1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘টেনিস রানি’

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

আজ নাহয় থাকেন মার্কিন মুলুকের ফ্লোরিডায়, ইংরিজি বলেন খাঁটি মার্কিন টানে৷ কিন্তু বুধবার সোচিতে বিমান থেকে নেমে সোচির মেয়ে শারাপোভা তাঁর দেশের প্রতি টানের কথাই বললেন৷

Australian Open Tennis Maria Sharapova Viertelfinale 22. Januar 2013
ছবি: Reuters

মারিয়া শারাপোভার জন্ম সাইবেরিয়ায়৷ তবে কিশোরী শারাপোভা তাঁর জীবনের বেশ কয়েকটি বছর কাটান সোচিতে৷ তারপর মার্কিন মুলুকে যাত্রা টেনিসের মান বাড়াতে৷ সেযাবৎ শারাপোভা চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্ট জিতেছেন৷ আজ তাঁকে খেলাধুলার জগতের সর্বাধিক পরিচিত ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ফেলা চলে৷

অলিম্পিক পার্কে সামসুং কোম্পানির একটি প্রোমোশনাল ইভেন্টে দাঁড়িয়ে শারাপোভা বললেন, তাঁর সোচির বহু ব্যক্তিগত স্মৃতির কথা৷ ‘‘আমি এখানেই টেনিস খেলতে শুরু করি৷ কাজেই আমার কাছে সেটা একটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার৷'' ২৬ বছর বয়সি শারাপোভা আরো বলেন: ‘‘শীতকালীন অলিম্পিক্স যে সোচিতে হচ্ছে, সেটা আমার কাছে একটা বিশেষ ব্যাপার৷ এখানে আমি আমার শৈশবের পাঁচ-ছয় বছর কাটিয়েছি৷ এখানে আমার কতো স্মৃতি! আমি যখন প্রথম শুনি যে অলিম্পিক্স এখানে হচ্ছে তখন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম, কারণ আমার আশা ছিল যে এবার মানুষজন এই শহরটা সম্পর্কে জানতে পারবে৷ কেননা আমার চিরকালের বিশ্বাস যে এই শহরটা বিশেষ এবং একক একটা কিছু, এবং বাকি দুনিয়া তার কথা এবার জানতে পারবে বলে আমার আশা ছিল৷''

কিন্তু রাশিয়া আর অ্যামেরিকার মধ্যে যদি আইস হকির ফাইনালে মোলাকাত হয়, তাহলে শারাপোভা কা-কে সাপোর্ট করবেন? ‘‘স্বভাবতই আমার নিজের দেশকে'' – অর্থাৎ রাশিয়াকে – বলেন শারাপোভা৷ অথচ শারাপোভা মার্কিন এনবিসি টেলিভিশন সংস্থার ভাষ্যকার হিসেবে সোচিতে এসেছেন৷ তিনি নাকি তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতির আলোকে সোচি অলিম্পিক্সকে মার্কিন শ্রোতা-দর্শকদের কাছে তুলে ধরবেন৷

শারাপোভার নিজের অলিম্পিকের স্মৃতি কিছু কম সুখকর নয়৷ ২০১২ সালে লন্ডনের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সে রাশিয়ার পতাকা বহন করার সম্মান তাঁরই উপর পড়েছিল৷ সেবার মহিলাদের একক টেনিস প্রতিযোগিতায় রৌপ্যপদক জয় করেন তিনি৷ বুধবার তিনি স্বীকার করেন যে তাঁর আরো একবার অলিম্পিকে প্রতিযোগী হবার আকাঙ্খা আছে৷ ‘‘লন্ডন ছিল একটা অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা,'' বলেন বর্তমানে বিশ্ব বাছাই তালিকায় পাঁচ নম্বর শারাপোভা৷ ওদিকে গত আগস্ট মাসে মার্কিন ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কামাইয়ের দশজন মহিলার ক্রীড়াবিদের তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল৷

তবে সোচি অলিম্পিক্স থেকে শারাপোভার যে ক্ষেদটি দূর হবে সেটি হলো: ‘‘প্রথম যখন সোচি থেকে অ্যামেরিকায় গিয়েছিলাম, তখন কেউ জানতো না সোচি ঠিক কোথায়৷ আশা করি এই অলিম্পিকের পর আমাকে আর বোঝাতে হবে না, সোচি কোথায়৷ কেননা সকলেই সেটা জানবে৷''

এসি / ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ