এই প্রশ্নের সহজ কোনো উত্তর নেই৷ মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে জেতাটাও এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ৷
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে হিসেবটা অনেক কঠিন করে তুলেছে পাকিস্তান৷ নিজেদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার তো খুলেছেই সঙ্গে অন্য দলগুলোর দুশ্চিন্তাও বাড়িয়েছে৷ গতকাল থেকে তাই ‘কারা উঠবে' প্রশ্নটা ঘুরছে সব জায়গায়৷
পয়েন্ট তালিকার শেষ তিনটি দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সাউথ আফ্রিকা এবং আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার আর কোনো আশা নেই৷ তবে অন্যের বাড়া ভাতে ছাই দেয়ার সুযোগ আছে তাদের৷ সেটা কারো জন্য বড় আশা, কারো জন্য দুশ্চিন্তা৷
অস্ট্রেলিয়ার সেই দুশ্চিন্তা একেবারেই নেই৷ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা৷ সাত ম্যাচে ছয় জয় এবং এক পরাজয়ে তাদের মোট পয়েন্ট ১২৷ ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার ঠিক পরের তিনটি স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, ভারত এবং ইংল্যান্ড৷ এই তিন দলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থা ভারতের৷ এখনো পর্যন্ত একমাত্র তারাই কোনো ম্যাচ হারেনি৷ সাতটি করে ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের পয়েন্ট যেখানে ১১ এবং আট, সেখানে পাঁচ ম্যাচে ঝুলিতে নয় পয়েন্ট পুরে ফেলেছে কোহলির দল৷
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আয়োজন শুরু হতে যাচ্ছে চলতি মে মাসের শেষে৷ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ মহারণে অংশ নিচ্ছে ১০টি দেশ৷ এবারের অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অতীত পারফর্মেন্স জেনে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Kodikaraআগের ১১টি আসরে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন এবং দুইবার রানার্স আপ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া৷ ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত টানা তিনবার জয়ের রেকর্ডও তাদের৷ এবারও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Khaled২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি নিউজিল্যান্ড৷ প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বর্তমানে রানার্স আপ ব্ল্যাক ক্যাপসরা৷ ছয় আসরে সেমি ফাইনাল এবং এক আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে দেশটি৷
ছবি: Getty Images/K. Schwoerer১৯৯৯ সালে থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ৷ ২০০৭ সালে সুপার এইটে পৌঁছার পর ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে টাইগাররা৷
ছবি: Getty Images/D. Mansonতিনবার ফাইনাল খেলে দুই বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত৷ ১৯৮৩ সালের পর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০১১ বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয় দেশটি৷ এর মধ্যে ১৯৮৭, ১৯৯৬ ও ২০১৫ সালে সেমি ফাইনাল খেলেছে তারা৷ এবার আইসিসি ব়্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে বিশ্বকাপে খেলছে ভারত৷
ছবি: Getty Images/R. Cianfloneদুইবার ফাইনালে খেলে একবার বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান৷ ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ ঘরে তুললেও ১৯৯৯ সালে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দেশটিকে৷ ১১ আসরের মধ্যে চারটিতে সেমি ফাইনাল এবং দুইবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Khaledতিনবার ফাইনাল খেললেও কোনোবার শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ইংল্যান্ডের৷ প্রতিবারই রানার্স আপ থাকতে হয়েছে ক্রিকেটের ‘আঁতুড়ঘর’ দেশটিকে৷ বিগত তিন বছরের অসাধারণ খেলার ধারাবাহিকতায় আইসিসির এক নম্বর র্যাংকিংয়ে আছে দলটি৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Brooksবিশ শতকের বহু বড় বড় ক্রিকেট তারকার জন্ম দিলেও ১১ আসরের মধ্যে কোনোবার ফাইনালে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা৷ প্রায় প্রত্যেকবার ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে এলেও চার বারই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের৷ ২০০৩ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায় এবং ২০১১ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় প্রোটিয়ারা৷
ছবি: Getty Images/Gallo Images/A. Vlotmanতিনবার ফাইনাল খেলে একবার শিরোপা ঘরে তুলতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা৷ ১৯৯৬ সালে জিতলেও ২০০৭ ও ২০১১ সালে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের৷
ছবি: Getty Images/Gallo Images/A. Vlotmanভারতের মতো তিনবার ফাইনাল খেলে দুইবার ট্রফি ঘরে তুলতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ ক্যারিবিয়ানরা দুই শিরোপা জিতেছে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরেই৷ এর পরেরবার ১৯৮৩ সালে রানার্সআপ হওয়ার পর আর ফাইনাল খেলতে পারেনি দেশটি৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Brooks২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তান৷ এবারও মোহাম্মদ নবীর মতো অলরাউন্ডার ও রশিদ খানের মতো স্পিনার নিয়ে ক্রিকেটের মহাযজ্ঞে অংশ নিচ্ছে দেশটি৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Kodikara সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার দৌড়ে এই তিন দল, অর্থাৎ নিউজিল্যান্ড, ভারত এবং ইংল্যান্ড বাকি দলগুলোর চেয়ে অবশ্যই খানিকটা এগিয়ে৷ তবে আসর থেকে ছিটকে পড়া কারো জন্যই একেবারে অসম্ভব নয়৷ লিগ পর্বে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড৷ দুটো ম্যাচ হারলে দুর্দান্ত শুরুর পরও শেষদিকের ব্যর্থতায় ডুবতে পারে তারা৷
ভারত বাকি চার ম্যাচের তিনটি হারলেও চূর্ণবিচূর্ণ হতে পারে শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন৷ ইংল্যান্ডের অবস্থা আরো অনিশ্চিত৷ বিশ্বকাপের আগের অপ্রতিরোধ্য দলটি তিন ম্যাচ হেরে বসে আছে৷ বাকি দুই ম্যাচ ভারত আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে৷ দুটোই কঠিন ম্যাচ৷ ফলে আগেভাগে বিদায়ঘণ্টা তাদেরও বাজতেই পারে৷
বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার আশা সেখানেই৷ নিউজিল্যান্ড, ভারত আর ইংল্যান্ড যত ব্যর্থ হবে, আশা তত বাড়বে তাদের৷ তবে পাশাপাশি বাকি ম্যাচগুলোতে নিজেদের শতভাগ সাফল্য নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে৷ তার মানে, বাংলাদেশকে বাকি দুই ম্যাচে ভারত আর পাকিস্তানকে হারাতে হবে৷ আর বাংলাদেশের কাছে হেরে গেলে পাকিস্তানের পক্ষে আর '৯২-র পুনরাবৃত্তি সম্ভব হবে না৷ তাদেরও জিততেই হবে আফগানিস্তান আর বাংলাদেশের বিপক্ষে৷ বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের মধ্যে যে দল বাকি দুই ম্যাচ জিতবে, তাদেরই ৯ ম্যাচে হয়ে যাবে ১১ পয়েন্ট৷ তবে ওই ১১ পয়েন্ট কিন্তু সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট নয়৷সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ভারতকে হারাতে পারলে ৯ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট হয়ে যাবে ১২৷ সুতরাং কাকে রাখবেন, কাকে বাদ দেবেন? বিশ্বকাপ তো এখনো সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আফগানিস্তান ছাড়া সবার জন্যই উন্মুক্ত!
তাই লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে– এ আশা করতেই পারি৷ অবশ্য বৃষ্টি বাগড়া দিলে অন্য কথা৷ তাহলে আবার বেশ কিছু ‘যদি', ‘কিন্তু' এসে হাজির হবে৷
এ মুহূর্তে একটা ‘যদি' খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ পয়েন্ট যার বেশি হবে সে তো সেমিফাইনালে উঠবেই, কিন্তু যদি পয়েন্ট সমান হয়ে যায়? তাহলে লিগপর্বে যে দল বেশি ম্যাচ জিতেছে তারা অগ্রাধিকার পাবে৷ জয়ও যদি সমান হয় তাহলে দেখা হবে নেট রানরেট৷ তারপরও গেরো না খুললে গুরুত্ব পাবে নিজেদের ম্যাচের (হেড টু হেড) ফলাফল৷ তারপরও ‘যদি' আছে, তবে এত যদিতে না গিয়ে আগে নিজেদের ম্যাচগুলো জেতার কথা ভাবাই ভালো৷ বাংলাদেশের জন্য সেটাই আশা জাগিয়ে রাখার একমাত্র মন্ত্র!
ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাটে একই সময়ে সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার কীর্তি গড়েছেন সাকিব আল হাসান৷৷ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও তৈরি করেছেন এমন রাজত্ব, যেখানে সিংহাসনের অন্য সব দাবিদার পিছিয়ে যোজন যোজন৷
ছবি: Getty Images/A. Davidsonবিশ্বকাপে মোট আট ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ৷ দুই সেঞ্চুরিসহ সাকিব করেছেন ৬০৬ রান৷ এর মধ্যে সাত ইনিংসেই ৫০-এর বেশি রান করেছেন তিনি৷ এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার সাত ইনিংসে ৫০-এর বেশি রানের রেকর্ড গড়েছিলেন৷ এবার সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন সাকিব৷ তাও আবার শচীনের চেয়ে তিন ম্যাচ কম খেলে! বোলিংয়েও সমান ভূমিকা রেখেছেন তিনি৷ নিয়েছেন ১১ উইকেট৷
ছবি: Getty Images/A. Davidsonটসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান৷ আশা ছিল, স্পিন ঘূর্ণিতে কাবু করে বাংলাদেশকে কম রানে বেঁধে ফেলা৷ কিন্তু সাকিবের কথা হয়তো ভুলেই গিয়েছিল আফগানরা৷ বাংলাদেশের ২৬২ রানের সংগ্রহে সাকিব করেন ৫১৷ এরপর বল হাতে তার নেতৃত্বেই আফগানদের ৬২ রানে হারায় বাংলাদেশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Davyআফগানদের বিরুদ্ধে বল হাতে সাকিব করেন একাধিক রেকর্ড৷ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি৷ যুবরাজ সিংয়ের পর কেবল দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একই ম্যাচে অর্ধশত ও ৫ উইকেট এখন সাকিবের৷ সেই সঙ্গে কপিল দেব ও যুবরাজ সিংয়ের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একই বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট পাওয়া খেলোয়াড় সাকিব৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Dennisভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২৮ রানে পরাজয়ের দিনে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৬ রান, যা অন্য সবার চেয়ে বেশি৷ বল হাতে সবচেয়ে কম ৪.১০ ইকোনমিতে উইকেট নিয়েছেন একটি৷
ছবি: Getty Images/D. Sarkarটসে জিতে ব্যাটিং নেয় অস্ট্রেলিয়া৷ ডেভিড ওয়ার্নারের বিধ্বংসী ব্য়াটিংয়ে ৩৮২ রানের লক্ষ্য দেয় অজিরা৷ ওয়ার্নার করেন ১৬৬ রান৷ সাকিব বল হাতে খুব ভালে করেননি৷ উইকেটবিহীন থেকে ৬ ওভারে দেন ৫০ রান৷ ব্যাটিংয়ে এবার টিমওয়ার্ক দেখায় টাইগাররা৷ মুশফিক শতরান করেন, অর্ধশত করেন তামিম-মাহমুদুল্লাহ৷ সাকিবও সে ম্যাচে করেন ৪১ রান৷ তবে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ৪৮ রানে৷
ছবি: Getty Images/M. Steeleটস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় বাংলাদেশ৷ লিউয়িস আর পুরানের উইকেট নেন সাকিব৷ তবে লিউয়িস-হোপের নৈপূণ্যে ক্য়ারিবীয়রা ৩২২ রানের টার্গেট দেয়৷ বল হাতে অসাধারণ সাকিব ব্যাট হাতেও কান্ডারীর ভূমিকা নেন৷ দুর্দান্ত লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে অপরাজিত ১২৪ রানে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে৷
ছবি: Getty Images/A. Davidsonটসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান টাইগার অধিনায়ক৷ শুধু সাকিব কেনো, বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো বোলার৷ ৩৮৭ রানের টার্গেটে চাপা পড়ে বাংলাদেশ৷ তবে ব্যাটিংয়ে এসে বরাবরের মতোই নেতৃত্বে সাকিব আল হাসান৷ দলকে জেতাতে না পারলেও নিজে করেন ১২১ রান৷
ছবি: Getty Images/H. Trumpটসে হেরে ব্যাটিং করতে হয় বাংলাদেশকে৷ আগের ম্যাচের দুর্দান্ত বাংলাদেশ এই ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ে৷ সাকিব ৬৪ রান করলেও বাকিরা তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি৷ ৪ বল বাকি থাকতেই টাইগাররা অলআউট হয়৷ ২৪৫ রানের টার্গেটেও বিপদে পড়ে কিউইরা৷ গাপটিল ও মুনরোকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে মাঠে রাখেন সাকিব৷ আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হারে বাংলাদেশ৷
ছবি: Getty Images/D. Rogers২ জুন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিল সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে৷ টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় সাউথ আফ্রিকা৷ মুশফিকের সঙ্গে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪২ রানের পার্টনারশিপ করেন সাকিব৷ তাঁর ব্যক্তিগত ৭৫ রান দলকে এনে দেয় ৩৩০ রানের বিশাল সংগ্রহ৷ বোলিংয়ে এসে প্রোটিয়া ওপেনার মারক্রামকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি৷ ম্যাচটি ২১ রানে জেতে বাংলাদেশ৷
ছবি: Reuters/Action Images/P. Childs