1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেপাং-এ রেড বুল

৩১ মার্চ ২০১৪

মালয়েশিয়ান গ্রঁ প্রি-তে প্রথম দু'টি স্থান অধিকার করেছেন মার্সিডিজ পাইলটরা: প্রথমে লিউয়িস হ্যামিলটন, দ্বিতীয় নিকো রসব্যার্গ৷ কিন্তু তৃতীয় স্থানে যাকে দেখা গেল, তিনি চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, রেড বুলের সেবাস্টিয়ান ফেটেল৷

Formel 1 Grand Prix Malaysia 30.03.2014
ছবি: Reuters

চলতি মরশুমটা ফেটেলের মনমতো শুরু হয়নি৷ রেড বুলের গাড়ি, অর্থাৎ দৃশ্যত তার সফ্টওয়্যার নিয়ে নানা গোলমাল৷ গোড়ার দিকের ট্রেনিং সেশনগুলোতে তো ফেটেল ক'টা ল্যাপ পূর্ণ করতে পারবেন, তা-ই নিয়েই সন্দেহ ছিল৷ ফর্মুলা ওয়ানের গাড়ি ও প্রযুক্তিতে যে নানা পরিবর্তন এসেছে, সে বিষয়ে ফেটেলের রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক – কিন্তু অন্যান্য রেসিং টিমের মতোই রেড বুলকেও যে অনেক কাজ করতে হবে, এবং সে কাজ যে বহুলাংশে বাকি আছে, সেটাও ফেটেলের ভেবে দেখা উচিত ছিল৷ তা না করে, এই নরমস্বভাব মানুষটি নতুন এফ-ওয়ান মোটরের আওয়াজকে অতি কুচ্ছিত ভাষায় গাল দিয়েছিলেন৷

এ কেমন বৈরী

মালয়েশিয়ার সেপাং-এ এই মরশুমের দ্বিতীয় দৌড়েও মার্সিডিজের আধিপত্য প্রকট ছিল, কিন্তু ঠিক তার পিছনেই কখন যেন ‘নিঃশব্দে' এসে দাঁড়িয়েছেন রেড বুলের সেবাস্টিয়ান ফেটেল, হ্যামিলটন ও রসব্যার্গের পর পোডিয়ামে তৃতীয় স্থানটি ছিল তাঁর৷ বলতে কি, কোয়ালিফাইং-এ দুই মার্সিডিজ পাইলটের মাঝে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন ফেটেল৷ কিন্তু রেসের সূচনায় প্রথম বাঁকের আগেই রসব্যার্গ ফেটেলের ডানদিক দিয়ে কোনোরকমে গলে বেরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসেন৷

স্টার্টের ঐ ওভারটেকিং-এর সময় ফেটেল যে হঠাৎ ফাঁকটা বুজে দেবেন না, কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বীর উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না – এটাই ছিল রসব্যার্গের আশা ও প্রার্থনা৷ ভাগ্যের কথা, ফেটেল স্বদেশবাসীর প্রত্যাশা ব্যর্থ করেননি৷ মালয়েশিয়া বলে কথা: বৃষ্টির প্রত্যাশা তো ছিলই; কাজেই পরে বৃষ্টি নামলে ফেটেল ও রকম দু-চারটে রসব্যার্গকে স্বচ্ছন্দে ওভারটেক করতে পারবেন, এটাই হয়ত ছিল ফেটেলের প্রত্যাশা৷

ছবি: Getty Images

ছায়া ও কায়া

রসব্যার্গ ‘ফেটেলের গরম নিঃশ্বাস' নিজের কাঁধে অনুভব করেছেন ঠিকই৷ নয়ত মরশুমের গোড়ায় যে রেড বুলের রেনো ইঞ্জিনের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সমস্যা ছিল, রসব্যার্গ তা স্বচক্ষে দেখেছেন৷ ‘‘চার সপ্তাহ আগে টেস্টিং-এর শেষ দিনে ওদের (অর্থাৎ রেড বুল দলকে) দেখাই যাচ্ছিল না৷ আর এখন ফেটেল ঠিক আমার পিছনে থেকে আমার উপর চাপ দিচ্ছে,'' সেপাং রেসের পর সাংবাদিকদের বলেছেন রসব্যার্গ৷ ‘‘ওরা (অর্থাৎ রেড বুল) যেভাবে ওদের স্পিড বাড়িয়েছে, তা চমকে যাওয়ার মতো৷ কাজেই আমাদের নিজেদের অ্যাডভান্টেজটা বজায় রাখতে হবে৷''

মনে রাখতে হবে, পয়েন্টের তালিকায় নিকো রসব্যার্গ-ই এখন শীর্ষে: ৪৩ পয়েন্ট৷ দ্বিতীয় হ্যামিলটন, ২৫ পয়েন্ট৷ তৃতীয় ফেরারির ফের্নান্দো আলন্সো, যার ২৪ পয়েন্ট৷ তা সত্ত্বেও রসব্যার্গ জানেন, ফেটেলকে একমাত্র গাড়িজনিত সমস্যাই রুখতে পারে, নয়ত আবহাওয়া পর্যন্ত নয়৷ সত্যিই তো, সেপাং-এ ট্র্যাক প্রায় শুষ্কই ছিল, তবুও ফেটেল ও রেড বুল মার্সিডিজের ঘাড়ে ‘গরম নিঃশ্বাস' ফেলেছেন!

রেড বুল দলের প্রধান ক্রিস্টিয়ান হর্নার কিন্তু জানেন যে, সেপাং-এ যেরকম ট্র্যাকের ‘স্ট্রেইট' বা সরলরেখার মতো বাঁকবিহীন ঋজু অংশগুলিতে রেড বুল মার্সিডিজের গতির কাছে দাঁড়াতে পারেনি, বাহরাইনের আগামী রেসেও ট্র্যাকটা অনেকটা সেরকম – এছাড়া বাহরাইনে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম! তবে গাড়ির সফটওয়্যার সমস্যা নিয়ে কাজ চলেছে এবং এ সপ্তাহের মধ্যেই সেক্ষেত্রে প্রগতির আশা করছেন হর্নার৷

ছবি: picture-alliance/dpa

খোকা কাঁদবে না

শেষমেষ বলা দরকার: পুরনো ভি-এইট ইঞ্জিনগুলির কানফাটানো তারস্বর আওয়াজের বদলে নতুন ভি-সিক্স ১ দশমিক ৬ লিটারের টার্বো ইঞ্জিনগুলির আওয়াজ অনেক কম হওয়ার ফলে ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং-এর সাউন্ড ট্র্যাকই বদলে গিয়েছে৷ ট্র্যাকের উপর চওড়া টায়ারগুলোর আওয়াজ, দর্শকদের আনন্দ-উল্লাস, মাইকে রেসের পরিস্থিতি সংক্রান্ত ঘোষণা, এ সবই এখন শোনা যাচ্ছে৷ আরো বড় কথা, দর্শক কিংবা কর্মকর্তা, কাউকেই কানে ইয়ার-প্লাগ ঢুকিয়ে কান বাঁচাতে হচ্ছে না; দর্শকদের কোলে কচিকাঁচারা ফর্মুলা ওয়ান গাড়িগুলোর প্রচণ্ড আওয়াজে কেঁদেকোঁকিয়ে উঠছে না৷ ওদিকে পণ্ডিতরা বলছেন: ফর্মুলা ওয়ান হলো মোটরদৌড়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির চরম শিখর৷ কাজেই ফর্মুলা ওয়ানকে ফুয়েল এফিসিয়েন্সির পরাকাষ্ঠা হতে হবে৷ নতুন হাইব্রিড ইঞ্জিনগুলি নাকি এক কথায় চমৎকার৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ