সেবিট মানেই নতুন প্রযুক্তির প্রদর্শনী
৫ মার্চ ২০০৯বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্য প্রযুক্তির প্রদর্শনী সেবিট উপলক্ষে নামিদামি কোম্পানিগুলো প্রতি বছর হাজির করে থাকে নতুন নতুন সব প্রযুক্তি৷ এসব প্রযুক্তির উদ্দেশ্য যেমন প্রাত্যহিক প্রয়োজন মেটানো তেমনি অনেক ক্ষেত্রে বিনোদনের চাহিদা পুরণ করা৷ নতুন ধরণের ও ডিজাইনের যন্ত্রের পাশাপাশি দেখা গেছে, অনেক রকম সফটওয়্যার, যা দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে৷ যেমন মানুষের চেহারার ভাব বুঝতে সেবিট এ নতুন সফটওয়্যার এনেছে ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রিয়েরটে শালটুংগেন৷ অর্থাৎ কম্পিউটারের ওয়েবক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে এ সফটওয়্যার জানিয়ে দেবে আপনার মেজাজ কি ভালো নাকি খারাপ৷ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ক্রিস্টিয়ান কুব্লেক বললেন, এটা আমাদের ফেস ডিটেকশন সিস্টেম৷ এটার সামনে দাড়ালে নারী নাকি পুরুষ এবং মুখের অভিব্যক্তি কম্পিউটার বলে দেবে৷ এছাড়া চোখ খোলা নাকি বন্ধ রয়েছে তাও দেখা যাবে৷ যেসব কোম্পানি ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন প্রচার করে এটা তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এর ফলে তারা জানতে পারবে কত লোক তাদের স্ক্রিনের সামনে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞাপনটি দেখেছে এবং তাদের ভালো নাকি খারাপ লেগেছে৷
সেবিট এ দেখা হয়েছে জাস্টিনের সঙ্গে৷ জার্মান এ্যরোস্পেস সেন্টারের নতুন প্রযুক্তির রোবট এই জাস্টিন৷ সেবিট এ আগতদের বেশ নজর কেড়েছে নীল রঙ এর এই রোবটটি৷ জার্মান এরোস্পেস এর কর্মকর্তা থমাস উইমবুক জানালেন, নতুন রোবট জাস্টিন ঘরের অনেক কাজই করে দিতে পারবে৷ এর পাশাপাশি কারখানাতেও কাজে লাগানো যাবে তাকে৷তিনি বলেন, রোবট জাস্টিন আমাদের গবেষণাগারে তৈরী হয়েছে৷ রোবটকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায় তার অংশ হিসেবে আমরা জাস্টিনকে তৈরী করেছি৷ জাস্টিনকে তৈরী করতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি রোবট নির্মানে কি কি প্রয়োজন হয়৷ আমাদের জাস্টিন আকারে একটু বড়, তার হাতটাও একটু বড়৷ সুতরাং গৃহস্থালির কাজে লাগাতে হলে তার আকৃতিটা আরেকটু ছোট করতে হবে৷
পরিবেশ রক্ষা ইস্যুটি এখন সবজায়গাতেই জায়গা করে নিচ্ছে৷ তার ব্যতিক্রম নয় সেবিটও৷ গ্রিন আইটি বা পরিবেশ সহায়ক প্রযুক্তির জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে৷ সেবিট এর একটি জায়গাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য৷ কম্পিউটার যন্ত্রাংশ নির্মানে পরিবেশ সহায়ক পন্থা অবলম্বনের জন্য তারা সেবিট এ আগতদের কাছে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে৷