জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের মধ্যে সোচিতে আলাপ-আলোচনা হয়েছে৷ ইউক্রেন প্রসঙ্গে এখনও বুনিয়াদি মতপার্থক্য রয়েছে, পরে যুগ্ম সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন ম্যার্কেল৷
বিজ্ঞাপন
আগামী জুলাই মাসে হামবুর্গে জি-টোয়েন্টির শীর্ষবৈঠক, তারই প্রস্তুতি হিসেবে এই সাক্ষাৎ৷ এবং মূল আলোচ্য বিষয় যে ইউক্রেন ও সিরিয়া হবে, ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট তা আগেই বলে দিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই দু’টি বিষয় অবশ্যই (রুশ-জার্মান) সম্পর্কের উপর চাপ ফেলছে৷’’
নয়তো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই ম্যার্কেল-পুটিন সাক্ষাতে বার্লিন ও মস্কোর মধ্যে নতুন সংলাপের সূচনা হিসেবেই দেখছে৷ এবং তার গুরুত্ব মূলত এই কারণে যে, ঠাণ্ডা লড়াই সমাপ্ত হবার পরে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক আর কখনো এত নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছয়নি৷
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর ব্যক্তিগত জীবন
তিনি সুপার মার্কেটে বাজার করেন, নাপিতের দোকানে অন্যদের পাশে বসে অপেক্ষা করেন, এমনকি সরকারি ভবন নয়, নিজের বাড়িতে থাকাই তাঁর পছন্দ৷ তিনি আর কেউ নন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
ছবি: Reuters/H. Hanschke
ম্যার্কেলের নাপিত উডো ভালৎস
২০১৫ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ উডো ভালৎস (ছবিতে মাঝখানে) গত দশ বছর ধরে ম্যার্কেলের চুল কাটেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘চ্যান্সেলার হওয়ার আগেও তিনি যেমন সেলুনে অন্যদের সাথে বসতেন, এখনও তাই করেন৷ তাঁকে কোনো বিশেষ ছাড় দেওয়া হয় না৷ অর্থাৎ তিনিও অন্যদের মতো ৬৫ ইউরো দেন৷ একদম আগের মতো আছেন তিনি৷’’
ছবি: picture-alliance/schroewig
নিজেদের বাড়িতেই থাকেন
বার্লিনের ‘মিউজিয়াম আইল্যান্ড’-এর একটি জাদুঘরের কাছে নিজস্ব, কিন্তু পুরানো একটা ফ্ল্যাটে থাকেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাউয়ার৷ শুধু নিরাপত্তার জন্য দু’জন পুলিশ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে৷ এছাড়া কিন্তু সব কিছু আগের মতো আছে৷ এই যেমন, ছুটি পেলে আজও কাছের উকারমার্ক নামের ছোট্ট শহরে চলে যান দু’জনে৷ সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
নিজেই বাজার করেন
চ্যান্সেলার ম্যার্কেল সাধারণ সুপার মার্কেটেই বাজার করতে যান, বিশেষ করে যেগুলো একটু বেশি সময় খোলা থাকে৷ বাজার করা সম্পর্কে আঙ্গেলা ম্যার্কেল একবার এক দোকানিকে বলেছিলেন, ‘‘আমার এই অল্প অবসর সময়ে বাজার করার মতো সব কাজই করার চেষ্টা করি, যেমনটা আগে করতাম৷ অবশ্য যখন নিজে পারি না, তখন বাজারের লিস্ট তৈরি করে স্বামীর হাতে তুলে দেই৷’’
ছবি: picture-alliance/Markus C. Hurek
তিনিই ‘চ্যান্সেলার’
দোকানের একজন নারী কর্মী জানান, ‘‘চ্যান্সেলার ম্যার্কেল অন্যান্য ক্রেতার মতোই কিছু খুঁজে না পেলে কোথায় কী রাখা আছে, তা সাধারণ গৃহিনীদের মতোই জানতে চান৷ তাঁর নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী সাথে না থাকলে কেউ হয়ত বুঝবেই না যে তিনিই আমাদের ‘অ্যাঞ্জি’৷’’ কর্মীটি আরো জানান, ‘‘শত ব্যস্ততার মধ্যেও কিন্তু চ্যান্সেলারের মুখে হাসিটুকু লেগে থাকে, যা ভীষণ ভালো লাগে৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele
চ্যান্সেলারের পছন্দ ফ্রেঞ্চ চিজ
জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ভীষণ পছন্দ ফ্রেঞ্চ চিজ বা পনির, যা তিনি নিজেই কিনতে ভালোবাসেন৷ আর সে’কথাই গর্ব করে জানান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের একজন কর্মী৷
হাতে দামি ব্যাগ নেওয়ার চেয়ে ভালো খাওয়া-দাওয়া ম্যার্কেলের কাছে বেশি গুরত্বপূর্ণ৷ যখন তিনি রান্না করার সময় পান না, তখন স্বামী ইওয়াখিম সাউয়ারকে নিয়ে বার্লিনের ‘কাসামবালিস’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান৷ দামি খাবারের চেয়ে অবশ্য ‘গ্রিক মিটবল’-এর মতো সাধারণ খাবারই বেশি পছন্দ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই নারীর৷
ছবি: picture alliance/Markus C. Hurek
বিলাসিতা পছন্দ নয়
অন্যান্য রাজনীতিকদের মতো বিলাসিতা আঙ্গেলা ম্যার্কেলের তেমন পছন্দ নয়৷ বরং সাধারণ জীবনযাপনই তাঁর বেশি ভালো লাগে৷ তাই তিনি যতটা সম্ভব সেভাবেই চলার চেষ্টা করেন স্বামীকে নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Fusco
চাই মুক্ত হাওয়া আর হাঁটা-চলা
আঙ্গেলা ম্যার্কেল সময় সুযোগ পেলে স্বামীকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হন৷ শারীরিক এবং মানসিকভাবে ‘ফিট’ থাকতে মুক্ত বাতাসে হাঁটা-চলা যে ভীষণ জরুরি – সেটা তিনি যেন সকলে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন৷ এই না হলে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী!
ছবি: picture-alliance/AP Photo/AP Photo/C. De Luca
8 ছবি1 | 8
২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া ছিনিয়ে নেওয়ার পরম্যার্কেল স্বয়ং মস্কোর বিরুদ্ধে ইইউ’র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপের জোরদার সমর্থক ছিলেন৷ অপরদিকে মস্কো সেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পশ্চিম থেকে কৃষিপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে৷
কূটনীতি
গত সপ্তাহে ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিনিধি ফেদেরিকা মোঘেরিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, উভয় পক্ষের সম্পর্ক ‘স্থগিত নেই’, কিন্তু ইউক্রেন ও সিরিয়ার মতো বিষয়ে গভীর মতানৈক্যের ফলে সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে না৷
রুশ-জার্মান সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুটিন গত মার্চ মাসে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলের মস্কো সফর উপলক্ষ্যে উভয় দেশের সম্পর্ক ‘পুরোপুরি স্বাভাবিক করার’ ডাক দেন৷
ম্যার্কেল শেষবার রাশিয়া যাত্রা করেছিলেন ২০১৫ সালের মে মাসে এবং পুটিনের সঙ্গে মস্কোয় তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল৷ কিন্তু অপরাপর পশ্চিমি নেতার মতো ম্যার্কেলও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার জয়ের ৭০তম বার্ষিকীতে রেড স্কোয়ারের কুচকাওয়াজে যাননি৷
ভ্লাদিমির পুটিনের ভিন্ন রূপ
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ ছবিঘরে পুটিনের ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Reuters/A. Novosti/RIA Novosti/Kremlin
কেজিবি থেকে ক্রেমলিন
পুটিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তা সংস্থা কেজিবিতে যোগ দেন ১৯৭৫ সালে৷ আশির দশকে তিনি কেজিবি এজেন্ট হিসেবে জার্মানির ড্রেসডেনে কর্মরত ছিলেন৷ বার্লিন ওয়ালের পতনের পর রাশিয়ায় ফিরে গিয়ে বরিস ইয়েলৎসিনের ক্রেমলিনে প্রবেশ করেন তিনি৷ ইয়েলৎসিন তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে পুটিনের নাম ঘোষণা করলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/M.Klimentyev
প্রথম প্রেসিডেন্সি
বড় পদে যাওয়ার আগ অবধি রাশিয়ার সাধারণ জনতা পুটিনকে বলতে গেলে চিনতেনই না৷ ১৯৯৯ সালের আগস্টে চেচনিয়ার একদল সশস্ত্র মানুষ রাশিয়ার দাগেস্তান দখল করে নিলে পুটিন লাইম লাইটে আসেন৷ প্রেসিডেন্ট ইয়েলৎসিন তখন তাঁকে চেচনিয়াকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব দেন৷ সেবার বর্ষবরণের আগের রাতে অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করেন ইয়েলৎসিন এবং পুটিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেন৷
ছবি: picture alliance/AP Images
গণমাধ্যমে কঠোর পুরুষ
সোচিতে একটি প্রীতি হকি গেমে পুটিনের দল ১৮-৬ গোলে জয়লাভ করে৷ এরমধ্যে আটটি গোলই করেছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট!
ছবি: picture-alliance/AP/A. Nikolsky
বাকস্বাধীনতায় লাগাম
পুটিন বিরোধীদের এক ব়্যালিতে এভাবে মুখে টেপ লাগিয়ে তার উপরে পুটিন লিখে হাজির হয়েছিলেন এক প্রতিবাদকারী৷ ২০১৩ সালে সেদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা রিয়া নোভোস্টিকে সংস্কারের ঘোষণা দেয় ক্রেমলিন এবং সেটির দায়িত্ব উগ্র পশ্চিমাবিরোধী মতের জন্য পরিচিত এক ক্রেমলিনপন্থির হাতে তুলে দেয়া হয়৷ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রেস ফ্রিডম সূচকে ১৭৮টি দেশের মধ্যে রাশিয়ার অবস্থান ১৪৮তম৷
ছবি: Getty Images/AFP/V.Maximov
পুটিনের ভাবমূর্তি: কাজে বিশ্বাসী এক ব্যক্তি
রাশিয়ায় অনেকে বিশ্বাস করেন পুটিন কাজে বিশ্বাসী৷ এই ভাবমূর্তি গড়তে গিয়ে গণমাধ্যমে মাঝেমাঝেই ঊর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত ঘৌড়সওয়ারের বেশে বা জুডোতে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করার বেশে পুটিনের ছবি প্রকাশ হয়৷ রাশিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারায় পুটিনের প্রশংসা করেন অনেকে, পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Nikoskyi
গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ
২০০৭ সালে পুটিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি যখন ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করে, তখন সমালোচকরা দাবি করেন, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক ছিল না৷ পুটিনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রণের কণ্ঠরোধে অভিযোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে দাঙ্গা পুলিশ৷ সেই বিক্ষোভ ব়্যালিতে একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘ধন্যবাদ, না!’
ছবি: Getty Images/AFP/Y.Kadobnov
সাজানো ঘটনা
ক্রাইমিয়ার সেভাস্টোপোলে একটি ছোট সাবমেরিনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে পুটিনকে৷ বলা হয়ে থাকে, কৃষ্ণ সাগরের গভীরে তিনি গিয়েছিলেন এই সাবমেরিনে করে৷ এরকম ছবি মাঝে মাঝেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়৷ কখনো তিনি বুনো বাঘকে কাবু করেন চেতনানাশক দিয়ে কিংবা ওড়ের বিলুপ্তপ্রায় সারসের সঙ্গে৷ এভাবে এক দুঃসাহসী অভিযাত্রীর বেশে পুটিনকে উপস্থাপন করা হয়৷
ছবি: Reuters/A. Novosti/RIA Novosti/Kremlin
7 ছবি1 | 7
ম্যার্কেলের ভূমিকা
ইউক্রেন সংকটে ম্যার্কেলই পুটিনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখ্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব নিয়েছেন৷ অপরদিকে মিনস্ক শান্তি পরিকল্পনা কার্যকরি হওয়ার আগে তিনি মস্কোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বজায় রাখার সবচেয়ে জোরালো প্রবক্তাদের মধ্যে একজন৷
ম্যার্কেল ও পুটিন একাধিক চারতরফা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন – শেষবার গত অক্টোবর মাসে৷ বৈঠকে বাকি দুই অংশগ্রহণকারী ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ৷ এই চারটি দেশ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যে শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে একমত হয়, তার বাস্তবায়ন নিয়েই সমস্যা৷
গতমাসে এক ফোনালাপে এই চার নেতা শান্তি পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে ত্বরাণ্বিত করার সিদ্ধান্ত নেন৷ এ কারণে ম্যার্কেলের মুখপাত্র সাইবার্ট এবার যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো রাশিয়াকে বিভিন্ন গঠনমূলক চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট করা৷’’
পুটিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর উভয়ের যুগ্ম সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যার্কেল বলেন যে, (ইউক্রেন প্রসঙ্গে) দু’পক্ষের এখনও বুনিয়াদি মতপার্থক্য আছে৷ তবে জার্মানি, রাশিয়া, ইউক্রেন ও ফ্রান্সের চারতরফা বৈঠকের ফলশ্রুতি সম্পর্কে তিনি সন্তুষ্ট না হলেও, পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে আলাপ-আলোচনার সেরা ফোরাম এখনও এই ‘‘নরম্যান্ডি ফরম্যাট’’৷
এসি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, এপি)
বিশ্বে যে ২০ জন মানুষের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি
এই বিশ্বে এখন প্রায় ৭৪০ কোটি মানুষের বাস৷ এত মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাবান ২০ জন মানুষ৷ ২০১৮ সালের তালিকায় কে কে আছেন, সেটা অনুমান করতে পারেন? দেখুন ফোর্বস ম্যাগাজিন কোন ২০ জনকে বেছে নিয়েছে৷