1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সূর্যের নানা রহস্য উন্মোচনে নতুন উদ্যোগ

১৭ মার্চ ২০২০

সূর্য পৃথিবীর জীবজগতের অস্তিত্বের চাবিকাঠি৷ আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রের অনেক বৈশিষ্ট্য সত্যি বিস্ময়কর৷ বিজ্ঞানীরা একের পর এক রহস্য উন্মোচন করায় সূর্য সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান ধীরে ধীরে বাড়ছে৷

ছবি: Imago Images/Panthermedia/A. Guillem

আমাদের সূর্য আসলে বৈদ্যুতিক চার্জভরা গ্যাসের বিশাল এক গোলক৷ একশ'রও বেশি পৃথিবী পাশাপাশি রাখলে সূর্যের ব্যাসের সমান মাপ ছোঁয়া সম্ভব৷ সূর্যের উপরিভাগের উপর বারবার কলঙ্ক বা ছোপ দেখা যায়৷ বাকি অংশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত শীতল বলে টেলিস্কোপে দেখলে সেগুলিকে কালো মনে হয়৷ অতি বেগুনি রশ্মি সূর্যের উপর গরম প্লাজমাভরা চৌম্বক ক্ষেত্রের বিশাল বক্র রেখা স্পষ্ট করে দেয়৷

সূর্যের কেন্দ্রস্থলে হাইড্রোজেন জ্বলে হিলিয়ামে পরিণত হয়৷ সেই বিকিরণ সূর্যের উপরিভাগে আসতে এক লাখ বছরেরও বেশি সময় লাগে৷ ৬,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সেই বিকিরণ কিন্তু অপেক্ষাকৃত শীতল৷ কারণ, সূর্যের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা প্রায় ১০ লাখ ডিগ্রি! পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় এমনকি খালি চোখেও তা দেখা যায়৷

যদি সূর্য নিভে যায়

03:27

This browser does not support the video element.

প্রায় ৪৫ কোটি বছর ধরে সূর্য আলো দিয়ে চলেছে৷ সবরকম আলোড়ন ও ক্রিয়া সত্ত্বেও সূর্য কিন্তু আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের যে কোনো সাধারণ নক্ষত্রের মতোই৷ হাইড্রোজেন জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে গেলে আমাদের সূর্য ফুলেফেঁপে তথাকথিত ‘লাল দৈত্যে’ পরিণত হবে৷ তার অনেক আগেই অবশ্য পৃথিবী মৃত গ্রহে পরিণত হবে৷

আদিকাল থেকেই মানুষ সূর্যের অসীম গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন৷ সূর্যই পৃথিবীতে উত্তাপ ও আলোর জোগান দেয়৷ সূর্য ছাড়া বৈচিত্র্যে ভরা জীবজগত সৃষ্টি হতো না৷ সে কারণে সারা বিশ্বে দেবতা হিসেবে সূর্যের পূজা করা হয় এবং বলি চড়িয়ে তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা চালানো হয়৷

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সূর্য এক দিগন্ত থেকে অন্য দিগন্তে পৌঁছে যায়৷ সেই গতির ভিত্তিতেই দিন ও বছরের নিখুঁত হিসেব করা হয়৷ ফলে সূর্যই মানুষের মনে সময়ের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে৷ ষোড়শ শতাব্দীতে নিকোলাস কোপার্নিকাস সূর্যকেই জগতের কেন্দ্রস্থলে স্থান দিয়েছিলেন৷ ফলে আমাদের নক্ষত্র পদার্থবিদ্যার গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছিল৷ তবে স্যাটেলাইটের যুগে এসে সূর্যের প্রভাবের আসল মাত্রা বোঝা গেছে৷ সূর্য প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক চার্জে ভরা কণা নিক্ষেপ করে চলেছে৷

সেই বিচ্ছুরণকে সৌর বাতাস বলা হয়৷ কণার এই স্রোত অনেক দূরে বাইরের দিকে এক সুরক্ষার বুদবুদ সৃষ্টি করে৷ সেই বর্ম আমাদের সৌরজগতকে মিল্কি ওয়ে থেকে আসা মহাজাগতিক বিকিরণ থেকে রক্ষা করে৷

কর্নেলিয়া বরমান/এসবি

২০১৮ সালের ১৪ আগস্টের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ