সুমিতে হামলার পর কি ইউক্রেনে শান্তি ফেরার আশা শেষ?
১৬ এপ্রিল ২০২৫
সুমিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই পক্ষই তাদের অবস্থান কঠোর করেছে। ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে নতুন প্রস্তাব আছে।
সুমিতে রাশিয়ার হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ছবি: Roman Pilpey/AFP/Getty Images
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনে যুদ্ধের তীব্রতা আবার বেড়ে গেছে। রোববার উত্তরপূর্ব ইউক্রেনের শহর সুমিতে রাশিয়া যে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে তারপর দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে একমত হওয়া কঠিন হয়েছে এবং শান্তি আলোচনা ধাক্কা খেয়েছে।
জার্মান কাউন্সিল অফ ফরেন রিলেশনসের ইউক্রেন বিশেষজ্ঞ উইলফ্রেড জিলগে ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সুমিতে এই যুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে। তবে এটাই প্রথম ঘটনা নয়। আমরা এখনো পুরোপুরি ধরতে পারছি না, ঘরে-বাইরে এই শাসন কতটা নির্মম।''
সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছিল, তারা সুমিতে সামরিক টার্গেটে আক্রমণ করেছে। ইউক্রেনের সেনার বৈঠক হচ্ছিল। সেখানেই তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। ৬০ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ইউক্রেন সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছিল।
জার্মানির চ্যান্সেলর-ইন-ওয়েটিং ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেনকে টরাস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা উচিত।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ''জার্মানি যদি ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেয়, তাহলে যুদ্ধের তীব্রতা আরো বাড়বে। ইউরোপের অন্য দেশগুলিও এই পথে হাঁটতে চাইছে। ফলে যুদ্ধ আরো দীর্ঘ হতে পারে।''
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ
মাসখানেক আগে যুদ্ধবিরতির আশা প্রবল হয়েছিল। ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুটিন সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, ৩০ দিন কোনো পক্ষই জরুরি পরিকাঠামোর উপর আক্রমণ চালাবে না।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর ন্যাটো
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর ৩২টি পশ্চিমা রাষ্ট্রের সামরিক জোট ন্যাটোর অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, আবার ফিরে আসছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি।
ছবি: Gints Ivuskans/Getty Images/AFP
ন্যাটোয় ঢুকবে ইউক্রেন?
ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কয়েকবছর ধরেই। কিন্তু দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদের জন্য আবেদন করে রাশিয়ার আক্রমণের পর, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। ইউক্রেনের প্রতি ন্যাটোভুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সদস্যপদ প্রাপ্তি এখনও অনেক দূরের পথ। অনেক দেশই মনে করে এমন পদক্ষেপ রাশিয়াকে আরো উসকে দিতে পারে। তাছাড়া দেশটির বিভিন্ন নীতি এখনও ন্যাটোর মানে পৌঁছায়নি বলেও মনে করে অনেক দেশ।
ছবি: Artur Widak/NurPhoto/picture alliance
ন্যাটোর নতুন সদস্য
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর দীর্ঘদিন ধরে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলা দুই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত ফিনল্যান্ডের। সোভিয়েত ইউনিয়নের ফিনল্যান্ড আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে, এমন ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা থেকেই মূলত নিরপেক্ষতা নীতি ভেঙে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ন্যাটোতে যোগ দেয় দেশটি। সুইডেন জোটে যোগ দেয় ২০২৪ সালের মার্চে।
ছবি: Pond5 Images/IMAGO
পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর উপস্থিতি
রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসনের আশঙ্কায় রয়েছে পূর্ব ইউরোপের নানা দেশ। পূর্ব ইউরোপের আটটি দেশে ন্যাটোর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। ন্যাটো জানিয়েছে, এর মাধ্যমে জোটটি আবারও স্পষ্ট করছে, 'জোটের এক সদস্যের ওপর আক্রমণের মানে সবাইকে আক্রমণ'। পূর্ব ইউরোপের যেসব দেশে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে সেগুলো হচ্ছে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়া।
ছবি: U.S. Army/Zuma/imago images
বাল্টিকে সবচেয়ে বড় মহড়া
বাল্টিক সাগর এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে ১৯৭১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক মহড়া করে আসছে ন্যাটো। এই মহড়াকে সংক্ষেপে বলা হয় বাল্টোপস। ২০২৪ সালের ৭ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বাল্টোপসের ৫৩তম সংস্করণ ন্যাটোর ইতিহাসে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া। ২০টি দেশ থেকে আসা নয় হাজার সৈন্য অংশ নেন এতে। ৩০টি যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও স্থল ও আকাশপথেও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছবি: Getty Images/AFP/P. Malukas
নড়বড়ে মার্কিন অবস্থান
২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে ইউরোপে ন্যাটোর সহযোগীদের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। ন্যাটোর চুক্তি অনুসারে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিজেদের জিডিপির দুই শতাংশ ন্যাটোর প্রতিরক্ষা বাজেট হিসাবে দেয়ার কথা। বেশিরভাগ দেশই তা না করায় যুক্তরাষ্ট্রকেই জোটের প্রতিরক্ষা বাজেটের বড় অংশ বহন করতে হয়। এ নিয়ে সমালোচনা করায় জোটের অংশীদারদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল।
ছবি: Nicholas Kamm/AFP
ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার জিততে পারেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ন্যাটোর সদস্যদের নিয়ে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য ভাবিয়ে তুলেছে অনেককে। ফেব্রুয়ারিতে প্রচারণায় তিনি বলেছেন, কোনো দেশ বাজেট বরাদ্দ না করলে তাদের আক্রমণে তিনি রাশিয়াকে 'উৎসাহিত' করবেন। এই মন্তব্যকে 'ভয়াবহ এবং অনাকাঙ্খিত' বলে নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এসব মন্তব্যে 'ন্যাটোর সদস্যরা ঝুঁকিতে পড়ছে' বলে মন্তব্য করেছেন ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ।
ছবি: picture-alliance/dpa/E. Vucci
শীর্ষে সম্ভাব্য পরিবর্তন
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে জোটের নতুন প্রধান নিয়োগ দেয়া হতে পারে। বর্তমান প্রধান নরওয়ের ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গের মেয়াদ বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়েছে। তবে এবার সে পদে বিদায়ী ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাকে সরাসরি সমর্থনও জানিয়েছে। ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নানা বিষয়ে সহজে বোঝাপড়ার করার ইতিহাস রয়েছে তার।
ছবি: NATO
ইউরোপিয়ান সেনাবাহিনী
ট্রাম্পের আগের মেয়াদে ন্যাটোর সদস্যদের মধ্যে ইউরোপের নিরাপত্তা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব সংকটে পড়েছিল। এরপরই ইউরোপের রাজনীতিতে জোরেসোরে উচ্চারিত হতে থাকে ন্যাটোর বিকল্প একটি ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠনের প্রস্তাব। এই প্রস্তাবের মূলে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। তবে এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা এ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনায় পৌঁছাতে পারেননি।
ছবি: FABRICE COFFRINI/AFP
8 ছবি1 | 8
তবে সেই সময়েও রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অন্যের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ করে। তবে তাদের দাবি নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
জিলগে বলেছেন, ''এই চুক্তি ছিল বৃহত্তর কৌশলের একটা অঙ্গ। রাশিয়ার কোনো তাড়াহুড়ো ছিল না। ক্রেমলিন ভেবেছিল, পশ্চিমা দেশগুলি এই বিষয়ে একমত হতে পারবে না। তারা ভেবেছিল, অ্যামেরিকা ইউরোপ থেকে সরে যাবে এবং ইউক্রেনকে আর সাহায্য করবে না।''
গত ১০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার উপর আবার নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দেয়ায় তিনি কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। জো বাইডেন ২০২১ সালের এপ্রিলে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তা আরো একবছর বাড়িয়েছেন ট্রাম্প।
ইউক্রেনকে আরো সাহায্য করতে চায় ইইউ
জিলগে মনে করেন, ''ইউরোপকেই এখন সক্রিয় হতে হবে। এখনো নিষেধাজ্ঞাকে কড়া করার অনেক সুযোগ আছে। ইউরোপ তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইউক্রেনকে ঢুকিয়ে নিতে পারে।''
ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাজা ক্যালাস সেটাই চান। ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে গত সোমবার তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে আরো সাহায্য করতে হবে।
ইইউ ইউক্রেনকে ২০ লাখ রাউন্ড গুলি-গোলা দেবে বলে জানিয়েছে। জিলগে বলেছেন, ''ইউক্রেনের অস্ত্র কারখানাগুলিতে উৎপাদন বাড়ানোর ব্যবস্থা করাটাও একটা বিকল্প। ২০২২-এর পর থেকে ইউক্রেন এই উৎপাদন অনেক বাড়িয়েছে। এখন তারা তাদের প্রয়োজনীয় গুলি-গোলার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করে।''
রাশিয়া যা বলছে
রাশি্য়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি তখনই হতে পারে, যখন যুদ্ধের মূল কারণগুলি দূর হবে। এই কারণের মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধার অভাবের বিষয়টিও আছে।
তিনি বলেছেন, ''রাশিয়ার লক্ষ্য হলো সংখ্যালঘু অধিকার পুরোপুরি্ সুরক্ষিত করা। কয়েক শতক ধরে যারা সেখানে বাস করছেন, তারা যাতে সেখানে বসবাস করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা।''
রাশিয়ার মিসাইলে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রকাশনা সংস্থা
ইউক্রেনের খারকিভে মস্কোর মিসাইল হামলায় অনেক স্থাপনার মতো ধসে পড়েছে দেশটির অন্যতম বড় একটি প্রিন্টিং প্রেস৷ প্রেসটির কোটি কোটি টাকার মুদ্রণযন্ত্রের পাশাপাশি ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে ৫০ হাজার বই৷
ছবি: Valentyn Ogirenko/REUTERS
পোড়া গন্ধ
নিজের প্রিন্টিং প্রেস যখন দেখতে এলেন সের্গি পলিটুকিই, ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মুদ্রণযন্ত্রগুলো৷ চারপাশে ছাই হয়ে উড়ছে হাজারো বইয়ের পাতা৷ ফিরে এসে ৭০ বছর বয়সী সের্গেই বলছিলেন, এই পোড়া গন্ধ, এই দৃশ্য ভুলতে পারছি না৷
ছবি: Valentyn Ogirenko/REUTERS
এখনো রক্তের দাগ
গত ২৩ মে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় এই প্রেসের সাতজন কর্মী মারা গেছেন৷ আহত হয়েছেন আরো ১৬ জন৷ পাঁচদিন পর সের্গেই যখন পোড়া প্রেসটি ঘুরে দেখছিলেন তখনও তিনি সেখানে রক্তের দাগ মুছে যায়নি৷
ছবি: Valentyn Ogirenko/REUTERS
অন্যতম বড়
চার হাজার বর্গমিটারের এই পাবলিশিং হাউসটির মালিক ইউক্রেনের ফ্যাক্টর গ্রুপ অফ কোম্পানিজ৷ তাদের ভিভাট পাবলিশিং হাউস ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম প্রিন্টিং হাউস৷ তারা পাঠ্যবই মুদ্রণ করে৷
ছবি: Valentyn Ogirenko/REUTERS
ইউক্রেনীয়দের মনে আঘাত
পাবলিশিং হাউসে হামলা ইউক্রেনীয়দের মনে আঘাত করেছে বলে স্থানীয় পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে৷ দেশটির বিদ্যার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত খারকিভে ইউক্রেনের ৮০ ভাগ বই প্রকাশিত হয়৷ তার ৪০ ভাগ আসে ফ্যাক্টরের প্রেসগুলো থেকে৷
ছবি: Valentyn Ogirenko/REUTERS
খারকিভে হামলা
খারকিভ ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর৷ এখনো থেকে থেকে সেখানে হামলা করছে রাশিয়া৷
ছবি: Andrii Marienko/AP Photo/picture alliance
5 ছবি1 | 5
তার অভিযোগ, ''ইউক্রেন থেকে ওরা রাশিয়ার সব চিহ্ন মুছে ফেলতে চায়। রুশ ভাষা, অর্থডক্স চার্চকে ওরা নিষিদ্ধ করেছে।''
লাভরভ বলেছেন, ''৩০ দিনের আংশিক যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছিল কারণ, ন্যাটোকে বাদ দিয়ে, আঞ্চলিক বিষয়ে কোনো আলোচনা ছাড়া এই যুদ্ধবিরতি করা সম্ভব হয়েছিল।''