1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সূর্যের রহস্য সমাধান করতে মহাকাশ অভিযান

১০ মার্চ ২০২০

সূর্য ছাড়া পৃথিবী ও সৌরজগতের অস্তিত্ব অসম্ভব৷ সেই নক্ষত্র সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনো সীমিত৷ এবার এক বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র ও অন্যান্য রহস্যের উপর আলোকপাতের চেষ্টা শুরু হয়েছে৷

Solar Orbiter - NASA
ছবি: picture-alliance/AP/NASA/SDO/P. Testa

সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র থেকেই সৌর ঝড়ের মতো সবরকম অস্থিরতা, আলোড়ন সৃষ্টি হয়৷ অবশ্যই ছোট আকারে৷ কীভাবে ও ঠিক কখন এমন ঝড় সৃষ্টি হয়, তা জানতে গবেষকরা যত নিখুঁতভাবে সম্ভব চৌম্বক ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করতে চান৷ সেই লক্ষ্যে একাধিক টেলিস্কোপ-বোঝাই স্যাটেলাইট সূর্যের একেবারে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করতে চলেছে৷ মাক্স-প্লাংক ইনস্টিটিউটের প্রধান প্রোফেসর সামি সোলাংকি বলেন, ‘‘এক সোলার অরবিটার যানের মাধ্যমে আমরা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঠামো পর্যবেক্ষণ করতে পারি৷ এতটা জায়গা মাইক্রোস্কোপের যোগ্য মনে না হলেও এ ক্ষেত্রে সূর্যের ব্যাসের কথা মনে রাখতে হবে, যা প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার৷ সেই অর্থে এই এলাকা অত্যন্ত ক্ষুদ্র৷''

সূর্যের দিকে এগিয়ে গেলে প্রতিবার সোলার অরবিটার পৃথিবীর তুলনায় দশ গুণেরও বেশি বিকিরণের মুখে পড়ে৷ এমন চড়া আলোর সামনে টেলিস্কোপের চোখ অন্ধ হয়ে যাবার কথা৷ সে কারণে প্রতিটি টেলিস্কোপের সুরক্ষার জন্য বিশেষ জানালা তৈরি করা হয়েছে৷ ফলে গবেষণার খাতিরে যেটুকু প্রয়োজন, শুধু ততটাই সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে৷ এই জানালাটি স্যাটেলাইটের অন্যতম জরুরি যন্ত্রের জন্য তৈরি করা হয়েছে৷ গ্যোটিঙেন শহরের সৌর গবেষকরা এমনটা সম্ভব করেছেন৷

সূর্যের কাছে যাচ্ছে স্যাটেলাইট

04:34

This browser does not support the video element.

সেটি সূর্যের উপরিভাগের অংশ, অর্থাৎ ফটোস্ফিয়ার বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করবে৷ সেখানকার চৌম্বক ক্ষেত্রের মানচিত্র তৈরি করাও সেটির কাজ৷ চৌম্বক ক্ষেত্রের শক্তি ও দিকও নির্ণয় করা হবে৷ এমনকি সূর্যের ভিতরের অংশেও উঁকি মারতে পারবে সেই যন্ত্র৷ প্রোফেসর সোলাংকি বলেন, ‘‘সূর্য শব্দ তরঙ্গে ভরপূর, যা একেবারে উপরের অংশ পর্যন্ত চলে আসে৷ গতির তারতম্য পরিমাপ করে আমরা সেগুলির অস্তিত্ব টের পাই৷ ভিতরের অংশ পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারি৷''

সূর্যের গভীরে উঁকি মারা গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ সেখানেই সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়৷ সেখান থেকেই বিপজ্জনক সৌর ঝড় বেরিয়ে আসে৷ 

সোলার অরবিটার সূর্যের বহুস্তরীয় বায়ুমণ্ডলও পরীক্ষা করবে৷ সেই লক্ষ্যে টেলিস্কোপগুলি আলোর বিভিন্ন স্পেকট্রাল স্তরের ছবি তুলবে৷ সূর্যের এক্সরে ও অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণও রেকর্ড করা হবে৷ গবেষকরা সেই সব রেকর্ডিং-এর সমন্বয়ে সূর্যের মধ্যে আলোড়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করতে চান৷ পদার্থবিদ হিসেবে ড. আখিম গানডর্ফার বলেন, ‘‘যত বেশি সম্ভব স্তর সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার লক্ষ্যে সোলার অরবিটার তৈরি করা হয়েছে৷ আমরা সংযোজনের চরিত্র বুঝতে চাই৷ কোন ভৌত শক্তি বিভিন্ন স্তরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছে, তা জানতে চাই৷''

সোলার অরবিটার এক মার্কিন যানের সঙ্গে সহযোগিতা করবে৷ সেটি সূর্যের আরও কাছে পৌঁছে যাবে৷ দুটি স্যাটেলাইট মিলে সৌর বাতাস পরীক্ষা করবে৷ সূর্যের সঙ্গে দূরত্ব অনুযায়ী সেই সব বৈদ্যুতিক চার্জভরা কণার রূপান্তরও নথিভুক্ত করা হবে৷

সোলার অরবিটারের কল্যাণে সূর্য ও তার চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কে নতুন জ্ঞান অর্জনের আশা করছেন গবেষকরা৷ সূর্যের মধ্যে আলোড়ন আরও বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করাও সম্ভব হবে৷ কারণ এই স্যাটেলাইট সূর্যের আবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশেষ এক কক্ষপথে অবস্থান নেবে৷

সাত বছর পর সেটি সূর্যের দুই মেরু অঞ্চলের দিকেও নজর দেবে৷ চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই অংশের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ এখনো এ বিষয়ে আদৌ কোনো গবেষণা হয় নি৷

কর্নেলিয়া বরমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ