1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে বিতর্ক

২৮ মার্চ ২০১২

ভারতে সেনাপ্রধানকে ঘুসের প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগকে ঘিরে বিতর্কের জের কাটতে না কাটতেই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেনাপ্রধানের অতি গোপন চিঠি ফাঁস হওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধছে৷ দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সংসদে চলে তুমুল বাক বিতণ্ডা৷

ছবি: dapd

ঘুসকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়েছে৷ আর তারমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেনাপ্রধানের গোপন চিঠি ফাঁস হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক৷ সংসদে এই নিয়ে বিরোধী দলগুলি সরকারকে একহাত নেয়৷ তাদের মতে, সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে আস্থার ঘাটতি প্রকট৷ এই গোপন ও স্পর্শকাতর চিঠি ফাঁস করার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের এবং কেউ কেউ শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সেনাপ্রধানকে বরখাস্তের দাবি জানান৷

সরকারের তরফে দেশকে আশ্বস্ত করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি আজ সংসদে বলেন, সরকার দেশের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র রাখতে বদ্ধপরিকর৷ বিতর্কিত ইস্যুগুলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পরীক্ষা করেছে৷ স্পর্শকাতরতার জন্য তা প্রকাশ্য বিতর্কের বিষয় হতে পারেনা৷ এর আগে সিপিআইএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার এই ধরণের চিঠিপত্র ফাঁস হওয়াটা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বিষয়৷

প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনিছবি: picture-alliance/ dpa

এমাসের ১২ তারিখে লেখা চিঠিতে সেনাপ্রধান জেনারেল ভি.কে সিং প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংকে আধুনিক সমরাস্ত্র, গোলাগুলি ও সাজসরঞ্জামের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন বিমান বাহিনীর অবস্থা আরো খারাপ৷ ৯৭ শতাংশ সমর সম্ভার সেকেলে হয়ে গেছে৷ আধুনিক যুদ্ধের অনুপোযুক্ত৷ অস্ত্রশস্ত্র কেনাবেচায় গড়িমসি করার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙ্গুল তুলে সেনাপ্রধান বলেছেন, এরফলে দেশের নিরাপত্তা বিপদের মুখে পড়তে পারে৷

বিজেপি সাংসদ অরুণ জেটলির বক্তব্য, সমরাস্ত্র সংগ্রহণ পদ্ধতিতে কোনো ত্রুটি থাকলে তা যেন সংশোধন করা হয়৷ কোনো কারণেই যেন প্রতিরক্ষা সরবরাহ ব্যাহত না হয়৷ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিডিয়ায় যেসব নেতিবাচক রিপোর্ট বের হচ্ছে, তাতে সেনা সদস্যদের মনোবল ক্ষুণ্ণ হচ্ছে৷

সেনাপ্রধানের আচরণে ক্ষুব্ধ কোনো কোনো সাংসদের মন্তব্য, চাকরিতে এক্সটেনশন না পাওয়ায় জেনারেল ভি.কে সিং এখন বেপরোয়া৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ