পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ি নানা কারণে এখনো সব মানুষের আওতায় আসছে না৷ জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয় কম খরচে এমন গাড়ি তৈরি করে এ ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে৷ বড় আকারে উৎপাদনের প্রস্তুতিও চলছে৷
বিজ্ঞাপন
বড় বড় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য এক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে ইলেকট্রিক গাড়ির মডেল ই-গো লাইফ৷ ই-গো মোবাইল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার বাস্টিয়ান ল্যুডকে বলেন, ‘‘আমাদের গাড়ির মৌলিক সংস্করণের দাম রেখেছি ১৬,০০০ ইউরো৷ সরকার বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য ৪,০০০ ইউরো ভরতুকি দিচ্ছে৷ ফলে দাম কমে ১২,০০০ ইউরো হয়ে যাচ্ছে৷ সবচেয়ে সস্তার ব্যাটারিচালিত গাড়ি, যেমন স্মার্ট ই-র মৌলিক সংস্করণের দাম ২২ থেকে ২৩ হাজার ইউরো৷ অর্থাৎ আমাদের গাড়ির দাম তুলনামূলকভাবে কম৷''
এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার৷ একবার ব্যাটারি চার্জ করলে ১২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করা যায় – স্মার্ট-ই-র তুলনায় যা ৩০ কিলোমিটার কম৷ জার্মানির আখেন শহরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ২ বছরে এই গাড়ি তৈরি করেছে৷ ছাত্রছাত্রী, ইঞ্জিনিয়ার ও মেকাট্রনিক্স টেকনিশিয়ানদের যৌথ উদ্যোগের ফল এই গাড়ি৷
হাতের নাগালে ইলেকট্রিক গাড়ি
05:24
বাস্টিয়ান ল্যুডকে শুরু থেকেই এই প্রকল্পে জড়িত৷ বয়স ৩১৷ অন্য ইঞ্জিনিয়াররা সারা জীবনে যত কাজ করেন, তিনি এর মধ্যেই তা সেরে ফেলেছেন৷ বাস্টিয়ান বলেন, ‘‘আমি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের দায়িত্বে রয়েছি৷ উৎপাদন প্রক্রিয়া ও কারখানার পরিকল্পনা এর মধ্যে পড়ে৷ তাছাড়া প্রোটোটাইপ তৈরির দায়িত্বও আমার কাঁধে৷ অর্থাৎ নীচে উৎপাদন বিভাগের সব কাজ – সেইসঙ্গে নতুন অংশ তৈরির পরিকল্পনাও করছি৷''
ছাত্রী হিসেবে করিনা স্টেঙেল-ও ই-কার প্রকল্পে কাজ করছেন৷ তিনি ছোট এই গাড়ির দরজা তৈরি করেছেন৷ একেবারে খাঁচা থেকে দরজা লক করার প্রক্রিয়া পর্যন্ত৷ গাড়ি ছোট হলেও দরজাগুলি যেন বড় এসইউভি গাড়ির মতো৷ করিনা বলেন, ‘‘একেবারে শুরু থেকে গাড়ির দরজা তৈরির সুযোগ সত্যি অসাধারণ এক অনুভূতি৷ আমরা সবাই সাদা কাগজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম৷ তারপর সব অংশ একত্র করেছি৷ প্রথম প্রোটোটাইপেই দরজা প্রায় ঠিকমতো কাজ করার ফলে খুব গর্ব হয়েছে৷''
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৫০ জন তরুণ-তরুণী এই প্রকল্পে কাজ করছেন৷ তাঁরা গাড়ি কোম্পানিগুলিকে দেখাতে চান, যে ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে বাজারে এখনো একটা চাহিদা পূরণ করা হয় নি৷ বড় শহরগুলিতে ছোট গাড়ির প্রয়োজন রয়েছে৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে এই আইডিয়া নিয়ে মেতে উঠেছেন৷ তবে আইডিয়া এসেছিল তাঁর প্রোফেসার গ্যুন্টার শু-র কাছ থেকে৷ তিনিই ই-গো মোবাইল কোম্পানির প্রধান৷ প্রোফেসার শু বলেন, ‘‘বছরে শহুরে ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে প্রায় ৪ লক্ষ গাড়ির চাহিদা রয়েছে৷ আমরা যদি তার ৫ শতাংশ, অথবা ক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ যোগান দিতে পারি, অর্থাৎ বছরে ২০ থেকে ৪০ হাজার গাড়ি তৈরি করতে পারি, সেটাও মন্দ হবে না৷''
প্যারিসে ই-কারের জয় জয়কার
এই মৌসুমে ইউরোপের কার শো শুরু হয়েছে প্যারিসে৷ বেশিরভাগ গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের ই-কার বা ইলেকট্রনিক গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হয়েছে এবারের আয়োজনে৷ দেখুন গাড়ির অভিনব মডেলগুলো৷
ছবি: NetCarShow.com
প্যারিসের তারকা
ইলেকট্রনিক অ্যারিনায় জেনারেল মোটরের জার্মান ব্র্যান্ড ওপেলের ই-কার আমপেরা গতবার মোটেও জনপ্রিয়তা পায়নি৷ এই ফার্মটি এবার প্যারিসে নতুন অ্যামপেরা-ই ইলেকট্রিক কার পরিবেশন করছে৷ বলা হচ্ছে এটি একবার চার্জ করলে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যায়৷ আর যদি সত্যিই তা হয় তবে এই গাড়িটি প্যারিস শোতে তারকা হতে বাধ্য৷
ছবি: GM Corp
বাভেরিয়া থেকে প্রতিযোগিতা
রেঞ্জের বিষয়ে সচেতন বিএমডাব্লিউ৷ অভিজাত এই গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটির নতুন সংস্করণ আই-৩ এর রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার, আগে যা ছিল ১৯০ কিলোমিটার৷ এছাড়া প্রদর্শনীতে প্রতিষ্ঠানটির নতুন মডেল এক্স-টু ও আছে৷
ছবি: BMW AG
ভল্ফসবুর্গের রহস্য
জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সওয়াগন প্যারিস মোটর শোতে কোন ই-কার প্রদর্শন করবে না বলে গুজব শোনা যাচ্ছিল৷ জার্মানির বৃহত্তর গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি শোতে আই.ডি কার পরিবেশন করেছে, একবার চার্জ করলে যেটি ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U.Deck
বৈদ্যুতিক দৃষ্টি আকর্ষণ
পোর্শে প্রদর্শন করেছে প্যানামেরা-৪ মডেল, যার অশ্বশক্তি ৫৫০৷ ঘণ্টায় ২৭৮ কিলোমটার চলতে পারবে গাড়িটি৷
ছবি: Porsche AG
কেবল ই-কারই নয়
মার্সিডিজ-বেনৎস তাদের ই-কার নিয়ে উপস্থিত হয়েছে প্যারিসে৷ এর মডেলটা ভীষণ স্মার্ট৷ কোম্পানিটি ৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ইলেকট্রিক গাড়ি প্রদর্শন করতে আগ্রহী৷
ছবি: Daimler AG
প্যারিসের প্রতিযোগিতা
এটা খুবই স্বাভাবিক যে স্বাগতিক দেশ ফ্রান্স প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার চেষ্টা করবে৷ যেমনটা করছে বা সিত্রোয়েন, যাকে ফরাসি ভাষায় বলা হয় সিত্রঁ৷ তারা যে মডেলটির প্রদর্শন করছে, তার নাম সিএক্সপেরিয়েন্স বা ফরাসিতে সিএক্সপেরিয়ঁ৷
ছবি: Citreon
পরিবার বান্ধব
পিউগিওট ৫০০৮ এর মডেলটি ৪.৬৪ মিটার লম্বা৷ ভেতরে অনেক জায়গা, এমনকি ড্রাইভারের জন্যও বেশ জায়গা রয়েছে, যেটাকে বলে আই-ককপিট৷ তাই জন সংযোগ বিশেষজ্ঞরা এই গাড়িকে বলছেন ‘পরিবার বান্ধব’৷
ছবি: Peugeot
ফেরারি
ফেরারির প্রকৌশলীরা দারুণ একটা কাজ করেছিল গতবার, তারা ৮০০ অশ্বশক্তির একটি মডেল বানিয়েছিল৷ এবার তারা একটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিন ইনস্টল করছে, যার ফলে এর শক্তিবৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬৩ অশ্বশক্তি৷
ছবি: NetCarShow.com
প্যারিসে ফেরত
টয়োটার এই মডেলটি হাইব্রিড প্লাগ-ইন সংযুক্ত৷
ছবি: Toyota
9 ছবি1 | 9
আরও দ্রুত অগ্রসর হতে হলে বাস্টিয়ান ল্যুডকে-কে তাঁর প্রকল্পে ভালো লোক আনতে হবে৷ যেমন ডেভ উড৷ তিনি এর আগে ম্যাকল্যারেন কোম্পানিতে রেসিং কার বিশেষজ্ঞ ছিলেন৷ এখন তিনি ইলেকট্রিক গাড়ির লোড বা ভার পরীক্ষা করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটাই ভবিষ্যৎ – তাই আমি এখানে কাজ করার আগ্রহ পাই৷ এটাই গাড়ির বিবর্তন এবং ই-গো বিভিন্ন ভাবে তা করার চেষ্টা করছে৷ গাড়ির ইতিহাসের প্রতি তারা শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে৷''
বশ কোম্পানি ইঞ্জিন ও ব্যাটারি যোগান দিচ্ছে৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে-র চাহিদা বেশি নয়৷ তিনি চান, ইঞ্জিন ও ব্যাটারি যেন দ্রুত অ্যাক্সিলারেশন সামলাতে পারে৷ ৩ ঘণ্টায় ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়৷ মাত্র দুই বছরের মধ্যে দুই পক্ষকে কাজ শেষ করতে হয়েছে৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে বলেন, ‘‘আমরা সবকিছু আগে থেকে স্থির করে দেই না৷ কারণ আমরা অন্যের অভিজ্ঞতা থেকেও শিখতে চাই৷ আমরা বলি, কোনো কাজ এভাবে করে এসেছি, সেটা সফল হয়েছে৷ তোমরা নতুন কিছু করো, যা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলি হয়তো করছে না৷ হয় তারা এভাবে ভাবেনি, কিংবা তাদের নির্ধারিত ছকের বাইরে৷''
গাড়ির কাঠামো তারা নিজেরাই তৈরি করে৷ গাড়ির বনেট সহ প্লাস্টিকের তৈরি বাকি অংশ সহজেই সেই কাঠামোয় বসানো যায়৷ তাছাড়া গাড়িটি রং করার প্রয়োজন হয় না বলেও টাকা বাঁচে৷
এই বিশ্ববিদ্যালয় শিল্পক্ষেত্রের জন্য আইডিয়া সরবরাহ করে চলেছে৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে-র আরও একটি কাজ রয়েছে৷ মাত্র দুই বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি কারখানা গড়ে তোলার কথা৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে বলেন, ‘‘কারখানা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ কাঠামো তৈরির প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষ৷''
সত্যি তারা বছরে ২০,০০০ গাড়ি তৈরি করতে পারলে সেই গাড়ি শুধু সবচেয়ে সস্তার হবে না, জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ইলেকট্রিক গাড়ি হয়ে উঠবে৷ ১,৬০০ ক্রেতা এর মধ্যেই আগাম টাকা দিয়ে এই গাড়ি অর্ডার দিয়েছেন৷
বিএমডাব্লিউ গাড়ির ১০০ বছর
একশ বছর হয়ে গেল বিএমডাব্লিউ-র৷ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি দিয়ে শুরু হলেও জার্মান এই কম্পানি সারা বিশ্বে এখন গাড়ির জন্যই বিখ্যাত৷ চলুন জেনে নেয়া যাক বিএমডাব্লিউ-র সংগ্রাম এবং সাফল্যের একশ বছরের কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
সেই প্রতীক
সাদা-নীলের এই লোগো বিএমডাব্লিউ-এর ১০০ বছর আগের সেই যাত্রা শুরুর সময়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়৷ ১৯১৬ সালের ৭ মার্চ বিমানের ইঞ্চিন তৈরির কারখানা হিসেবে যাত্রা শুরুর সময়ে এর নাম ছিল বায়ারিশে ফ্লুগসয়েগভ্যার্কে (বাভারিয়ান এয়ারপ্লেন ওয়ার্কার্স)৷ পরে গাড়ি তৈরি শুরু করায় নাম ‘বায়ারিশে মোটরভ্যার্কে’ হলেও লোগো আর বদলায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
প্রথম মোটর বাইক
১৯২৩ সালে প্রথমবারের মতো মোটর বাইক তৈরি করে বিএমডাব্লিউ৷ আর-৩২ মডেলের প্রথম মোটরবাইকটি ছিল এরকম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/BMW AG
যেভাবে গাড়ি তৈরি শুরু
১৯২৮ সারে আইজেনাখে একটি গাড়ি তৈরির কারখানা কিনে নেয় বিএমডাব্লিউ৷ সেখানেই নতুন করে শুরু হয় গাড়ি তৈরি৷ চার বছরেই মধ্যেই বাজারে এসে যায় বিএমডাব্লিউ-র এ ধরণের গাড়ি৷
ছবি: Imago/S. Geisler
শাপমোচন?
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বিমান বাহিনীর বিমানের ইঞ্জিনই তৈরি করেছে বিএমডাব্লিউ৷ তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যুদ্ধে ভূমিকা রাখার কলঙ্ক মোচনের জন্যও কাজ করেছে জার্মান এই শিল্প প্রতিষ্ঠান৷ যুদ্ধের কারণে বেকার হওয়া ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্তানের ব্যবস্থা করেছে তারা৷
ছবি: Imago/Lindenthaler
ফতুর হতে হতে রক্ষা
গাড়ি তৈরি করতে গিয়ে অনেক বছর বড় রকমের ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে বিএমডাব্লিউকে৷ ১৯৫৯ সালের দিকে তো দেউলিয়া হওয়ার দশা হয়েছিল৷ শিল্পপতি হ্যারব্যার্ট কুয়ান্ড্ট দায়িত্ব না নিলে হয়ত হারিয়েই যতো বিএমডাব্লিউ৷ ছবিতে হ্যারব্যার্ট কুয়ান্ড্টের স্ত্রী এবং দুই সন্তান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
নতুন সূচনা
১৯৬১ সালে নতুন ধরণের মডেল বিএমডাব্লিউ ১৫০০ নিয়ে এসে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে বিএমডাব্লিউ৷ এরপর একে একে এসেছে ১৬০০, ১৮০০ এবং ২০০০ মডেল৷ এতে করে শুরু হয়ে যায় বিএমডাব্লিউ-র সাফল্যের নতুন পর্ব৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তিন-এর মাহাত্ম্য
১৯৭৫ সালে বিএমডাব্লিউ বাজারে ছাড়ে ‘থ্রি সিরিজ’৷ ছয় বছরের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় দশ লাখ গাড়ি৷ ২০১৮ নাগাদ আসবে বিএমডাব্লিউ-র সপ্তম প্রজন্মের গাড়ি৷ আকাশ ছোঁয়া সাফল্য তখন আর কত উঁচুতে গিয়ে পৌঁছাবে কে জানে!
ছবি: Imago/Kicker
মিউনিখে প্রধান কার্যালয়
১৯৭৩ সাল থেকে বিএমডাব্লিউ-র প্রধান কার্যালয় জার্মানির মিউনিখ শহরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Sambraus
মিনি
১৯৯৪ সালে ব্রিটেনের রোভার গ্রুপও কিনে নেয় বিএমডাব্লিউ৷ ২০০৩ সাল থেকে নিজেদের কারখানায় রোল রয়েসও অ্যাসেম্বল করছে তারা৷