নতুন করে আরো ৭০৯ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ায় মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,১৩৪ জনে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭ জন; মোট মৃত্যু ২০৬৷
বিজ্ঞাপন
দেশে বর্তমানে ৩৫টি পরীক্ষাগারে করোনা ভাইরাসের টেস্ট করা হচ্ছে৷ পরীক্ষার আওতা বাড়ায় রোগ শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে৷ এদিন মোট ৫,৭০৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ পরীক্ষা করা হয় ৫,৯৪১টি নমুনা৷
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য তুলে ধরেন৷
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন৷ এদিন সুস্থ হওয়ার তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে রাজশাহী বিভাগ৷ এই বিভাগে ৪৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷ তারপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন এবং ঢাকা বিভাগে ২২ জন৷ দেশে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ ২,১০১ জন৷
সংক্রমণ বিস্তারে এখনো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জ৷ এদিন নতুন শনাক্ত রোগীর ৪৪ দশমিক ৮৬ শতাংশই এই জেলার বাসিন্দা৷
করোনা মোকাবেলায় নতুন নার্স নিয়োগ
কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হাসপাতালগুলোতে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে পদায়নের জন্য ৫ হাজার ৫৪ জন নার্সকে সাময়িকভাবে নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়৷ তাদের সবাইকে আগামী ১৩ মে’র মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নার্স নিয়োগের কথা জানানো হয় বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
গত ২৫ এপ্রিল করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৬ হাজার নার্সের নিয়োগের সুপারিশ করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল৷
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের নার্স নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৫ হাজার ৫৪ জন প্রার্থীকে নার্সিং ও মিডওয়াইফরি অধিদপ্তরের অধীনে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর দশম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা-৩৮৬৪০ বেতনক্রমে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সাময়িকভাবে নিয়োগ প্রদান করা হলো৷
নার্সদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের যোগ্যতা এবং কর্মস্থলে নিয়োগের কিছু শর্তও দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়৷ ওই শর্ত পূরণে ব্যার্থদের নিয়োগ বাতিল হয়ে যাবে৷
এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
লকডাউন শিবচর
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাংলাদেশের মাদারিপুরের শিবচরকে ১৪ দিনের জন্য অবরুদ্ধ করেছে প্রশাসন৷ ছবিঘরে দেখুন সেখানকার শনিবার সকালের চিত্র৷
ছবি: Shib Sankar Rabidas
নিয়ন্ত্রণে চার এলাকা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে ২০ মার্চ রাত ৯টা থেকে শিবচর পৌর বাজারসহ ঝূঁকিপূর্ন দুইটি ওয়ার্ড, দুইটি ইউনিয়নের দুই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ চারটি এলাকার মানুষের গতিবিধি সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷ শুক্রবার বিকেলে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, আইইডিসিআর এর কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান এই ঘোষণা দেন৷
ছবি: Shib Sankar Rabidas
যাতায়ত বন্ধ
চিহ্নিত ২টি ওয়ার্ড ও ২টি গ্রামের সঙ্গে অন্য এলাকার যোগাযোগ ও মানুষের যাতায়ত বন্ধ রয়েছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের চিকিৎসাসহ সব ধরনের জরুরি সেবা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক৷ পাশাপাশি পুরো উপজেলা জুড়েই জনসমাগমে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷
ছবি: Shib Sankar Rabidas
কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ
প্রবাসীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও হোম কোয়ারান্টিন বা ঘরে থাকার নির্দেশ মেনে চলতে অনুরোধ করেছে প্রশাসন৷ একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে৷
ছবি: Shib Sankar Rabidas
অতিরিক্ত পুলিশ
শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আড়াই শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে৷ শনিবার তাদেরকে টহল দিতে দেখা যায়৷ পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান জানান, উপজেলার বাজারগুলোতে জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় ছাড়া বাকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
ছবি: Shib Sankar Rabidas
জরুরি সেবা
ওষুধ, কাঁচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলো খোলা রয়েছে৷ স্থানীয় প্রশাসন, সংবাদকর্মী ও ওষুধ পরিবহনকারী গাড়ি ছাড়া উপজেলার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন এবং উপজেলার সাথে অন্য জেলা ও উপজেলার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে৷
ছবি: Shib Sankar Rabidas
বাজার খোলা
শনিবার সকালে শিবচরের মাছ-মাংসের বাজারের চিত্র৷ সড়কগুলো জনশূন্য হলেও বাজারে বিক্রেতারা রয়েছেন৷ তবে ক্রেতার সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটাই কম৷
ছবি: Shib Sankar Rabidas
ঝুঁকির কারণ
শিবচরে অনেক ইটালি প্রবাসী রয়েছেন৷ যাদের বেশ কয়েকজন সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন৷ যে কারণে এলাকাটিকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসন৷ হোম কোয়ারান্টিনের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পৌরসভার একটি স্কুল ভবন প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ ছবিতে স্থানীয় হাসপাতালে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের দেখা যাচ্ছে৷