সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনায় ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ গ্রেপ্তার
৪ জানুয়ারি ২০১৯গ্রেপ্তানকৃতরা হলেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘প্রধান সহযোগী’ হিসেবে পরিচিত হাসান আলী বুলু৷ অন্যজন সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জসিমকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের নাজিরহাট এলাকা থেকে এবং পরে বুলুকে চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.ইলিয়াছ শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “হাসান আলী বুলু ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী৷ ভোটকেন্দ্রে তার সঙ্গেই ওই নারীর ঝামেলা হয়েছিল৷ পরে সে দশ হাজার টাকায় কয়েকজন ইটভাটা শ্রমিককে ভাড়া করে৷’’
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনার পর নয় জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী৷ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
মামলার অপর আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল৷ ঘটনার একদিন পরে ধর্ষণের শিকার সেই নারীর অটোরিকশাচালক স্বামী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ধানের শীষে ভোট দেয়ায় ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পরে আমার বাড়িতে ঢুকে আমার স্ত্রী-কে ধর্ষণ করে৷’’ ধর্ষকরা রুহুল আমীন নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার লোক বলেও এ সময় দাবি করে তিনি৷
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ ঘটনার সাথে কোন ধরণের দলীয় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷ তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনকে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তাকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা৷
নির্যাতনের শিকার ওই নারী এখন নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড৷
আরআর/এপিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
আপনার কোন মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷