1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেতু দিয়েই পার হবো পদ্মা, বেশিদিন লাগবে না

১৬ অক্টোবর ২০২০

পদ্মা সেতু - গত দেড় দশক ধরে এই সেতু নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই৷ সেতুর কাজ শুরুর আগেই দুর্নীতির অভিযোগে ঘটেছে নানা কাণ্ড৷

Padma Brücke Bau Bangladesch
ছবি: bdnews24.com

এই সেতু আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে অনেকের মতো আমিও সংশয়ে ছিলাম৷ তবে, এখন আশাবাদী যে, শীঘ্রই এই সেতু দিয়ে পদ্মা পার হবো৷

ছোটবেলায় বছরে অন্তত দু'বার বড় দু'টো ভ্রমণ করতাম আমি৷ থাকতাম ঢাকায়, তবে দুই ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশের দুই প্রান্তে যেতে হতো৷ রোজার ঈদে দাদাবাড়ি, মানে বাগেরহাট আর কোরবানির ঈদে নানাবাড়ি, মানে চট্টগ্রাম৷ দাদা-দাদী, নানা-নানী বেঁচে ছিলেন তখন, ফলে ছুটির সময়টা পরিবারের সাথে চমৎকার কাটতো৷চোখ বুঁজে ছোটবেলার যত স্মৃতি এখনো মনে করতে পারি, তার মধ্যে দাদা-দাদী আর নানা-নানীর সঙ্গের স্মৃতিই সবচেয়ে বেশি৷

সেসময় এই দুই ভ্রমণের একটি করতে হতো নৌপথে৷ ঢাকা থেকে লঞ্চে বাগেরহাট৷ সেই লঞ্চ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কখনো কখনো ভীতিকর ছিল৷ বিশেষ করে লঞ্চটি যখন প্রমত্ত পদ্মা আর মেঘনার মিলনস্থল অতিক্রম করতো, মনে হতো এই বুঝি ডুবে যাবে৷ সেই অংশটা পার হওয়ার সময় আমি তাই কেবিনের সামনে কোনোকিছু আকড়ে ধরে বসে থাকতাম৷ বাকি ভ্রমণ অবশ্য ভালোই কাটতো৷ 

আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলে

তখন ঢাকা থেকে লঞ্চে বাগেরহাট যেতে, এখনো যতটুকু মনে আছে তাতে দু'দিনের মতো লেগে যেতো৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন দেখেছি, একসময় লঞ্চের জায়গায় ভ্রমণের বাহন হয়ে ওঠে বাস৷ তখন আবার আরিচা-পাটুরিয়া ফেরিতে পদ্মা পার হয়ে ফরিদপুর, মাগুরা, যশোর হয়ে বাগেরহাট যেতাম৷ সময় লঞ্চের চেয়ে কম লাগতো বটে, তবে ফেরিঘাটে যানজট কিংবা নদীতে কুয়াশা বেশি পড়লেই অনেকক্ষণ আটকে থাকতে হতো রাস্তায়৷ কখনো কখনো সেই ভ্রমণও তাই দু'দিনে গিয়ে ঠেকতো৷

বিকল্প এক পথের সূচনা হয়েছিল সম্ভবত নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে৷ মাওয়া-কাওরাকান্দি হয়ে গোপালগঞ্জের উপর দিয়ে বাগেরহাট যাওয়া যেতো আরো কম সময়ে৷ তবে, শুরুতে সেই পথ ছিল অনেকটা সাপের লেজের মতো আঁকাবাঁকা৷ ফলে দুর্ঘটনা ঘটতো প্রচুর৷ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই রুটে পরিবর্তন আসতে শুরু করে৷ মহাসড়ক বড় হয়েছে, আঁকাবাঁকা রাস্তা অনেকটাই সোজা হয়েছে সময়ের সাথে সাথে৷

এই রুটে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটেছে গত কয়েক বছরে পদ্মা সেতুকে ঘিরে৷ গতবছর দেখেছি, গোপালগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু অবধি যে মহাসড়ক তৈরি করা হয়েছে, সেটি জার্মান অটোবান বা মহাসড়ক থেকে কোনো অংশে কম নয়৷ অনায়াসে একশ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যায় সেই রাস্তায়৷ ঢাকা থেকে মাওয়া অবধি রাস্তাও অনেক বড় এবং আধুনিক করা হয়েছে৷

এখন বাকি শুধু পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়া বাকি৷ সত্যি কথা বলতে গেলে পাঁচ বছর আগেও আমার ধারণা ছিল এই সেতু শেষ অবধি চালু হবে না৷ তবে, গত বছর কাজের যে অগ্রগতি আমি দেখেছি, সেতুর যতটুকু অংশ দৃশ্যমান এখন - তাতে আমার বিশ্বাস আগামী দু’বছরের মধ্যে এই সেতু দিয়েই পদ্মা পার হওয়া যাবে৷ ছোটবেলায় যে পথ যেতে দু'দিন লাগতো, সেই পথ পাড়ি দেয়া যাবে কয়েক ঘণ্টায়৷ অন্যসব কিছু বাদ দিলেও দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য এটা অবশ্যই এক বড় ব্যাপার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ