1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আক্রান্ত নারী আইনজীবী

৩০ ডিসেম্বর ২০১৩

বিএনপি নেতৃত্বাধীন আঠারো দলীয় জোটের ডাকা ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’-র প্রথম দিন রবিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক নারী আইনজীবী৷ তাঁর উপর হামলার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে৷

Bangladesch Anwältin wird in Dhaka angegriffen
রবিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক নারী আইনজীবীছবি: DW

সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের উপর আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলার সময় পুলিশ ছিল কার্যত নিরব দশর্ক৷ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্টতই পুলিশের নিরবতা দেখা গেছে৷ তখন আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলার শিকার এক নারী আইনজীবীকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন সাংবাদিকরা৷ ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর আলোকচিত্র সাংবাদিক সানাউল্লাহ হক নিজের পিঠ পেতে রক্ষা করেন নারী আইনজীবীকে৷ ফেসবুকে সানাউল্লাহ-র একটি ছবি শেয়ার করে তাঁর সহকর্মী সোহেল মনজুর লিখেছেন, ‘‘নিউ এজে তোমার সহকর্মী হতে পেরে গর্বিত৷''

ক্যানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক সওগাত আলী সাগর লিখেছেন, ‘‘বিশ্বজিৎ বেচারা দর্জির পোলা! তার নৃশংস খুন হওয়া ক্যামেরাবন্দী করতেই ব্যস্ত ছিল সব ক্যামেরাওয়ালা৷ এই আইনজীবীটির বেলায় অন্তত একজন ‘ক্যামেরাওয়ালা' মানুষ হয়ে উঠেছিলেন৷ স্যালুট সানা, আপনাকে স্যালুট৷ আপনি কেবল ‘ক্যামেরাওয়ালা' থাকেন নি৷ মানুষ হয়ে উঠেছিলেন৷''

নারী আইনজীবীর উপর হামলাকারীদের শাস্তিও দাবি করেছেন সাগর৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আর ওই অমানুষগুলো, যারা একজন মায়ের সম্মান দিতে শিখেনি, ওই দুবৃত্তগুলোকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হউক৷''

প্রথম এভারেস্টজয়ী বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহিমও ফেসবুকে নারী আইনজীবীকে পেটানোর ছবি শেয়ার করেছেন৷ তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘‘একজন নারীকে লাত্থি ও লাঠিপেটা করাকে রাজনৈতিক সহিংসতা বলে চালিয়ে দেবেন? তার চেয়েও বড় এবং জঘন্য ব্যাপার: জাতীয় পতাকায় মোড়ানো লাঠি দিয়ে একজন নারীকে পেটানো৷ এতে কি জাতীয় পতাকার অবমাননা হয় না?

মুসা মনে করেন, ‘‘জামাত-শিবির অথবা স্বাধীনতার পক্ষের তকমাধারী – কারো কাছেই জাতীয় পতাকা আজ নিরাপদ নয়...৷''

গোপালগঞ্জ প্রসঙ্গ

রবিবার খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি পুলিশ৷ তখন বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে পুলিশের উদ্দেশ্যে ক্ষুব্ধ খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘গোপালগঞ্জের নাম পাল্টিয়ে ফেলবো৷'' তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সামহয়্যার ইন ব্লগে মৌটুসী চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘গোপালগঞ্জ একটি জেলার নাম, এই জেলা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এই জেলার মাটির মালিক বিএনপি-আওয়ামী লীগ-জাতীয় পাটি, সবাই, সত্যি অবাক হলাম, কেন গোপালঞ্জ জেলার নামের প্রতি খালেদা জিয়ার এত ক্ষোভ?''

এই ব্লগার তাঁর নিবন্ধের শেষের অংশে লিখেছেন, ‘‘প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিটি মানুষের রাজনৈকি সমাবেশ ও কর্মসূচি পালনের আধিকার আছে, কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে অনেকটা নিজের কবর নিজেই খনন করলো৷''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ