1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেনাপ্রধানকে ঘুস

২৬ মার্চ ২০১২

সেনাপ্রধান জেনারেল ভি.পি সিংকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির অর্ডার পাশ করার বিনিময়ে, ১৪ কোটি টাকা ঘুস দিতে চাওয়া হয়েছিল বলে জেনারেল সিং স্বয়ং অভিযোগ করেন৷ এই বিতর্কিত অভিযোগ নিয়ে আজ উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ৷

ছবি: Fotolia/Natalia D.

সেনাপ্রধান জেনারেল ভি.কে সিংকে ঘুস দিতে চাওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগকে ঘিরে আজ উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় সভা৷ বিরোধী পক্ষ এর পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়৷ বিজেপি'র শীর্ষ নেতা ও সাংসদ ভেঙ্কাইয়া নাইডু সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুতর৷ আমরা চাই এবিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে৷ সেনাপ্রধান বলেছেন, তিনি বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন৷ যদি তাই হয়, তাহলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন?

কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তেওয়ারির মতে, কেউ যদি সেনাপ্রধানকে ঘুস দিতে চেয়ে থাকে তাহলে একজন সরকারি অফিসার তথা সেনাপ্রধান হিসেবে তাঁর উচিত ছিল ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা৷ কেন জেনারেল সিং কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে এতদিন চুপ ছিলেন? সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাসগুপ্ত মনে করেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার বিষয়টি কম্পট্রোলার ও অডিটার জেনারেল, সিএজি'র অধীনে আনা উচিত৷

প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি আজ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই'কে দিয়ে এই অভিযোগের তদন্তের আদেশ দেন৷ সিবিআই তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে আইনি অভিযোগ দায়ের করে৷

একটি ইংরেজি সংবাদপত্র দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ভি.কে সিং বলেছেন, একটি সংস্থার হয়ে অবসরপ্রাপ্ত এক পদস্থ সেনা অফিসার স্থলসেনার জন্য ৬০০টি নিম্নমানের গাড়ি কেনার অর্ডার পাশ করিয়ে দিলে, তাঁকে ১৪ কোটি টাকা ঘুস দেবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ জেনারেল সিং-এর বয়ান অনুসারে তিনি তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনিকে জানিয়েছিলেন৷ তাঁর নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে এমনটাই মনে করেন তিনি৷ এই চক্রের মধ্যে কারা আছে তার বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানান জেনারেল সিং৷

অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার বলে যাঁর নাম উঠে আসছে তিনি হলেন লে. জেনারেল তেজিন্দর সিং৷ তিনি এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতে বেশি সময় লাগবেনা৷ উল্লেখ্য, হালে জেনারেল সিং-এর জন্মতারিখ নিয়ে এক বিতর্ক দেখা দিয়েছিল যেখানে শীর্ষ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ