সর্বকালের সেরা জেমস বন্ড নির্বাচিত হলেন স্কটিশ অভিনেতা শন কনারি৷ শ্রেষ্ঠ বন্ড নির্বাচন করেছেন চলচ্চিত্র এবং টিভি পত্রিকা রেডিও টাইমস-এর ব্রিটিশ পাঠকেরা৷
এই জরিপে টুর্নামেন্টের মতো বেশ কয়েকটি রাউন্ডে মোট ১৪ হাজার পাঠক অংশ নেয় যার ফল প্রকাশ হয় গত সোমবার৷ প্রথম রাউন্ডে (গোল্ডফিঙ্গার) এবং বর্তমান জিরো জিরো সেভেন ড্যানিয়েল ক্রেইগ (স্কাইফল) এর বিরুদ্ধে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন কনারি৷ অন্যদিকে আইরিশ অভিনেতা পিয়ার্স ব্রসনান (গোল্ডেন আই) দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ান জর্জ ল্যাজেনবি (অন হার মেজেস্টিস সিক্রেট সার্ভিস) বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন৷ অক্টোপুসি খ্যাত ও সাতবারের বন্ড রজার মুর আশ্চর্যজনকভাবে ওয়েলসে জন্ম নেয়া টিমোথি ড্যালটনের (দ্য লিভিং ডেলাইটস) এর বিরুদ্ধে হেরে যান৷ ফাইনালে ড্যালটন ৩২ আর ব্রসন্যান ২৩ শতাংশ ভোট পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময় পুরুষ হিসেবে পরিচিত ৮৯ বছর বয়সি শন কনারি ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন৷
কল্পনাতীত সাফল্য পাওয়া বন্ড -এর তৃতীয় ছবি ‘গোল্ডফিঙ্গার’ থেকে থিম সং- এর একটি লাইন উল্লেখ করে রেডিও টাইমস এর প্রধান সম্পাদক বলেন, ‘‘শন কনারি আবারো এটাই প্রমাণ করলেন যে তিনিই হলেন কিংবদন্তি কিং জেমস বন্ড, যার স্পর্শে সবকিছু সোনায় পরিণত হয়েছে৷’’
এনএস/কেএম (ডিপিএ)
২০১৪ সালের ছবিঘরটি দেখুন...
জেমস বন্ডের ভিলেনদের কথা
অস্ট্রিয়ার অস্কারজয়ী অভিনেতা ক্রিস্টফ ভালৎসকে বন্ড সিরিজের পরবর্তী ছবি ‘স্পেক্টারে’ দেখা যাবে ভিলেনের চরিত্রে৷ চলুন এই সুযোগে বন্ড সিরিজের সবচেয়ে সেরা (এবং সবচেয়ে খারাপ) ভিলনদের দেখে নেয়া যাক৷
ছবি: imago stock&people
জওস – রিচার্ড কিল
বন্ড সিরিজের সবচেয়ে খারাপ ভিলেন সম্ভবত রিচার্ড কিল৷ ১৯৭৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য স্পাই হু লাভ্ড মি’ এবং ১৯৭৯ সালে ‘মুনব়্যাকার’ ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে৷ তাঁর সামনের পাটির স্টিলের দাঁতগুলো এবং দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি থেকে বারবার বেঁচে ফেরা, অনেকের মনে আছে নিশ্চয়ই৷
ছবি: imago/EntertainmentPictures
জেনারেল অরুমভ – গটফ্রিড জন
১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া বন্ড সিরিজের ‘গোল্ডেন আই’ ছবিতে তখনকার-নতুন জেমস বন্ড পিয়ার্স ব্রসনানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন গটফ্রিড জন৷ রাশিয়ার জেনারেল অরুমভের চরিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অরিক গোল্ডফিঙ্গার – গ্যার্ট ফ্র্যোবে
বন্ড সিরিজে অভিনয় করা আরেক জার্মান ভিলেন গ্যার্ট ফ্র্যোবে৷ ২০০৩ সালে অ্যামেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট তাঁকে গত ১০০ বছরের বিবেচনায় ‘বিশ্বের ৪৯তম সেরা ভিলেন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে৷
ছবি: picture-alliance/KPA Honorar & Belege
ফ্রান্সিসকো স্কারামাঙ্গা – ক্রিস্টোফার লি
১৯৭৪ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ‘দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান’ ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস্টোফার লি৷
ছবি: picture alliance/Mary Evans Picture Library
ম্যাক্স জরিন – ক্রিস্টোফার ভাল্কেন, এবং মে ডে – গ্রেস জোন্স
রজার মুর অভিনীত শেষ ছবি ‘এ ভিউ টু এ কিল’ জেমস বন্ড ভয়ংকর পুঁজিবাদী এবং রাশিয়ার গোপন এজেন্ট ম্যাক্স জরিন ও তাঁর বডিগার্ড প্রশিক্ষিত কিলার মে ডে-র মুখোমুখি হন৷ ছবিটি ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায়৷
ছবি: imago/United Archives
রোসা ক্লেব – লটে লেনিয়া
সন্ত্রাসী সংগঠন স্পেক্টারে কর্মরত রোসা ক্লেবের একটাই লক্ষ্য ছিল, জেমস বন্ডকে হত্যা করা৷ ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ ছবিটি ছিল বন্ড সিরিজের দ্বিতীয় ছবি৷ গোয়েন্দা সিরিজ হিসেবে ০০৭ যে জগৎ জয় করবে, সেটা এই ছবি থেকেই বোঝা যাচ্ছিল৷
ছবি: imago stock&people
রাউল সিলভা – খাবিয়ার বার্ডেম
বন্ড সিরিজের সর্বশেষ ছবি ‘স্কাইফলে’ ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন খাবিয়ার বার্ডেম৷ প্রতিশোধের নেশায় উন্মুক্ত এই স্প্যানিশ অভিনেত্রার অভিনয় ছবিটিকে যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে লাভজনক এবং গোটা বিশ্বের হিসেবে সপ্তম লাভজনক ছবি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে৷
ছবি: 2012 Sony Pictures Releasing
ম্যাক্সিমিলান লার্গো – ক্লাউস মারিয়া ব্রান্ডাওয়ার
‘নেভার সে নেভার এগেইন’ ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেন ক্লাউস মারিয়া ব্রান্ডাওয়ার৷ ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী স্পেক্টারের প্রধানের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি৷ ব্রান্ডাওয়ার দৃশ্যত পারমাণবিক বিপর্যয় সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন৷
ছবি: imago stock&people
ড. ব্লোফেল্ড – ট্যালি সাভালাস
১৯৬৯ সালে ‘অন হার মেজেস্টি’স সার্ভিস’ ছবিতে বন্ড ভিলেনের চরিত্রি ছিলেন ট্যালি সাভালাস৷ সব বন্ড ভিলেনদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে৷
ছবি: imago stock&people
ইলেক্ট্রা কিং – সোফি মার্সো
বন্ড সিরিজের ছবিগুলোতে জেমস বন্ডের পাশাপাশি বন্ড গার্ল এবং বন্ড ভিলেনদের থাকতেই হবে৷ তবে ১৯৯৯ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইস নট এনাফ’ ছবিটি ব্যতিক্রম৷ এতে বন্ড গার্ল সোফি মার্সো ভিলেনের চরিত্রে অবতীর্ণ হন৷ পরিনতি বন্ডের হাতে মৃত্যু৷