1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেরা ইলেকট্রিক গাড়ি হতে পারে ই-গো লাইফ

১০ জানুয়ারি ২০১৮

পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ি নানা কারণে এখনো সব মানুষের আওতায় আসছে না৷ জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয় কম খরচে এমন গাড়ি তৈরি করে এ ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে৷ বড় আকারে উৎপাদনের প্রস্তুতিও চলছে৷

Deutschland IAA in Frankfurt chinesischer Hersteller Wey XEV
ছবি: picture-alliance/CTK Photo/P. Mlch

বড় বড় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য এক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে ইলেকট্রিক গাড়ির মডেল ই-গো লাইফ৷ ই-গো মোবাইল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার বাস্টিয়ান ল্যুডকে বলেন, ‘‘আমাদের গাড়ির মৌলিক সংস্করণের দাম রেখেছি ১৬,০০০ ইউরো৷ সরকার বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য ৪,০০০ ইউরো ভরতুকি দিচ্ছে৷ ফলে দাম কমে ১২,০০০ ইউরো হয়ে যাচ্ছে৷ সবচেয়ে সস্তার ব্যাটারিচালিত গাড়ি, যেমন স্মার্ট ই-র মৌলিক সংস্করণের দাম ২২ থেকে ২৩ হাজার ইউরো৷ অর্থাৎ আমাদের গাড়ির দাম তুলনামূলকভাবে কম৷''

এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার৷ একবার ব্যাটারি চার্জ করলে ১২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করা যায় – স্মার্ট-ই-র তুলনায় যা ৩০ কিলোমিটার কম৷ জার্মানির আখেন শহরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ২ বছরে এই গাড়ি তৈরি করেছে৷ ছাত্রছাত্রী, ইঞ্জিনিয়ার ও মেকাট্রনিক্স টেকনিশিয়ানদের যৌথ উদ্যোগের ফল এই গাড়ি৷

হাতের নাগালে ইলেকট্রিক গাড়ি

05:24

This browser does not support the video element.

বাস্টিয়ান ল্যুডকে শুরু থেকেই এই প্রকল্পে জড়িত৷ বয়স ৩১৷ অন্য ইঞ্জিনিয়াররা সারা জীবনে যত কাজ করেন, তিনি এর মধ্যেই তা সেরে ফেলেছেন৷ বাস্টিয়ান বলেন, ‘‘আমি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের দায়িত্বে রয়েছি৷ উৎপাদন প্রক্রিয়া ও কারখানার পরিকল্পনা এর মধ্যে পড়ে৷ তাছাড়া প্রোটোটাইপ তৈরির দায়িত্বও আমার কাঁধে৷ অর্থাৎ নীচে উৎপাদন বিভাগের সব কাজ – সেইসঙ্গে নতুন অংশ তৈরির পরিকল্পনাও করছি৷''

ছাত্রী হিসেবে করিনা স্টেঙেল-ও ই-কার প্রকল্পে কাজ করছেন৷ তিনি ছোট এই গাড়ির দরজা তৈরি করেছেন৷ একেবারে খাঁচা থেকে দরজা লক করার প্রক্রিয়া পর্যন্ত৷ গাড়ি ছোট হলেও দরজাগুলি যেন বড় এসইউভি গাড়ির মতো৷ করিনা বলেন, ‘‘একেবারে শুরু থেকে গাড়ির দরজা তৈরির সুযোগ সত্যি অসাধারণ এক অনুভূতি৷ আমরা সবাই সাদা কাগজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম৷ তারপর সব অংশ একত্র করেছি৷ প্রথম প্রোটোটাইপেই দরজা প্রায় ঠিকমতো কাজ করার ফলে খুব গর্ব হয়েছে৷''

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৫০ জন তরুণ-তরুণী এই প্রকল্পে কাজ করছেন৷ তাঁরা গাড়ি কোম্পানিগুলিকে দেখাতে চান, যে ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে বাজারে এখনো একটা চাহিদা পূরণ করা হয় নি৷ বড় শহরগুলিতে ছোট গাড়ির প্রয়োজন রয়েছে৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে এই আইডিয়া নিয়ে মেতে উঠেছেন৷ তবে আইডিয়া এসেছিল তাঁর প্রোফেসার গ্যুন্টার শু-র কাছ থেকে৷ তিনিই ই-গো মোবাইল কোম্পানির প্রধান৷ প্রোফেসার শু বলেন, ‘‘বছরে শহুরে ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে প্রায় ৪ লক্ষ গাড়ির চাহিদা রয়েছে৷ আমরা যদি তার ৫ শতাংশ, অথবা ক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ যোগান দিতে পারি, অর্থাৎ বছরে ২০ থেকে ৪০ হাজার গাড়ি তৈরি করতে পারি, সেটাও মন্দ হবে না৷''

আরও দ্রুত অগ্রসর হতে হলে বাস্টিয়ান ল্যুডকে-কে তাঁর প্রকল্পে ভালো লোক আনতে হবে৷ যেমন ডেভ উড৷ তিনি এর আগে ম্যাকল্যারেন কোম্পানিতে রেসিং কার বিশেষজ্ঞ ছিলেন৷ এখন তিনি ইলেকট্রিক গাড়ির লোড বা ভার পরীক্ষা করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটাই ভবিষ্যৎ – তাই আমি এখানে কাজ করার আগ্রহ পাই৷ এটাই গাড়ির বিবর্তন এবং ই-গো বিভিন্ন ভাবে তা করার চেষ্টা করছে৷ গাড়ির ইতিহাসের প্রতি তারা শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে৷''

বশ কোম্পানি ইঞ্জিন ও ব্যাটারি যোগান দিচ্ছে৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে-র চাহিদা বেশি নয়৷ তিনি চান, ইঞ্জিন ও ব্যাটারি যেন দ্রুত অ্যাক্সিলারেশন সামলাতে পারে৷ ৩ ঘণ্টায় ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়৷ মাত্র দুই বছরের মধ্যে দুই পক্ষকে কাজ শেষ করতে হয়েছে৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে বলেন, ‘‘আমরা সবকিছু আগে থেকে স্থির করে দেই না৷ কারণ আমরা অন্যের অভিজ্ঞতা থেকেও শিখতে চাই৷ আমরা বলি, কোনো কাজ এভাবে করে এসেছি, সেটা সফল হয়েছে৷ তোমরা নতুন কিছু করো, যা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলি হয়তো করছে না৷ হয় তারা এভাবে ভাবেনি, কিংবা তাদের নির্ধারিত ছকের বাইরে৷''

গাড়ির কাঠামো তারা নিজেরাই তৈরি করে৷ গাড়ির বনেট সহ প্লাস্টিকের তৈরি বাকি অংশ সহজেই সেই কাঠামোয় বসানো যায়৷ তাছাড়া গাড়িটি রং করার প্রয়োজন হয় না বলেও টাকা বাঁচে৷

এই বিশ্ববিদ্যালয় শিল্পক্ষেত্রের জন্য আইডিয়া সরবরাহ করে চলেছে৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে-র আরও একটি কাজ রয়েছে৷ মাত্র দুই বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি কারখানা গড়ে তোলার কথা৷ বাস্টিয়ান ল্যুডকে বলেন, ‘‘কারখানা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ কাঠামো তৈরির প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষ৷''

সত্যি তারা বছরে ২০,০০০ গাড়ি তৈরি করতে পারলে সেই গাড়ি শুধু সবচেয়ে সস্তার হবে না, জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ইলেকট্রিক গাড়ি হয়ে উঠবে৷ ১,৬০০ ক্রেতা এর মধ্যেই আগাম টাকা দিয়ে এই গাড়ি অর্ডার দিয়েছেন৷

ক্রিস্টিয়ান প্রিৎসেলিউস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ