেন ও তার তাৎপর্য বোঝার চেষ্টা করছেন৷ জোভানি বলেন, ‘‘এটা যে একটানা ঘটেছে, এমন নয়, বরং যেন দ্রুততর হয়েছে – গত বছর তার আগের বছরের চেয়ে বেশি৷ কাজেই আমরা এই আগ্নেয়গিরিতে ভবিষ্যতে কী ঘটবে, তা নিয়ে একটু চিন্তিত৷''
আগামীতে এই আগ্নেয়গিরিতে কোনো বিস্ফোরণ ঘটবে কিনা, বিজ্ঞানীরা তা জানার চেষ্টা করছেন৷ সেজন্য তারা পাথরের ফাটল থেকে যে বাষ্প বেরোচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখছেন৷ এই ফাটলগুলিকে বলে ‘ফিউমারোল'৷ লক্ষণীয় বিষয় হলো, গত ১৫ বছরে ফিউমারোলগুলি থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে চারগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
ভয়ংকর সুন্দর!
এপ্রিল ২০১৫’তে চিলির কালবুকো আগ্নেয়গিরি থেকে উদগিরণ শুরু হয়েছিল৷ আশপাশের এলাকা থেকে সব মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল৷ ছবিঘরটি সেই সময় তৈরি করা৷
ছবি: Reuters/C. Gutierrez
নাটকীয় উদগিরণ
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ফুটেজে দেখা গেছে বুধবার চিলির কালবুকো আগ্নেয়গিরি থেকে উত্তপ্ত ও গলে যাওয়া পাথর, গ্যাস, ধোঁয়া এবং ছাই বের হচ্ছে৷ প্রায় চার দশক ধরে এটি সুপ্ত ছিল৷ আগ্নেয়গিরির সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বে চিলির অবস্থান দ্বিতীয়, আর এই আগ্নেয়গিরিটি সবচেয়ে ভয়ংকর৷ ৫০ কিলোমিটার দূরের এলাকা থেকেও উদগিরণ দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters
সর্বোচ্চ সতর্কতা
চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোর ১০০০ কিলোমিটার দক্ষিণে আগ্নেয়গিরিটির অবস্থান, যার উচ্চতা ৬৫৭১ ফুট৷ দেশটির জাতীয় খনি ও ভূতত্ব বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে৷ ঐ এলাকায় জনগণের প্রবেশ নিষেধ করেছে৷
ছবি: Reuters/R. Arenas
আতঙ্ক
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরির ভেতর যেসব পদার্থ রয়েছে তাদের স্থিতি শক্তি গতি শক্তিতে রূপান্তরের কারণে এই অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে৷ দ্বিতীয়বার অগ্ন্যুৎপাতের পর মানুষের মধ্রে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ খাবার ও গ্যাস মজুদ রাখা শুরু করেন সবাই৷
ছবি: AFP/Getty Images/M. Bernetti
বরফ গলার আশঙ্কা
অগ্ন্যুৎপাতের ফলে পর্বতের বরফ গলে নদীর পানি বাড়তে পারে৷ এর ফলে বন্যার সৃষ্টি হতে পারেও বলে হুশিয়ারি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Reuters/Ivan Alvarado
ধূসর মরুভূমি
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ছাই৷ এই ছাই পরিষ্কার করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী৷ তবে কর্তৃপক্ষ হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে যে, বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে এবং বৃষ্টিপাত হলে ছাইভস্ম কঠিন শীলায় পরিণত হবে৷ সেই ছাইয়ের কারণে যাতে শ্বাস নিতে কষ্ট না হয়, তাই সবাইকে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Bernetti
পর্যবেক্ষণ আর অপেক্ষা
আগ্নেয়গিরিটির ২০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সব অধিবাসীকে সরিয়ে নিয়েছে চিলির জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ সংস্থা৷ সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৬০০০-এরও বেশি মানুষকে৷
ছবি: Reuters/C. Gutierrez
6 ছবি1 | 6
জোভানি বলেন, ‘‘ফিউমারোলগুলি থেকে নির্গত বাষ্পে যে কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়েছে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত, কেননা এর সাথে তাপমাত্রার যোগ আছে৷ আগ্নেয়গিরির অভ্যন্তরে তাপমাত্রা যতো বাড়বে, মনোক্সাইড নির্গমনও ততো বাড়বে৷ কাজেই মনোক্সাইড নির্গমন বৃদ্ধিকে আমরা আগ্নেয়গিরির তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রমাণ বলে গণ্য করছি৷''
কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিই শুধু একমাত্র লক্ষণ নয়: ফিউমারোল থেকে নির্গত বাষ্পের পরিমাণ ও তাপমাত্রাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ জোভানি কিওদিনির কাছে এই সব পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে ম্যাগমা – ভূত্বকের নীচে সেই তরল বা আধা-তরল পদার্থ, যা পরে লাভা হিসেবে বেরিয়ে আসে৷
জোভানি বলেন, ‘‘ম্যাগমার গ্যাস থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে আমাদের ধারণা৷ মাঝে মাঝে ম্যাগমা বিপুল পরিমাণ তরল পদার্থ ছাড়ে; সেই তরল পদার্থ ‘কালডেরা' বা ম্যাগমা কক্ষের উপরিভাগে পৌঁছলে, ফিউমারোল দিয়ে তা বেরিয়ে আসে৷''
‘হাইড্রোথার্মাল' প্রণালী
‘হাইড্রোথার্মাল' প্রণালী বলতে বোঝায় পাথর ও পানির একটি স্তর৷ ফ্লেগ্রেই এলাকার উপরিভাগ এই স্তর দিয়ে তৈরি৷ ম্যাগমা ওপরে উঠতে শুরু করলে চাপ কমে যায়: ম্যাগমার গ্যাসগুলো বেরিয়ে এসে উপরের স্তরে জমা হয়৷ আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ ঘটবে কিনা, তা ম্যাগমায় মিশে থাকা এই গ্যাসগুলোর উপরেও নির্ভর করে৷
মহাশূন্য থেকে দেখা প্রাকৃতিক বিপর্যয়
স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীটা কেমন দেখায়? ভূপৃষ্ঠে কী ঘটছে, তার কতটুকু জানতে পারে তারা? স্যাটেলাইট থেকে তোলা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি দেখলে তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায়৷
ছবি: NASA
আগ্নেয়গিরির যখন ঘুম ভাঙে
আগ্নেয়গিরিরা যতদিনই নিদ্রমগ্ন থাকুক না কেন, তাদের ঘুম ভাঙলে আর রক্ষা নেই! ২০০৯ সালে রাশিয়ার কুরিল দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত সারিকেভ আগ্নেয়গিরিটি যখন বিস্ফোরিত হয়, তখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস ঠিক তার উপর দিয়ে যাচ্ছিল৷ মহাকাশচারীরা মেঘের ফাঁক দিয়ে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের ছবি তোলার সুযোগ পান৷ আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে শুরু করে বাষ্প, প্রায় সব কিছুই মহাকাশ থেকে দেখা যায়৷
ছবি: NASA
পড়ে থাকে বালুচর
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসা-র প্রোবা-৫ পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটটি ভূপৃষ্ঠে কোনো বিশেষ এলাকার ছবি তোলে দিনের পর দিন, যা থেকে পরিবেশগত পরিবর্তনের একটা চিত্র ধরা পড়ে৷ ওপরের ছবিগুলো তোলা হয়েছিল (বাম থেকে ডান) ২০১৪ সালের এপ্রিল, ২০১৫ সালের জুলাই ও ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে৷ ছবিগুলি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বলিভিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ পুপো কিভাবে ধীরে ধীরে উধাও হচ্ছে৷
ছবি: ESA/Belspo
আগুন নিয়ে খেলা
প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অরণ্যে দাবানল মানুষ ও পরিবেশের বিপুল ক্ষতি করে৷ মানুষই অধিকাংশ সময়ে এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী৷ ইন্দোনেশিয়াতে চাষিরা ক্রান্তিমণ্ডলীয় ‘পিট’ রেইনফরেস্টে আগুন লাগানোর ফলে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়৷ বোর্নিও আর সুমাত্রা দ্বীপের আগুন স্যাটেলাইটের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে৷ সেই আগুনের ধোঁয়ার কারণে ইন্দোনেশিয়ার বহু মানুষ বায়ুদূষণ সম্পর্কে সচেতন হন৷
ছবি: NASA/J. Schmaltz
বানভাসি জার্মানি
২০১৩ সালে মধ্য ইউরোপে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তা-তে এ অঞ্চলের মুখ্য নদীগুলিতে বন্যা নামে৷ স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এলবে নদী কিভাবে কুল ছাপিয়েছে৷
ছবি: NASA/J. Allen
ঘূর্ণিঝড়
হারিকেন অথবা সাইক্লোন; প্রচণ্ড বাতাসের গতি, বিপুল বৃষ্টিপাত, সাগরে বান; এ ধরনের ঝড়ের গতিবেগ, গতিপথ ও অগ্রগতির উপর চোখ রাখার জন্য চাই মহাশূন্য থেকে সংগৃহীত তথ্য৷ মেক্সিকোর উপকূলে ২৫শে নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে তোলা স্যান্ড্রা ঘূর্ণিঝড়ের ছবি৷
ছবি: NASA/J. Schmaltz
হিমবাহের বরফ গলছে
জলবায়ু পরিবর্তনের উপর নজর রাখতে স্যাটেলাইটের দরকার, বিশেষ করে হিমবাহের বরফ গলার পরিমাপ বুঝতে৷ মহাশূন্য থেকে তোলা ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা দেখাতে পেরেছেন যে, সারা বিশ্বে একাধিক হিমবাহের বরফ কমে গিয়েছে – অপরদিকে সাগরের জল বেড়েছে৷ ২০০২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আর্জেন্টিনার পাটাগোনিয়ো অঞ্চলের উপশালা হিমবাহ কিভাবে ধীরে ধীরে সরে গিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস থেকে তোলা এই সব ছবি তার প্রমাণ৷
ছবি: NASA
বালির ঝড়
অথবা ধুলোর ঝড়, হাবুব কিংবা সিমুম৷ ছবিটি তোলা হয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, স্যাটেলাইট থেকে৷ মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের ধুলোবালির ঝড় দিনকে রাত করে দেয়৷ স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য ভূপৃষ্ঠে গ্রাউন্ড স্টেশনের সেন্সরগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়৷
ছবি: NASA/J. Schmaltz
‘নগ্ন শিখর’
ক্যালিফর্নিয়ার মাউন্ট শাস্টা পাহাড়ের চূড়ায় যে পর্যাপ্ত বরফ নেই, এই পরিস্থিতি বর্ণনা করার জন্য নাসা ঐ দু’টি শব্দ ব্যবহার করেছে৷ মাউন্ট শাস্টা এই অঞ্চলে পানীয় জলের একটি প্রধান উৎস৷ শুধু ক্যালিফর্নিয়াতেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকেও এই ধরনের ‘বাদামি পাহাড়ের’ ছবি পাওয়া গিয়েছে, যদিও অদূর অতীতে তাদের তুষারাবৃত শ্বেতশুভ্র মূর্তি স্মৃতিতে আজও অম্লান৷
ছবি: NASA/R. Simmon
8 ছবি1 | 8
জোভানি বলেন, ‘‘গ্যাস নির্গমনের প্রক্রিয়াটা সহজেই বোঝা যায়: আমরা যখন সোডার বোতল খুলি তখন চাপ কমে গিয়ে অনেকটা গ্যাস বেরিয়ে আসে৷ আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্রে সোডাওয়াটারের বদলে থাকে ম্যাগমা, যা থেকে গ্যাস বেরিয়ে আসে৷''
জোভানি কিওদিনি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে হিসেব করার চেষ্টা করছেন, ম্যাগমা থেকে নির্গত গ্যাস ওপরের হাইড্রোথার্মাল স্তরের উপর কী প্রভাব ফেলতে পারে৷ কিওদিনির মডেলে ‘ফ্লেগ্রেই প্রান্তর'-এর নীচে যে পরিমাণ ম্যাগমা ওপরে উঠে আসছে, তা একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে ও থেকে থেকে বিপুল পরিণাম জলজ বাষ্প ওপরে পাথরের স্তরে পাঠিয়ে দিচ্ছে৷ পাথরের স্তরের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে ও তা আরো ঝুঁঝরো ও স্থিতিহীন হয়ে পড়ছে৷ কম্পিউটার সিমুলেশনে শেষ অবধি পাথরের স্তর আর চাপ সামলাতে পারবে না – ফলে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটবে৷
বিজ্ঞানীরা অন্যান্য আগ্নেয়গিরির সঙ্গে তুলনা করেছেন: অনুরূপ আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্রে জমি উঁচু হতে শুরু করা থেকে ম্যাগমার গ্যাস নির্গত হওয়া পর্যন্ত – অর্থাৎ আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ অবধি, ১৫ বছর সময় লেগে যায়৷
জোভানি বলেন, ‘‘এখানে এটা একটা বিপর্যয় ঘটাতে পারে, কেননা অতীতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণগুলির মধ্যে একাধিক ইউরোপ অথবা এই ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ঘটেছে৷ কাজেই আমাদের মতো বহু মানুষ, যারা আগ্নেয়গিরি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের প্রচেষ্টা হল, আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের লক্ষণ কীভাবে আরো ভালোভাবে বোঝা যায়৷''
কেউ বলতে পারবে না, ‘ফ্লেগ্রেই প্রান্তর'-এ পরবর্তী বিস্ফোরণ কবে ঘটবে৷ তবে বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই অশনি সংকেত দেখছেন৷