সেই সনমিত এখন পাঁচ কোটিপতি!
৯ জানুয়ারি ২০১৩কৌন বনেগা ক্রোড়পতি? মানে, কে হবেন কোটিপতি? কে আর কোটিপতি হতে চায় না বলুন! বিশেষ করে যাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাঁরা তো আরো বেশি করে চান ভাগ্যের চাকাটাকে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে জীবনটাকেই রূপকথার গল্প বানাতে৷ রিয়েলিটি শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'-র ষষ্ঠ আসরে তা-ই করেছেন সনমিত কৌর সাহানি৷
৩৭ বছরের জীবনে স্বচ্ছলতা কি জিনিস বোঝেননি৷ এই সেদিনও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিছানায়৷ একদিন-দুদিন নয়, টানা দু'বছর৷ তাঁর চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে স্বামীর সামান্য যেটুকু সঞ্চয় ছিল তা-ও শেষ৷ এভাবে সেরে উঠে কি কারো জীবন আয়েশে কাটে? তাই সনমিতের জীবন তারপর থেকে আরো সংগ্রামমুখর৷ গরীব ঘরের মেয়ে৷ স্কুলের গণ্ডিতেই শেষ হয়েছিল লেখাপড়া৷ ওই পুঁজি নিয়েই শুরু করলেন বাচ্চাদের পড়ানো৷ তাতে যেটুকুই আয় হোক স্বামীর দেনা তো আস্তে আস্তে শোধ হবে!
এখন অবশ্য আর কষ্ট করে ছাত্র না পড়ালেও চলবে সনমিত কৌর সাহানির৷ সুপারহিট রিয়ালিটি শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'-তে এবার প্রথম নারী হিসেবে ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ কোটি টাকা জিতেছেন তিনি৷ তাঁর এ সাফল্যে অমিতাভ বচ্চনও খুব খুশি৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ভারত ক'দিন আগে দখলো ‘আমানত'-এর দুঃখজনক বিদায়, মেয়েটি চলে গেলেও রেখে গেছে আপোস না করে, সাহস করে লড়াই করার চেতনা৷ আর আজ সনমিত দেখালো যে সে-ও লড়তে জানে৷
‘বিগ বি' লিখেছেন, এক কোটি টাকা নিশ্চিত হবার পর দুটো ‘লাইফ লাইন' ছিল সনমিতের৷ সে অবস্থায় তাঁর মনে হয়েছিল ঝুঁকি না নিয়ে সনমিতের খেলা ছেড়ে দেয়াই ভালো৷ তাতে ১ কোটি টাকা তো সে পাবেই৷ আর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে না পারলে মাত্র এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে ফিরতে হবে মুম্বইয়ের এই গৃহিনীকে৷ কিন্তু সনমিতের আত্মবিশ্বাস ছিল তিনি পারবেন৷ এবং শেষ পর্যন্ত পেরেছেনও প্রথম নারী হিসেবে কোনো রিয়ালিটি শো থেকে ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ কোটি টাকা জিততে৷ তবে কিভাবে পেরেছেন তা অবশ্য এখনো কেউ দেখেননি, কারণ, অনুষ্ঠানটি এখনো দেখানো হয়নি৷ আগামী ১২ই জানুয়ারি দেখানো হবে অনুষ্ঠানটি৷
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'-তে প্রথম পাঁচ কোটি টাকা জিতেছিলেন কম্পিউটার অপারেটর সুশীল কুমার৷ বিহার রাজ্যের ২৭ বছরের এ তরুণ এ সাফল্য পেয়েছিলেন ২০১১ সালে৷ পাঁচ কোটি টাকা জেতার আগে কম্পিউটার অপারেটার সুশীল প্রতিমাসে বেতন পেতেন ভারতীয় মুদ্রায় ৬ হাজার টাকা৷ কোটিপতি হবার আসরে আসার মাত্র কয়েক মাস আগে বিয়ে করেন তিনি৷ তাই সংসার চালাতে তখনও তাঁকে ছাত্র পড়াতে হতো৷